মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে জামায়াতের যুব সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগরীর দক্ষিনের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা:) অহি প্রাপ্তির পূর্বেই যৌবন কালকে সমাজ এবং রাষ্ট্রের কল্যানের কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। হিলফুল ফুজুল নামে বিশেষ সংগঠন করেছিলেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক বিবেধ, হিংসা-বিদ্ধেষ, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ করতে যৌবনের শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন। রাসুলের (সা:) ওই সংগঠন হিলফুল ফুজুলের ধারাবাহিকততায় সমাজ এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে আমাদের যুবক ভাইদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। বৈষম্যহীন নতুন একটি বাংলাদেশ গড়তে যুবকদের দায়িত্ব নিতে হবে। বাউফল উপজেলা অডিটরিয়ামে গত মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় প্রত্যাশিত বাউফল কাঙ্খিত নেতৃত্ব গড়ার লক্ষে বাউফল উপজেলা জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন যুব বিভাগের আয়োজনে যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিজ নির্বাচনী এলাকা বাউফলের প্রতি ইঙ্গিত করে এসময় তিনি বলেন ‘রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি চাই বৈষম্যহীন, হানাহানিমুক্ত, বিভেদহীন ও মাদকমুক্ত সুশিক্ষিত নতুন এক বাউফল।’ তিনি আরো বলেন, ‘তরুণ এবং যুবকদের হাতেই আগামির নতুন বাউফল গড়ার পতাকা তুলে দিতে চাই আমরা। আপনাদের মনে আছে ২০২৪ সালের জুলাই এবং আগষ্টের আন্দোলন ছিল ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ব্যাংক ডাকাতদের বিরুদ্ধে, শেয়ারবাজার লুন্ঠন কারীদের বিরুদ্ধে, আমাদের মা-বোনদের ইজ্জ্বত লুন্ঠনকারী ও ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে যারা পাহাড় গড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে, গুলি করে যারা গণহত্যা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে। আর ওই অন্দোলনে লড়াই করে যারা শহীদ হয়েছেন সেই আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধরা প্রমাণ করেছেন জুলাই ও আগষ্টের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী আমাদের ভাইয়েরা ছিলেন তরুন এবং যুবক। তাদের অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে আমাদেরকেও যদি জীবন বাজী রাখতে হয় তবে এই যুব সমাবেশে অঙ্গিকার করে যেতে চাই প্রয়োজনে আবু সাঈদ মীর মুগ্ধদের মতো যুবক ও তরুন সমাজকে সঙ্গে নিয়ে আমরাও তাদের কাতারে সামিল হতে পিছ পা হব না। আবু সাঈদ মীর মুগ্ধদের অর্জিত নতুন স্বাধীনতাকে কোন ভাবেই ব্যর্থ হতে দেব না।’
উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মো. রাসেল মাহমুদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুস সোবহান, উপজেলা আমির মো. রফিকুল্লাহ, মো. আবুল কাশেম, মো. খাইরুল কবির, মো. নজরুল ইসলাম প্রমূখ ।