ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাবিতে ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি; মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo অসচ্ছল, অসুস্থ ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের মাঝে ক্রীড়াভাতা বিতরণ উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo রাজধানীর যাত্রবাড়ী ও শাহবাগে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ সদস্য গ্রেফতার Logo ভূমিকম্প মোকাবিলায় বিশেষায়িত টিম গঠন ও প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু Logo প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপের রূপরেখা দেন Logo ইউনেস্কোর মেক্সিকান প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস প্যাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন Logo বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর এর বৈঠক 

কৃষক ভবেশের মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ভারতের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫২৭ বার পড়া হয়েছে
আলী আহসান রবি: ২০ এপ্রিল ২০২৫, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারের বক্তব্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোনো বৈষম্যের শিকার হন। বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে।’ প্রেস সচিব বলেন, ‘এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, ভুক্তভোগী আগে থেকে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার কারো সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানায়নি।’ শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য।’ এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় কয়েকজন দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে ভবেশের বাড়িতে আসেন। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী বাজারে যাওয়ার কথা বলে ভবেশকে তাঁদের মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে রাতে তাঁর অসুস্থতার খবর পায় পরিবার। অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ এক্সে পোস্টে দাবি করা হয়, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবিতে ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি; মোটরসাইকেল উদ্ধার

কৃষক ভবেশের মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ভারতের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০২:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
আলী আহসান রবি: ২০ এপ্রিল ২০২৫, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারের বক্তব্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোনো বৈষম্যের শিকার হন। বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে।’ প্রেস সচিব বলেন, ‘এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, ভুক্তভোগী আগে থেকে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার কারো সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানায়নি।’ শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য।’ এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় কয়েকজন দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে ভবেশের বাড়িতে আসেন। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী বাজারে যাওয়ার কথা বলে ভবেশকে তাঁদের মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে রাতে তাঁর অসুস্থতার খবর পায় পরিবার। অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ এক্সে পোস্টে দাবি করা হয়, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।