ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছে ধর্ম উপদেষ্টা Logo জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত Logo বেদখল হওয়া খাসজমি উদ্ধারে সম্ভব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে  – খাদ্য ও ভূমি  উপদেষ্টা Logo দেশের খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক- খাদ্য উপদেষ্টা Logo পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কয়লা বোঝাই ট্রাকসহ বেইলি ব্রিজ ভেঙে খালে যান চলাচল বন্ধ Logo আড়িয়াল বিলকে সংরক্ষিত এলাকা অথবা বিশেষ জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হবে——-উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার ২০২৪” এর জন্য ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত Logo জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের রাজস্ব আহরণ অগ্রগতি পর্যালোচনা Logo শিশুশ্রম বন্ধে সরকারের অঙ্গীকার: কোনো শিশুই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত থাকবে না Logo নওগাঁয় শুরু হয়েছে তিন দিননব্যাপী জাতীয় ফল মেলা

সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়; দুর্ধর্ষ চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আটক, মারধর ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুর্ধর্ষ এক চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। নাজমুন নাহার সুখী (২৮) ২। কামরুন নাহার আঁখি (৩২) ৩। রুমানা ইসলাম স্মৃতি (৫০) ও ৪। মোঃ সাফাত ইসলাম লিংকন (২৫)।
শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকা হতে ০২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ভাটারার বসুমতি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত কামরুন নাহার আঁখি তার পূর্ব পরিচিত। ভিকটিমের নিকট হতে বিভিন্ন প্রয়োজনে গত ৩-৪ মাসে ৫ লাখ টাকা ধার নেয় আঁখি। পরবর্তীতে ভিকটিম টাকা ফেরত চাইলে আঁখি টালবাহানা শুরু করে। গত ১৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসেন ভিকটিম। পরদিন (১৯ এপ্রিল) বিকেলে তার আরেক পূর্ব পরিচিত নাজমুন নাহার তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের গেট থেকে ছোলমাইদ উত্তরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গ্রেফতারকৃত চারজনসহ অজ্ঞাতনামা একজন ভিকটিমকে আটক করে। সেখানে সাফাত ইসলাম বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে এবং অন্যরা তার হাত-পা বেঁধে মারধর করে। অত:পর তারা ভিকটিমের নিকট এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ৬০ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেন। এরপর তারা ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির ভাটারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলা রুজুর পর ভাটারা থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্যদের চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে শনিবার রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকা হতে ০২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ভাটারা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা সমাজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে তাদের ব্ল্যাকমেইলের জাল বিস্তার করে। প্রথমে তারা তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। সখ্যতার এক পর্যায়ে ভিকটিমদের একটি বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে আটক, নির্মম মারধর, চাঁদা আদায় এবং নগ্ন ভিডিও ধারণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রের পলাতক এক সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সকল ধরনের অপরাধ দমনে ডিএমপি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনসাধারণকে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করতে আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হজযাত্রীর কোটা না বাড়িয়ে এক হাজারই বহাল রাখতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছে ধর্ম উপদেষ্টা

সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়; দুর্ধর্ষ চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

আপডেট সময় ১০:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আটক, মারধর ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুর্ধর্ষ এক চক্রের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভাটারা থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। নাজমুন নাহার সুখী (২৮) ২। কামরুন নাহার আঁখি (৩২) ৩। রুমানা ইসলাম স্মৃতি (৫০) ও ৪। মোঃ সাফাত ইসলাম লিংকন (২৫)।
শনিবার (২৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকা হতে ০২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ভাটারার বসুমতি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উচ্চপদস্থ একজন সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেফতারকৃত কামরুন নাহার আঁখি তার পূর্ব পরিচিত। ভিকটিমের নিকট হতে বিভিন্ন প্রয়োজনে গত ৩-৪ মাসে ৫ লাখ টাকা ধার নেয় আঁখি। পরবর্তীতে ভিকটিম টাকা ফেরত চাইলে আঁখি টালবাহানা শুরু করে। গত ১৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় আসেন ভিকটিম। পরদিন (১৯ এপ্রিল) বিকেলে তার আরেক পূর্ব পরিচিত নাজমুন নাহার তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের গেট থেকে ছোলমাইদ উত্তরপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে গ্রেফতারকৃত চারজনসহ অজ্ঞাতনামা একজন ভিকটিমকে আটক করে। সেখানে সাফাত ইসলাম বালিশ দিয়ে তার মুখ চেপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে এবং অন্যরা তার হাত-পা বেঁধে মারধর করে। অত:পর তারা ভিকটিমের নিকট এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ৬০ লক্ষ ২৩ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে তাদেরকে দেন। এরপর তারা ভিকটিমের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির ভাটারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, মামলা রুজুর পর ভাটারা থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্যদের চিহ্নিত ও তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে শনিবার রাত আনুমানিক ০১:৩০ ঘটিকা হতে ০২:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ভাটারা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে আদায়কৃত চাঁদার ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা সমাজের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে তাদের ব্ল্যাকমেইলের জাল বিস্তার করে। প্রথমে তারা তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। সখ্যতার এক পর্যায়ে ভিকটিমদের একটি বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে আটক, নির্মম মারধর, চাঁদা আদায় এবং নগ্ন ভিডিও ধারণের মতো ঘৃণ্য অপরাধ করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চক্রের পলাতক এক সদস্যকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সকল ধরনের অপরাধ দমনে ডিএমপি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনসাধারণকে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করতে আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।