ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা Logo সেনাবাহিনী প্রধানের রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পর্ষদের সাথে সাক্ষাৎ Logo পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলায় ৬টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে চুরি Logo দেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকের অভাব বাড়ছে: বগুড়ায় বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ Logo জনমুখী ও কার্যকর সেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে Logo সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সেনাসদস্য ও তার শিশু সন্তানকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় প্রেরণ প্রসঙ্গে Logo কালিগঞ্জে বন্ধু ফোরামের সাধারণ সভা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo কালিগঞ্জ উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে কৃষকদলের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo পিরোজপুরে তারেক রহমানের পক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo নলতা হাই স্কুল প্রাক্তন ছাত্র সোসাইটি’র কমিটি গঠন

সমস্ত ধর্মের মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ, কোন নাগরিক যেন আর মনে না করেন যে, তিনি বঞ্চিত। তাঁরা সমাজের মূল ধারার বাইরে আছে। আর এটাই বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ সবার ও বহুমাত্রিক দেশ। সমস্ত ধর্মের মানুষ, সমস্ত ভাষাগত ও নৃগোষ্ঠী মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের ৩৬ দিন, যেভাবে সমস্ত ধর্মের তরুণ- যুবকেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটার কিছদূর বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। তা পালনের চেষ্টা করছি। এক্ষত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আজ (১০ জানুয়ারি,শুক্রবার) ঢাকায় উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্ত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চল  আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেসব কাজ বাকী আছে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যে কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি এবং যে কাজগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে এটা অন্যতম।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, শ্রীলংকার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারসহ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, প্রাচীনকালে বহুবছর ধরে আমাদের জনপদ বৌদ্ধদের শাসনাধীনে ছিল। নেপালের লুম্বিনীতে বাংলাদেশর অর্থায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় একটি বৌদ্ধ বিহার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে পরস্পরের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি বৌদ্ধ মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও চুল্লি স্থাপনে ধর্ম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেড় মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাশ্মশানের জন্য যায়গা দিতে হবে। আমরা দিয়েছি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গার দখল বুজিয়ে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারেরঅধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, অন্তর্বতী সরকার প্রথম বারের মতো বৌদ্ধদেরকে মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম শেষকৃত্য (শবদাহ) করার জন্য রাজউক ঢাকার উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ (তেইশ) কাঠার প্লট বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পদন্নতিতে পুনরায় বৈষম্যের শিকার জনতা ব্যাংক অধিকাংশ কর্মকর্তা

সমস্ত ধর্মের মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

আপডেট সময় ০৫:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ, কোন নাগরিক যেন আর মনে না করেন যে, তিনি বঞ্চিত। তাঁরা সমাজের মূল ধারার বাইরে আছে। আর এটাই বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ সবার ও বহুমাত্রিক দেশ। সমস্ত ধর্মের মানুষ, সমস্ত ভাষাগত ও নৃগোষ্ঠী মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের ৩৬ দিন, যেভাবে সমস্ত ধর্মের তরুণ- যুবকেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটার কিছদূর বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। তা পালনের চেষ্টা করছি। এক্ষত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আজ (১০ জানুয়ারি,শুক্রবার) ঢাকায় উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্ত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চল  আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেসব কাজ বাকী আছে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যে কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি এবং যে কাজগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে এটা অন্যতম।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, শ্রীলংকার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারসহ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, প্রাচীনকালে বহুবছর ধরে আমাদের জনপদ বৌদ্ধদের শাসনাধীনে ছিল। নেপালের লুম্বিনীতে বাংলাদেশর অর্থায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় একটি বৌদ্ধ বিহার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে পরস্পরের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি বৌদ্ধ মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও চুল্লি স্থাপনে ধর্ম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেড় মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাশ্মশানের জন্য যায়গা দিতে হবে। আমরা দিয়েছি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গার দখল বুজিয়ে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারেরঅধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, অন্তর্বতী সরকার প্রথম বারের মতো বৌদ্ধদেরকে মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম শেষকৃত্য (শবদাহ) করার জন্য রাজউক ঢাকার উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ (তেইশ) কাঠার প্লট বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।