ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা Logo বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন শাখায় কর্তৃক সাধারণ সভা Logo অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও Logo যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা সে দেশকে আর আমরা সফল বলতে পারি না- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না’ Logo প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন Logo ভালুকায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ Logo দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার Logo পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার 

দুধের শিশুকেও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গোপন কারাগারে শিশুদেরও আটকে রেখেছিলেন। কমপক্ষে অর্ধ ডজন শিশু তাদের মায়েদের সাথে এমন কারাগারে ছিল জেলে মাসের পর মাস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশুদেরকে জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি তাদের দুধ খাওয়াতেও নিষেধ করা হয়েছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী একটি কমিশন  এতথ্য দিয়েছে। তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি একথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সী হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের মাধ্যমে তার পতনের পর পুরনো মিত্র ভারতে পালিয়ে যান। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যার মধ্যে শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত লোককে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুম অন্তর্ভুক্ত।  কমিশন বলেছে, তাদের কাছে এমন একাধিক যাচাইকৃত ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে। এমন সর্বশেষ ঘটনা ২০২৩ সালেও ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে  তার দুই ছোট বাচ্চাসহ গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ‘কখনো ফিরে আসেনি’ টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদেরকে গোপন বন্দীশালার  সেই কক্ষটি দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এই বন্দীশালাটি ছিল র‌্যাবের। তার মা আর ফিরে আসেনি।  আরেকটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল। শিশুটির বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য “মানসিক নির্যাতনের এক রূপ হিসেবে” শিশুটিকে মায়ের দুধ পান করতে দেওয়া হয়নি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা

দুধের শিশুকেও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা!

আপডেট সময় ০৫:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গোপন কারাগারে শিশুদেরও আটকে রেখেছিলেন। কমপক্ষে অর্ধ ডজন শিশু তাদের মায়েদের সাথে এমন কারাগারে ছিল জেলে মাসের পর মাস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশুদেরকে জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি তাদের দুধ খাওয়াতেও নিষেধ করা হয়েছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী একটি কমিশন  এতথ্য দিয়েছে। তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি একথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সী হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের মাধ্যমে তার পতনের পর পুরনো মিত্র ভারতে পালিয়ে যান। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যার মধ্যে শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত লোককে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুম অন্তর্ভুক্ত।  কমিশন বলেছে, তাদের কাছে এমন একাধিক যাচাইকৃত ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে। এমন সর্বশেষ ঘটনা ২০২৩ সালেও ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে  তার দুই ছোট বাচ্চাসহ গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ‘কখনো ফিরে আসেনি’ টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদেরকে গোপন বন্দীশালার  সেই কক্ষটি দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এই বন্দীশালাটি ছিল র‌্যাবের। তার মা আর ফিরে আসেনি।  আরেকটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল। শিশুটির বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য “মানসিক নির্যাতনের এক রূপ হিসেবে” শিশুটিকে মায়ের দুধ পান করতে দেওয়া হয়নি।