ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নিরাপদে রাস্তা ব্যবহারের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদেরকে অবহিতকরণ কর্মসূচি Logo খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo কাফরুলে নারী খুন, অভিযুক্ত সাবেক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ Logo সিটিটিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার Logo সরকারের উদ্যোগে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার অংশীজনদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত Logo সিপিডি সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের চ্যালেঞ্জ ও অর্জন তুলে ধরলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন Logo দুই মাদক কারবারিকে ৪৪০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ Logo বাংলাদেশের নারীদের ক্ষমতায়ন ও সুযোগ সম্প্রসারণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo মণিরামপুর থানা পুলিশের অভিযানে ০৩ জন আসামী গ্রেফতার Logo খুলনা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ জুন ২০২৫ এর প্রথম দিনে প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাইকরণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

পুলিশ তুমি কার?

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ দেশের জনগণের পয়সায় তাদেরই নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত হলেও তার পরিবর্তে আজ তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার সর্বাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সমগ্র এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, মাদকসহ নানাবিধ অপরাধের সয়লাব বয়ে গেলেও পুলিশদের সে দিকে ভ্রূক্ষেপ করার অবসর নেই।

কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিসি’তির ওপর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলেও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এবং নিজেদের নিরাপত্তাই তাদের কাছে যথেষ্ট।

যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সে সরকার তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করে পুলিশকে। এবং পুলিশও খুশি হয়ে ঘায়েল করার কাজে ব্যস্ত থাকে।আমি কবির নেওয়াজ রাজ – পুলিশের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, পুলিশ কি সারা জীবন সরকারের কেনা গোলাম হয়েই থাকবে? ব্যবহৃত হবে ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে? অথবা সরকার পরিবর্তনের সূত্র ধরে শরীর ব্যবসায়ীদের মতো তারাও বদল হতে থাকবে এ হাত থেকে ও হাতে? পুলিশ তাহলে কার- সরকারের না জনগণের? সরকার জনগণের ভোটের ক্ষমতার অধীন। পুলিশও জনগণের অর্থের অধীন, সরকারের নয়। অতএব, পুলিশ যে সরকার বাহাদুরের নির্দেশে এ অন্যায় অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করছে তাদের সে অন্যায় অধীনতা থেকে মুক্ত হওয়ার সময় এসেছে। জনগণের স্বার্থ রক্ষাকেই একমাত্র ও আসল অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

রাষ্ট্র্র্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পুলিশের। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের শুরু থেকে অদ্যাবধি অনেক সুনাম-বদনাম কুড়িয়েছে এবং আলোচনা-সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। ৫৫ বছরের পথচলায় বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য যেমনি তাদের মর্যাদা বেড়েছে, ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে তেমনি অগণিত নেতিবাচক অপেশাদারসুলভ কর্মকাণ্ডের জন্য ভূলুণ্ঠিত ও কলঙ্কিত হয়েছে নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য। তবে পুলিশ বাহিনীর এ যাবৎকালের সব রেকর্ড ছাপিয়ে নতুন এক অপ্রত্যাশিত কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে ।

এটি মনে রাখতে হবে, যারা বিভিন্ন দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তারাও এ দেশের জনগণ। সুতরাং পুলিশ বাহিনী বাধ্য সরকার, বিরোধী দল নির্বিশেষে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে, কোনো ব্যক্তি, দল বা আদর্শের স্বার্থে নয়।

বিগত দেড় যুগে সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের অন্যায় আচরণ নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলে এত বেশি প্রশ্ন উঠেছে, যা অতীতে তাদের অর্জিত সুনাম-সুখ্যাতিকে ম্লান করে দিয়েছে।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি দলবাজ পুলিশদের কখনও কোথাও সুবিধা দেওয়া ঠিক হবে না। আশা করি, সরকারের নীতিনির্ধারকরা বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন।

যারা দলনিরপেক্ষ ও মেধাবী পুলিশ অফিসার , তাদেরকে মূল্যায়ন করা উচিত। আর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে। এজন্য প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে কোনো পুলিশ সদস্য যেন অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘসময় ধরে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার না থাকার বিষয়টিকে সুকৌশলে স্বার্থ হাসিলের সুযোগ হিসেবেও কাজে লাগাচ্ছেন পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যরা।

পুলিশের উদ্দেশ্যে শেষ চারটি লাইন…

পুলিশ তুমি যদি আমজনতার হও

থাকবে জনগনের হৃদয় মাঝে

পুলিশ তুমি যদি বিবেকবান হও

তখন মানুষ তোমাদের খুঁজবে….

লেখক : কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস” রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সিসি” জার্নালিজম, এলএলবি।

কোষাধ্যক্ষ
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদে রাস্তা ব্যবহারের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদেরকে অবহিতকরণ কর্মসূচি

পুলিশ তুমি কার?

আপডেট সময় ০৩:০৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

পুলিশ দেশের জনগণের পয়সায় তাদেরই নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত হলেও তার পরিবর্তে আজ তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার সর্বাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সমগ্র এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, মাদকসহ নানাবিধ অপরাধের সয়লাব বয়ে গেলেও পুলিশদের সে দিকে ভ্রূক্ষেপ করার অবসর নেই।

কারণ আইনশৃঙ্খলা পরিসি’তির ওপর ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলেও নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এবং নিজেদের নিরাপত্তাই তাদের কাছে যথেষ্ট।

যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সে সরকার তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করে পুলিশকে। এবং পুলিশও খুশি হয়ে ঘায়েল করার কাজে ব্যস্ত থাকে।আমি কবির নেওয়াজ রাজ – পুলিশের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, পুলিশ কি সারা জীবন সরকারের কেনা গোলাম হয়েই থাকবে? ব্যবহৃত হবে ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে? অথবা সরকার পরিবর্তনের সূত্র ধরে শরীর ব্যবসায়ীদের মতো তারাও বদল হতে থাকবে এ হাত থেকে ও হাতে? পুলিশ তাহলে কার- সরকারের না জনগণের? সরকার জনগণের ভোটের ক্ষমতার অধীন। পুলিশও জনগণের অর্থের অধীন, সরকারের নয়। অতএব, পুলিশ যে সরকার বাহাদুরের নির্দেশে এ অন্যায় অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করছে তাদের সে অন্যায় অধীনতা থেকে মুক্ত হওয়ার সময় এসেছে। জনগণের স্বার্থ রক্ষাকেই একমাত্র ও আসল অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

রাষ্ট্র্র্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পুলিশের। বাংলাদেশ পুলিশ তাদের শুরু থেকে অদ্যাবধি অনেক সুনাম-বদনাম কুড়িয়েছে এবং আলোচনা-সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। ৫৫ বছরের পথচলায় বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য যেমনি তাদের মর্যাদা বেড়েছে, ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে তেমনি অগণিত নেতিবাচক অপেশাদারসুলভ কর্মকাণ্ডের জন্য ভূলুণ্ঠিত ও কলঙ্কিত হয়েছে নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য। তবে পুলিশ বাহিনীর এ যাবৎকালের সব রেকর্ড ছাপিয়ে নতুন এক অপ্রত্যাশিত কালো অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে ।

এটি মনে রাখতে হবে, যারা বিভিন্ন দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তারাও এ দেশের জনগণ। সুতরাং পুলিশ বাহিনী বাধ্য সরকার, বিরোধী দল নির্বিশেষে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে, কোনো ব্যক্তি, দল বা আদর্শের স্বার্থে নয়।

বিগত দেড় যুগে সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের অন্যায় আচরণ নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলে এত বেশি প্রশ্ন উঠেছে, যা অতীতে তাদের অর্জিত সুনাম-সুখ্যাতিকে ম্লান করে দিয়েছে।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি দলবাজ পুলিশদের কখনও কোথাও সুবিধা দেওয়া ঠিক হবে না। আশা করি, সরকারের নীতিনির্ধারকরা বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন।

যারা দলনিরপেক্ষ ও মেধাবী পুলিশ অফিসার , তাদেরকে মূল্যায়ন করা উচিত। আর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে। এজন্য প্রয়োজনে বিদ্যমান আইন প্রয়োগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে কোনো পুলিশ সদস্য যেন অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘসময় ধরে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার না থাকার বিষয়টিকে সুকৌশলে স্বার্থ হাসিলের সুযোগ হিসেবেও কাজে লাগাচ্ছেন পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যরা।

পুলিশের উদ্দেশ্যে শেষ চারটি লাইন…

পুলিশ তুমি যদি আমজনতার হও

থাকবে জনগনের হৃদয় মাঝে

পুলিশ তুমি যদি বিবেকবান হও

তখন মানুষ তোমাদের খুঁজবে….

লেখক : কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস” রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সিসি” জার্নালিজম, এলএলবি।

কোষাধ্যক্ষ
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন