ঢাকা ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও Logo স্বর্ণের দাম আরও কমলো Logo প্রধান উপদেষ্টা, দেশের প্রধান বিচারপতি ও সেনা প্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে Logo বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন Logo চট্টগ্রামে হচ্ছে বিএসটিআইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি- শিল্প উপদেষ্টা Logo আমাদের রিক্সাওয়ালা ভাইয়েরা, লাইসেন্সিং সিস্টেমে চলে আসলে তাদেরকে আর কেও অবৈধ বলতে পারবে না- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সাথে শুল্ক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বর্ণাঢ্য আয়োজন Logo তথ্য কমিশনের সচিব হাওলাদার মো. রকিবুল বারীর মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

দুধের শিশুকেও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা!

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৭৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গোপন কারাগারে শিশুদেরও আটকে রেখেছিলেন। কমপক্ষে অর্ধ ডজন শিশু তাদের মায়েদের সাথে এমন কারাগারে ছিল জেলে মাসের পর মাস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশুদেরকে জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি তাদের দুধ খাওয়াতেও নিষেধ করা হয়েছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী একটি কমিশন  এতথ্য দিয়েছে। তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি একথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সী হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের মাধ্যমে তার পতনের পর পুরনো মিত্র ভারতে পালিয়ে যান। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যার মধ্যে শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত লোককে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুম অন্তর্ভুক্ত।  কমিশন বলেছে, তাদের কাছে এমন একাধিক যাচাইকৃত ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে। এমন সর্বশেষ ঘটনা ২০২৩ সালেও ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে  তার দুই ছোট বাচ্চাসহ গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ‘কখনো ফিরে আসেনি’ টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদেরকে গোপন বন্দীশালার  সেই কক্ষটি দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এই বন্দীশালাটি ছিল র‌্যাবের। তার মা আর ফিরে আসেনি।  আরেকটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল। শিশুটির বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য “মানসিক নির্যাতনের এক রূপ হিসেবে” শিশুটিকে মায়ের দুধ পান করতে দেওয়া হয়নি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও

দুধের শিশুকেও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা!

আপডেট সময় ০৫:৫৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনা গোপন কারাগারে শিশুদেরও আটকে রেখেছিলেন। কমপক্ষে অর্ধ ডজন শিশু তাদের মায়েদের সাথে এমন কারাগারে ছিল জেলে মাসের পর মাস। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশুদেরকে জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি তাদের দুধ খাওয়াতেও নিষেধ করা হয়েছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা তদন্তকারী একটি কমিশন  এতথ্য দিয়েছে। তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি একথা বলা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সী হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের মাধ্যমে তার পতনের পর পুরনো মিত্র ভারতে পালিয়ে যান। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যার মধ্যে শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত লোককে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুম অন্তর্ভুক্ত।  কমিশন বলেছে, তাদের কাছে এমন একাধিক যাচাইকৃত ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে। এমন সর্বশেষ ঘটনা ২০২৩ সালেও ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে  তার দুই ছোট বাচ্চাসহ গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ‘কখনো ফিরে আসেনি’ টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদেরকে গোপন বন্দীশালার  সেই কক্ষটি দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এই বন্দীশালাটি ছিল র‌্যাবের। তার মা আর ফিরে আসেনি।  আরেকটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল। শিশুটির বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য “মানসিক নির্যাতনের এক রূপ হিসেবে” শিশুটিকে মায়ের দুধ পান করতে দেওয়া হয়নি।