ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা Logo তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি Logo গোপালগঞ্জের সহিংসতা সম্পর্কে পুলিশ রিপোর্ট Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ময়মনসিংহের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন Logo শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে জাতীয় বৃক্ষমেলায় ‘গাছ চেনা প্রতিযোগিতা ২০২৫ Logo গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতির উপরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য : জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান

হঠাৎ দুঃসংবাদ ভারতের জন্য

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৮১ বার পড়া হয়েছে

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা নেয়া। এবার আরও বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় হাসপাতালগুলো।  জানা গেছে, চীন ও তুরস্ক বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই হাসপাতালগুলো থেকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন দেশের মানুষ। ফলে আর ভারতে গিয়ে বিপুল টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হবে না। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছর চিন্ময় দাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কিছু চিকিৎসক ‘বাংলাদেশি রোগী দেখবেন না’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে চাপে ফেলা। তবে এবার তার ফল হতে চলেছে উল্টো।  ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিগত ৫ মাসে বাংলাদেশ থেকে রোগী আসা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তারা বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছেন। ধস নেমেছে কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য শহরের হাসপাতাল ব্যবসায়। আর রোগীর অভাবে গত পাঁচ মাসে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ভারতের অনেক হাসপাতালের।  এমতাবস্থায় ভারতের অনেক নাগরিকই মনে করেন, বাংলাদেশিদের বিপাকে ফেলার ছক কষতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে ভারত।  এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়রা মোদীর এই কূটচালের নিন্দা জানাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় আরও বিপাকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো। এছাড়াও ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পড়েছে ভারতীয় রুপীর দাম। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এতে ভারতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে তাদের বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।  এমন পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে বেইজিংয়ের সহায়তা এবং চীনে রোগী পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া চীনের সহযোগিতায় ঢাকার পূর্বাচলে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনাও দিয়েছেন তিনি। যার জমিসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সম্মতি জানিয়েছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিংয়ে তিন থেকে চারটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার অনুরোধ জানাবে ঢাকা। এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তুরস্কও দেশে আধুনিক হাসপাতাল তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা

হঠাৎ দুঃসংবাদ ভারতের জন্য

আপডেট সময় ০৬:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বাংলাদেশি রোগীদের ভারতে চিকিৎসা নেয়া। এবার আরও বড় ধাক্কার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারতীয় হাসপাতালগুলো।  জানা গেছে, চীন ও তুরস্ক বাংলাদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই হাসপাতালগুলো থেকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন দেশের মানুষ। ফলে আর ভারতে গিয়ে বিপুল টাকা খরচ করে চিকিৎসা নিতে হবে না। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, গত বছর চিন্ময় দাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার কয়েকটি হাসপাতাল এবং কিছু চিকিৎসক ‘বাংলাদেশি রোগী দেখবেন না’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে চাপে ফেলা। তবে এবার তার ফল হতে চলেছে উল্টো।  ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিগত ৫ মাসে বাংলাদেশ থেকে রোগী আসা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে যেসব হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল, তারা বড় ধরণের ধাক্কা খেয়েছেন। ধস নেমেছে কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য শহরের হাসপাতাল ব্যবসায়। আর রোগীর অভাবে গত পাঁচ মাসে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে ভারতের অনেক হাসপাতালের।  এমতাবস্থায় ভারতের অনেক নাগরিকই মনে করেন, বাংলাদেশিদের বিপাকে ফেলার ছক কষতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে ভারত।  এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়রা মোদীর এই কূটচালের নিন্দা জানাচ্ছেন। এছাড়া বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় আরও বিপাকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলো। এছাড়াও ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পড়েছে ভারতীয় রুপীর দাম। ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। এতে ভারতে স্বাস্থ্যসেবা নিতে তাদের বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়।  এমন পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে বেইজিংয়ের সহায়তা এবং চীনে রোগী পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া চীনের সহযোগিতায় ঢাকার পূর্বাচলে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবনাও দিয়েছেন তিনি। যার জমিসহ অন্যান্য সুবিধা দিতে বাংলাদেশ সম্মতি জানিয়েছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিংয়ে তিন থেকে চারটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়ার অনুরোধ জানাবে ঢাকা। এছাড়া মন্ত্রণালয় আরও জানায়, তুরস্কও দেশে আধুনিক হাসপাতাল তৈরিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।