ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় খাল খনন নিয়ে সংঘর্ষ, ইউএনও ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে Logo সাতক্ষীরা-৪ কালিগঞ্জ ও শ্যামনগরের দাবীতে উপজেলা বিএনপির স্মারকলিপি প্রদান Logo পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী সাথে বাণিজ্য উপদেষ্টা জনাব শেখ বশির উদ্দিন এর সাক্ষাৎ Logo কামরাঙ্গীরচরে যুবক হত্যা; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার Logo গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত Logo হাতি সংরক্ষণে আবাসস্থল রক্ষা, করিডোর মুক্তকরণ ও সচেতনতা জরুরি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo সরকারি অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা করবে ।—উপদেষ্টা মাহফুজ আলম Logo লালমনিরহাট জেলা পুলিশ কর্তৃক কালীগঞ্জ থানার একাধিক মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার Logo চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১১জনকে পুরস্কার প্রদান Logo সাতক্ষীরার শ্যামনগর-আশাশুনি একীভূত আসনের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় খাল খনন নিয়ে সংঘর্ষ, ইউএনও ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

শাকিব আহমেদ, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ও গন্ডা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকায় খাল খননকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক খাল খননের চেষ্টা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে উভয় ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এক পক্ষ জোরপূর্বক ওই জমির উপর দিয়ে খাল খনন শুরু করলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। এ সময় প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরে তা মারমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। দ্রুতই খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই ইউনিয়নের বহু মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়, ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার এবং স্থানীয় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন,
“খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করি। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর জোরপূর্বক কোনো কাজ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করা হবে।”

এদিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও নতুন করে উত্তেজনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, তবে স্থানীয়রা জানান—এ বিরোধের স্থায়ী সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আবারও অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় খাল খনন নিয়ে সংঘর্ষ, ইউএনও ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় খাল খনন নিয়ে সংঘর্ষ, ইউএনও ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

শাকিব আহমেদ, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ও গন্ডা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকায় খাল খননকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক খাল খননের চেষ্টা থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকানা নিয়ে উভয় ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি এক পক্ষ জোরপূর্বক ওই জমির উপর দিয়ে খাল খনন শুরু করলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। এ সময় প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরে তা মারমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। দ্রুতই খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই ইউনিয়নের বহু মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়, ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার এবং স্থানীয় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন,
“খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করি। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির উপর জোরপূর্বক কোনো কাজ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ বিষয়ে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করা হবে।”

এদিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও নতুন করে উত্তেজনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে আর কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, তবে স্থানীয়রা জানান—এ বিরোধের স্থায়ী সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আবারও অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে।