ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি সেহাংশু সরকার কুট্টি ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.মুজিবর রহমান টোটন Logo জলাশয় নয়, জমি নয়—টার্গেট আমি: মোশাহিদ তালুকদারের প্রতিবাদ Logo সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার Logo জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা Logo পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার Logo হলি আর্টিজানের ঘটনা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন প্রসঙ্গে Logo ৪৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo ডাইফের শ্রমিক হেল্পলাইন (১৬৩৫৭)-এর আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন Logo প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘকে মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গণমাধ্যমে স্ব-নিয়ন্ত্রণ প্রচারের আহ্বান জানিয়েছেন Logo আফতাবনগরে নির্মাণ সামগ্রী ফেলে বায়ুদূষণ: মোবাইল কোর্টে ৩ প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

হঠাৎ দুঃসংবাদ ভারতের জন্য

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা নেয়া। এবার আরও বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় হাসপাতালগুলো।  জানা গেছে, চীন ও তুরস্ক বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই হাসপাতালগুলো থেকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন দেশের মানুষ। ফলে আর ভারতে গিয়ে বিপুল টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হবে না। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছর চিন্ময় দাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কিছু চিকিৎসক ‘বাংলাদেশি রোগী দেখবেন না’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে চাপে ফেলা। তবে এবার তার ফল হতে চলেছে উল্টো।  ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিগত ৫ মাসে বাংলাদেশ থেকে রোগী আসা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তারা বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছেন। ধস নেমেছে কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য শহরের হাসপাতাল ব্যবসায়। আর রোগীর অভাবে গত পাঁচ মাসে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ভারতের অনেক হাসপাতালের।  এমতাবস্থায় ভারতের অনেক নাগরিকই মনে করেন, বাংলাদেশিদের বিপাকে ফেলার ছক কষতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে ভারত।  এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়রা মোদীর এই কূটচালের নিন্দা জানাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় আরও বিপাকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো। এছাড়াও ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পড়েছে ভারতীয় রুপীর দাম। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এতে ভারতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে তাদের বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।  এমন পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে বেইজিংয়ের সহায়তা এবং চীনে রোগী পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া চীনের সহযোগিতায় ঢাকার পূর্বাচলে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনাও দিয়েছেন তিনি। যার জমিসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সম্মতি জানিয়েছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিংয়ে তিন থেকে চারটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার অনুরোধ জানাবে ঢাকা। এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তুরস্কও দেশে আধুনিক হাসপাতাল তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি সেহাংশু সরকার কুট্টি ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.মুজিবর রহমান টোটন

হঠাৎ দুঃসংবাদ ভারতের জন্য

আপডেট সময় ০৬:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা নেয়া। এবার আরও বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় হাসপাতালগুলো।  জানা গেছে, চীন ও তুরস্ক বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই হাসপাতালগুলো থেকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন দেশের মানুষ। ফলে আর ভারতে গিয়ে বিপুল টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হবে না। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছর চিন্ময় দাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কিছু চিকিৎসক ‘বাংলাদেশি রোগী দেখবেন না’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে চাপে ফেলা। তবে এবার তার ফল হতে চলেছে উল্টো।  ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিগত ৫ মাসে বাংলাদেশ থেকে রোগী আসা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তারা বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছেন। ধস নেমেছে কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য শহরের হাসপাতাল ব্যবসায়। আর রোগীর অভাবে গত পাঁচ মাসে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ভারতের অনেক হাসপাতালের।  এমতাবস্থায় ভারতের অনেক নাগরিকই মনে করেন, বাংলাদেশিদের বিপাকে ফেলার ছক কষতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে ভারত।  এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়রা মোদীর এই কূটচালের নিন্দা জানাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় আরও বিপাকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো। এছাড়াও ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পড়েছে ভারতীয় রুপীর দাম। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এতে ভারতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে তাদের বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।  এমন পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে বেইজিংয়ের সহায়তা এবং চীনে রোগী পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া চীনের সহযোগিতায় ঢাকার পূর্বাচলে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনাও দিয়েছেন তিনি। যার জমিসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সম্মতি জানিয়েছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিংয়ে তিন থেকে চারটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার অনুরোধ জানাবে ঢাকা। এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তুরস্কও দেশে আধুনিক হাসপাতাল তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।