ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কলমাকান্দায় তক্ষক পাচারের সময় ৯ চোরাকারবারি আটক Logo কালিগঞ্জে আইন লঙ্ঘন করে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর অভিযোগ Logo সরকারি অর্থে হজে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মালি, চালক গানম্যান ও পিয়ন; নির্দেশনা না মেনে সফরসঙ্গী উপদেষ্টার স্ত্রী ও দুই বোন” এ সংবাদের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় Logo ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গাড়ি,দেশীয় অস্ত্র ও খেলনা পিস্তলসহ ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo প্রাণিসম্পদের সমস্যা লাঘবে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করা হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: সিলেটে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo র‍্যাবের পোশাক পরে কোটি টাকা ছিনতাই Logo পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নে জাফলংসহ সিলেটে মহাপরিকল্পনা: বিকল্প কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দেবে সরকার।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo খানজাহান আলী (রঃ) মাজার জিয়ারত শেষে কবির নেওয়াজ কে ফুলেল শুভেচ্ছা

বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬০৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সবাইকে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশে গুড গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করবো। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কক্ষে উপদেষ্টার সাথে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথ বলেন। গণঅধিকার পরিষদের সাথে পার্বত্য উপদেষ্টার বৈঠকে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। পার্বত্য অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা লালন করে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ি-বাঙালি সকলকে ভাই ভাই হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতার বিধান রাখা হবে। পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাক, ম্রো, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা, বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাইকে সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা তিন পার্বত্য জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তুলতে চাই এবং পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তুলবো। উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এজন্য তিনি সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত রাজস্ব প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সকল সামর্থবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির অভাব যাতে না হয় এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নদী, নালা, ঝিরিগুলোর পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে। সেগুন গাছের চেয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রচুর বাঁশের চারা রোপণ করা হবে বলে জানান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রচুর আম হয়, দিঘীনালায় কোয়ালিটিসম্পন্ন লিচুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমরা আম গাছ, লিচু গাছসহ নানা প্রকার গাছ রোপণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই। উপদেষ্টা বলেন, সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। বৈঠককালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের ঊর্ধতন পরষিদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। পরে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে তাদের ৯ দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন। গণঅধিকার পরিষদের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং সরকারের উন্নয়ন কাজে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক থাকবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন। মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ০১৮২৫৮৯৭৮১৮বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সবাইকে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশে গুড গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করবো। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কক্ষে উপদেষ্টার সাথে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথ বলেন। গণঅধিকার পরিষদের সাথে পার্বত্য উপদেষ্টার বৈঠকে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। পার্বত্য অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা লালন করে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ি-বাঙালি সকলকে ভাই ভাই হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতার বিধান রাখা হবে। পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাক, ম্রো, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা, বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাইকে সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা তিন পার্বত্য জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তুলতে চাই এবং পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তুলবো। উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এজন্য তিনি সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত রাজস্ব প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সকল সামর্থবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির অভাব যাতে না হয় এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নদী, নালা, ঝিরিগুলোর পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে। সেগুন গাছের চেয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রচুর বাঁশের চারা রোপণ করা হবে বলে জানান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রচুর আম হয়, দিঘীনালায় কোয়ালিটিসম্পন্ন লিচুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমরা আম গাছ, লিচু গাছসহ নানা প্রকার গাছ রোপণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই। উপদেষ্টা বলেন, সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। বৈঠককালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের ঊর্ধতন পরষিদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। পরে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে তাদের ৯ দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন। গণঅধিকার পরিষদের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং সরকারের উন্নয়ন কাজে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক থাকবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কলমাকান্দায় তক্ষক পাচারের সময় ৯ চোরাকারবারি আটক

বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:০০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সবাইকে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশে গুড গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করবো। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কক্ষে উপদেষ্টার সাথে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথ বলেন। গণঅধিকার পরিষদের সাথে পার্বত্য উপদেষ্টার বৈঠকে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। পার্বত্য অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা লালন করে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ি-বাঙালি সকলকে ভাই ভাই হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতার বিধান রাখা হবে। পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাক, ম্রো, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা, বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাইকে সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা তিন পার্বত্য জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তুলতে চাই এবং পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তুলবো। উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এজন্য তিনি সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত রাজস্ব প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সকল সামর্থবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির অভাব যাতে না হয় এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নদী, নালা, ঝিরিগুলোর পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে। সেগুন গাছের চেয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রচুর বাঁশের চারা রোপণ করা হবে বলে জানান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রচুর আম হয়, দিঘীনালায় কোয়ালিটিসম্পন্ন লিচুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমরা আম গাছ, লিচু গাছসহ নানা প্রকার গাছ রোপণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই। উপদেষ্টা বলেন, সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। বৈঠককালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের ঊর্ধতন পরষিদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। পরে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে তাদের ৯ দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন। গণঅধিকার পরিষদের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং সরকারের উন্নয়ন কাজে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক থাকবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন। মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ০১৮২৫৮৯৭৮১৮বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না-পার্বত্য উপদেষ্টা ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সবাইকে আইন-শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বৈষম্যমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা হবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দেশে গুড গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করবো। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কক্ষে উপদেষ্টার সাথে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যদের বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথ বলেন। গণঅধিকার পরিষদের সাথে পার্বত্য উপদেষ্টার বৈঠকে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাবো। পার্বত্য অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা লালন করে ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পাহাড়ি-বাঙালি সকলকে ভাই ভাই হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতার বিধান রাখা হবে। পাংখোয়া, মার্মা, খুমী, খেয়াং, বম, চাক, ম্রো, তঞ্চংগা, লুসাই, ত্রিপুরা, চাকমা, বাঙালি সব সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে সবাইকে সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্য পূরণে আমরা তিন পার্বত্য জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তুলতে চাই এবং পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তুলবো। উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এজন্য তিনি সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত রাজস্ব প্রদান নিশ্চিত করার জন্য সকল সামর্থবান মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির অভাব যাতে না হয় এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে নদী, নালা, ঝিরিগুলোর পানির প্রবাহ ঠিক করা হবে। সেগুন গাছের চেয়ে পার্বত্য জেলাগুলোতে প্রচুর বাঁশের চারা রোপণ করা হবে বলে জানান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রচুর আম হয়, দিঘীনালায় কোয়ালিটিসম্পন্ন লিচুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। আমরা আম গাছ, লিচু গাছসহ নানা প্রকার গাছ রোপণ করার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করতে চাই। উপদেষ্টা বলেন, সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতেই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকি। বৈঠককালে এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, গণঅধিকার পরিষদের ঊর্ধতন পরষিদ সদস্য ব্যারিস্টার জিসান মহসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। পরে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে তাদের ৯ দফা প্রস্তাবনা হস্তান্তর করেন। গণঅধিকার পরিষদের সদস্যরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং সরকারের উন্নয়ন কাজে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদানে আন্তরিক থাকবেন বলে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।