ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শাকিল ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে সরকারের ব্যাখ্যা Logo জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রুপরেখা তৈরি হবে—-আহবায়ক নাহিদ ইসলাম Logo নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত Logo ইমপ্লিমেন্টেশন অব এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমস (ইআইএস) পাইলট’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo বরাদ্দকৃত সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ (বারো) টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল Logo পানি আইন ২০১৩ এর আওতায় হাওরে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই সুরক্ষা আদেশ চূড়ান্ত করা হবে—- উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লি. ও জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৫২ টাকার চেক হস্তান্তর Logo পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo ২ অক্টোবর থেকে সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সামগ্রী।- মন্ত্রিপরিষদ সচিব Logo বৃষ্টি উপেক্ষা করে মহিষখলা পশুর হাটে গরুর ক্রেতা-বিক্রেতা

কৃষক ভবেশের মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ভারতের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
আলী আহসান রবি: ২০ এপ্রিল ২০২৫, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারের বক্তব্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোনো বৈষম্যের শিকার হন। বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে।’ প্রেস সচিব বলেন, ‘এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, ভুক্তভোগী আগে থেকে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার কারো সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানায়নি।’ শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য।’ এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় কয়েকজন দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে ভবেশের বাড়িতে আসেন। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী বাজারে যাওয়ার কথা বলে ভবেশকে তাঁদের মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে রাতে তাঁর অসুস্থতার খবর পায় পরিবার। অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ এক্সে পোস্টে দাবি করা হয়, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শাকিল ও ফারজানা রুপাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে সরকারের ব্যাখ্যা

কৃষক ভবেশের মৃত্যু কে কেন্দ্র করে ভারতের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০২:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
আলী আহসান রবি: ২০ এপ্রিল ২০২৫, দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় ভবেশ চন্দ্র রায় (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বক্তব্যকে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারের বক্তব্য নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘‘দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতার’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘আমরা এই ভিত্তিহীন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করছি।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন দেশ নয়, যেখানে সংখ্যালঘুরা সরকারের সমর্থনে কোনো বৈষম্যের শিকার হন। বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে অধিকার রক্ষা করে।’ প্রেস সচিব বলেন, ‘এই নির্দিষ্ট ঘটনায়, আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, ভুক্তভোগী আগে থেকে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবার কারো সঙ্গে বাইরে যাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহজনক বিষয় জানায়নি।’ শফিকুল আলম জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ভিসেরা বিশ্লেষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি, ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য।’ এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় কয়েকজন দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে ভবেশের বাড়িতে আসেন। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী বাজারে যাওয়ার কথা বলে ভবেশকে তাঁদের মোটরসাইকেলে তুলে নেন। পরে রাতে তাঁর অসুস্থতার খবর পায় পরিবার। অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে। এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ এক্সে পোস্টে দাবি করা হয়, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি ধারাবাহিক নিপীড়নের অংশ, যেখানে হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং পূর্বের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা বিনা শাস্তিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।