
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র প্রস্তাবনা অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকারের লীজকৃত এরিয়া ছাড়া কিছু স্থানীয় অসুাধ ও একটি কুচক্রীমহল কর্তৃক নদীর পাড় কাটাচক্রের হাত থেকে বালু মহাল এরিয়া এখন সুরক্ষিত রয়েছে।
আজ শুক্রবার যাদুকাটা নদীতে বিজিবির সদস্যদের টহল জোরদারের দৃশ্যটি নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর অসহায় মানুষের নজর কেড়েছে এবং তারা স্বস্থিতে নিঃশ্বাস ফেলছেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরা সম্ভাবণাময় পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে খ্যাত যাদুকাটা নদী ও বারিকেলটিলা,শিমুলবাগান এরিয়ে এখন সুরক্ষিত। নদীতে নেই কোন অবৈধ বালু উত্তেলেনে ড্রেজার মেশিনের তান্ডব। কিন্ত সপ্তাহখানের আগেও এই নদীতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কুচক্রীমহল দখলকৃত খাস জমি বিক্রি করেছিল বালুখেকোদের নিকট। যার কারণে নদী তীরবর্তী পাড়ের জমি অবৈধভাবে বালু লুট করে নেওয়ার কারণে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে সিভিল প্রশাসনকে সাথে নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে সীমান্ত বাহিনী বিজিবি”র সদস্যরা নদীর বালুমহালে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় নদীতে পূর্বে ও সৌন্দর্য্য আবারো ফিরে আসতে শুরু করেছে।
এলাকাবাসি বর্তমান স্থীতিশীল অবস্থা বজায় রেখে বৈধ উপায়ে ইজারাভূক্ত এলাকা থেকে সনাতন পদ্ধতিতে যেন ইজারাদারগণ বালু উত্তোলন করেন। এজন্য বিজিবি,পুলিশসহ প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপে সর্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার ফলে বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সরকার ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ান(বিজিবি)”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির জানান,ভবিষ্যৎ এ যদি কেহ নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে চেষ্টা করেন তাহলে সাথে সাথে সিভিল প্রশাসন,স্থানীয় জনসাধারনকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে । তিনি আরো বলেন,অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে চব্বিশ ঘন্টা বিজিবি”র সদস্যা নিয়োজিত থাকলে সীমান্ত সুরক্ষাসহ অস্ত্র,মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবি”র মূল দায়িত্ব ব্যাহত হবে বলে তিনি আশংঙ্কা প্রকাশ করেন। তাছাড়া দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার সম্ভাবণাসময় পর্যটন স্পষ্ট হিসেবে খ্যাত রুপের রানী যাদুকাটা,বারেকটিলা,শিমুলবাগান ও ৩৬০ আউলিয়ার দেশ পূণ্যভূমি সিলেট-সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর পাড়ে রয়েছে হযরত(রহঃ) শাহ আরেফিনের মাজার ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান শ্রী শ্রী অদ্বৈত মহাপ্রভূর বাড়িসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বর্তমান অবস্থা বজায় থাকলে লোকালয় পর্যটন স্পর্টসহ নদী,গ্রাম ভাঙ্গণ রোধ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিজস্ব সংবাদ : 




















