ঢাকা ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও Logo স্বর্ণের দাম আরও কমলো Logo প্রধান উপদেষ্টা, দেশের প্রধান বিচারপতি ও সেনা প্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে Logo বন ও প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনায় সকলের অংশগ্রহণ জরুরি।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন Logo চট্টগ্রামে হচ্ছে বিএসটিআইয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি- শিল্প উপদেষ্টা Logo আমাদের রিক্সাওয়ালা ভাইয়েরা, লাইসেন্সিং সিস্টেমে চলে আসলে তাদেরকে আর কেও অবৈধ বলতে পারবে না- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সাথে শুল্ক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে Logo জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বর্ণাঢ্য আয়োজন Logo তথ্য কমিশনের সচিব হাওলাদার মো. রকিবুল বারীর মৃত্যুতে তথ্য উপদেষ্টার শোকপ্রকাশ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৭

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৬১ বার পড়া হয়েছে
ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোঃ মনোয়ার হোসেন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১৬ ইস্ট বেঙ্গল)
ক্যাপ্টেন মোঃ মনোয়ার হোসেন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল গত ৬ ডিসেম্বর ১৯৭৫ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ২য় স্বল্প মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জোনে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, রাঙ্গামাটি জোনের অন্তর্গত মানিকছড়ি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার থাকাকালে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে প্রায় ১০ মাইল দূরে ‘মরকিলা’ নামক গ্রামে শান্তি বাহিনীর অবস্থান ও কার্যকলাপের তথ্য জানতে পারেন। তিনি দ্রুততার সাথে তাঁর অভিযান দল প্রস্তুত করে দুর্গম এলাকায় দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে লক্ষ্যবস্তুর নিকটে পৌঁছান। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসী দল গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেনাবাহিনীর অভিযান দল সুদক্ষভাবে বিভিন্ন অবস্থান থেকে পাল্টা গুলিবর্ষন করে এবং একপর্যায়ে সন্ত্রাসী দলটি নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
এই অভিযানে শান্তি বাহিনীর ০৮ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং ০১ জনকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। এছাড়াও ০৪ টি রাইফেল, ০১ টি এসএমজি, ৬৩০ টি রাইফেলের গুলি, মূল্যবান দলিল পত্র ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য যে, নিজস্ব বাহিনীর ক্যাপ্টেন মোঃ মনোয়ার হোসেন, হাবিলদার ইমদাদ হোসেন, ল্যান্স নায়েক জাইদুল হোসেন ভূইয়া ও সিপাহী ভুবন মোহন ত্রিপুরা এই অভিযানে আহত হন।
পরবর্তীতে, গত ২০ নভেম্বর ১৯৭৯ তারিখে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্যাপ্টেন মোঃ মনোয়ার হোসেনকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ অনৈতিক আচরণের অভিযোগ, তদন্তে ইউএনও

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৭

আপডেট সময় ০৫:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোঃ মনোয়ার হোসেন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ১৬ ইস্ট বেঙ্গল)
ক্যাপ্টেন মোঃ মনোয়ার হোসেন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল গত ৬ ডিসেম্বর ১৯৭৫ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে ২য় স্বল্প মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জোনে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর, রাঙ্গামাটি জোনের অন্তর্গত মানিকছড়ি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার থাকাকালে বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে প্রায় ১০ মাইল দূরে ‘মরকিলা’ নামক গ্রামে শান্তি বাহিনীর অবস্থান ও কার্যকলাপের তথ্য জানতে পারেন। তিনি দ্রুততার সাথে তাঁর অভিযান দল প্রস্তুত করে দুর্গম এলাকায় দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে লক্ষ্যবস্তুর নিকটে পৌঁছান। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসী দল গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেনাবাহিনীর অভিযান দল সুদক্ষভাবে বিভিন্ন অবস্থান থেকে পাল্টা গুলিবর্ষন করে এবং একপর্যায়ে সন্ত্রাসী দলটি নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
এই অভিযানে শান্তি বাহিনীর ০৮ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং ০১ জনকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়। এছাড়াও ০৪ টি রাইফেল, ০১ টি এসএমজি, ৬৩০ টি রাইফেলের গুলি, মূল্যবান দলিল পত্র ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য যে, নিজস্ব বাহিনীর ক্যাপ্টেন মোঃ মনোয়ার হোসেন, হাবিলদার ইমদাদ হোসেন, ল্যান্স নায়েক জাইদুল হোসেন ভূইয়া ও সিপাহী ভুবন মোহন ত্রিপুরা এই অভিযানে আহত হন।
পরবর্তীতে, গত ২০ নভেম্বর ১৯৭৯ তারিখে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্যাপ্টেন মোঃ মনোয়ার হোসেনকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।