ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি Logo ফরিদপুর-৩: বিএনপির প্রার্থী নায়াব ইউসুফ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে Logo কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক লাখ ইয়াবা, প্রাইভেটকার ও মোবাইল উদ্ধার Logo মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা, আটক-২ Logo ডাকসু ভিপির ঘোষণা: “নিজের ভবিষ্যৎ দেখিয়ে দিছে!” মশাল মিছিলের প্রস্তুতি Logo নারী দুর্বৃত্ত, আইন ও সভ্য সমাজের মানদণ্ড Logo খুলনায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ৩৫টি ককটেল ও সরঞ্জাম উদ্ধার Logo ঢাকা ডিবি ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের Logo রাজশাহীতে বিচারকের পুত্র তাওসিফের মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তে জানা গেল

৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করনে উদেশ্য মানববন্ধন

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬০৮ বার পড়া হয়েছে

ভোলা প্রতিনিধি, ভোলা সদর: উপজেলার প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যের স্বীকার ৩য় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত ৭০০০ হাজারের অধিক (IPEMIS) ভূক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।   এ সময় শিক্ষকরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সেই সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের আগমনে আপামর জনতার মত বৈষম্যের শিকার বেতন বিহীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আশার সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করি আপনার মাধ্যমে বঞ্চিত ৭০০০ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মুখে হাসি ফোটাবেন।

আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, সাবেক প্রধান মন্ত্রী ০৯ই জানুয়ারি ২০১৩ ইং সনে সারাদেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের ঘোষণা দেন এবং ঘোষণার পূর্বেই মাঠ পর্যায় থেকে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য চাওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণ তরিঘড়ি করে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা প্রেরণ করেন। ফলে সারাদেশে আরও ৭০০০ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই সময় সকল শর্ত পূরণ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয় গুলো জাতীকরণের জন্য উপজেলা ও জেলা যাচাই-বাছাই এবং টাস্কফোর্স কমিটি জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় (IPEMIS) ভূক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন, সংবাদিক সম্মেলন এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ ইং সনে কাফনের কাপড় পড়ে ১৮ দিন আন্দোলনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং সনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রদান করা হয়। কিন্তু সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের দলীয়করণ ও গাফলতির কারণে তা জাতীয়করনের মুখ দেখেনি। ২০১৯ ইং সনে ৫৬ দিন প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালনরত অবস্থায় একজন শিক্ষক শাহাদাৎ বরণ করেন। ২০২০ ইং সনে করোনা ভাইরাসের কারণে অতিবাহিত হয়। ২০২১ ইং সনে প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, ফাকা গুলির মুখে দুদিন অবস্থান করি। ২০২২ ইং সনে ১৭ দিন, ২০২৩ ইং সনে ১৮দিন, ২০২৪ ইং সনে ৪ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৮ দিন অনশন কর্মসূচী পালন করি। সর্বশেষ ২০২৪ ইং সনে ২০ আগষ্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ৪ দিন সচিবালয়ের ২ গেটে অবস্থান কালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পিএস/সচিব স্যার এক দিনের সময় নিয়ে জাতীয়করণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিলে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করি।

২৭ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে পুনরায় কর্মসূচি ঘোষণা করলে ও আনসাররা রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপর হামলার করায় তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কর্মসূচী স্থগিত করি। পরবর্তীতে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬ এর সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ জাতীয়করণের প্রস্তাব বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রেরণ করবে বলে আমাদেরকে আশ্বাস প্রদান করেন। ফলে আমরা উক্ত কর্মসূচী স্থগিত করি। বৈষম্যের শিকার ৭০০০ হাজারের অধিক (IPEMIS) ভূক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করলে আপনার নাম ইতিহাসের পাতায় ও শিক্ষকদের অন্তরে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ ইউসুফ সভাপতি ও মোঃ মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ আল-আমিন সাগঠনিক সম্পাদক ভোলা জেলা শাখা, আরো বক্তব্য রাখেন স্থানিয় অন্যন্যা নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি

৭ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করনে উদেশ্য মানববন্ধন

আপডেট সময় ১০:০২:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ভোলা প্রতিনিধি, ভোলা সদর: উপজেলার প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যের স্বীকার ৩য় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত ৭০০০ হাজারের অধিক (IPEMIS) ভূক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণে জন্য মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।   এ সময় শিক্ষকরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সেই সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের আগমনে আপামর জনতার মত বৈষম্যের শিকার বেতন বিহীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আশার সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করি আপনার মাধ্যমে বঞ্চিত ৭০০০ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মুখে হাসি ফোটাবেন।

আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, সাবেক প্রধান মন্ত্রী ০৯ই জানুয়ারি ২০১৩ ইং সনে সারাদেশের সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের ঘোষণা দেন এবং ঘোষণার পূর্বেই মাঠ পর্যায় থেকে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য চাওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণ তরিঘড়ি করে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা প্রেরণ করেন। ফলে সারাদেশে আরও ৭০০০ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই সময় সকল শর্ত পূরণ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যালয় গুলো জাতীকরণের জন্য উপজেলা ও জেলা যাচাই-বাছাই এবং টাস্কফোর্স কমিটি জাতীয়করণের জন্য সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। এমতাবস্থায় (IPEMIS) ভূক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে মানববন্ধন, সংবাদিক সম্মেলন এবং স্মারকলিপির মাধ্যমে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ ইং সনে কাফনের কাপড় পড়ে ১৮ দিন আন্দোলনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ইং সনে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রদান করা হয়। কিন্তু সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের দলীয়করণ ও গাফলতির কারণে তা জাতীয়করনের মুখ দেখেনি। ২০১৯ ইং সনে ৫৬ দিন প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালনরত অবস্থায় একজন শিক্ষক শাহাদাৎ বরণ করেন। ২০২০ ইং সনে করোনা ভাইরাসের কারণে অতিবাহিত হয়। ২০২১ ইং সনে প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের টিয়ার সেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, ফাকা গুলির মুখে দুদিন অবস্থান করি। ২০২২ ইং সনে ১৭ দিন, ২০২৩ ইং সনে ১৮দিন, ২০২৪ ইং সনে ৪ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৮ দিন অনশন কর্মসূচী পালন করি। সর্বশেষ ২০২৪ ইং সনে ২০ আগষ্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ৪ দিন সচিবালয়ের ২ গেটে অবস্থান কালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পিএস/সচিব স্যার এক দিনের সময় নিয়ে জাতীয়করণের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিলে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করি।

২৭ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে পুনরায় কর্মসূচি ঘোষণা করলে ও আনসাররা রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপর হামলার করায় তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কর্মসূচী স্থগিত করি। পরবর্তীতে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬ এর সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করি এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ জাতীয়করণের প্রস্তাব বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রেরণ করবে বলে আমাদেরকে আশ্বাস প্রদান করেন। ফলে আমরা উক্ত কর্মসূচী স্থগিত করি। বৈষম্যের শিকার ৭০০০ হাজারের অধিক (IPEMIS) ভূক্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করলে আপনার নাম ইতিহাসের পাতায় ও শিক্ষকদের অন্তরে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ ইউসুফ সভাপতি ও মোঃ মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এবং মোঃ আল-আমিন সাগঠনিক সম্পাদক ভোলা জেলা শাখা, আরো বক্তব্য রাখেন স্থানিয় অন্যন্যা নেতৃবৃন্দ।