
মো: খলিলুর রহমান. বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফলে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় একজন সেনা সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ৩ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার দক্ষিন কনকদিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিন কনকদিয়া হাওলাদার বাড়ীর আনোয়ার হোসেন ও আবদুর রহিম গংদের সাথে সোয়া তিন শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিলো। সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে উভয় পক্ষের মানীত শালিশ মাহবুব খান, সালাম মোল্লা ও সার্ভেয়ার ফরহাদ তালুকদার বিরোধপূর্ণ জমিজমার বিষয় আনোয়ার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু এতে মনপুত হয়নি রহিম গংদের। সেনা সদস্য আবদুর রহিম ছুটিতে এসে বাউফলের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। বিষয়টি সেনা বাহিনী আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রতীক কুমার কুন্ডকে দায়িত্ব দেন।
ভূমি অফিস সকল কাগজ পর্যালোচনা করে আনোয়ার গংদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। আর এতেই চরম ক্ষিপ্ত হন সেনা সদস্য আবদুর রহিম। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিলবিলাস, মদনপুরা ও কনকদিয়া এলাকার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র লাঠি ও রামদা নিয়ে আনোয়ার গংদের বসত ঘরে হামলা চালায়। বসত ঘরে রক্ষিত সকল মালামাল ঘরের বেড়া ও ছোট বাচ্চাদের উপরও হামলা করে তারা। বাঁধা দিলে মোসা রিনা (২৮), স্বামী সুমন হাওলাদার, মোসা শিরীনা বেগম (২৫) স্বামী শামিম হাওলাদার, মো. শহিদ হাওলাদার (৫২), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. তানভির হোসেন, মো. খলিলুর রহমান, ফজলুল করিম, শামীম হাওলাদার ও ছোট্ট শিশু (৯) সাদিয়াসহ প্রায় ১১ জন আহত হয়। ওই সময় সেনা সদস্য আবদুর রহিমও গুরুতর আহত হন। দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই সময় তারা ৬ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। আহতদের মধ্যে রিনা. শিরীন ও শহীদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎস্যার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, আবদুর রহিম যখনই এলাকায় আসেন তখনই বখাটে ছেলেদের নিয়ে এলাকার ভিতরে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। অপরদিকে আবদুর রহিম জানান, তারা আওয়ামী দোষর, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। আমি আমার পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি রক্ষার জন্য দখলে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে আমাকে গুরুরতর জখম করে। বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।