
আলী আহসান রবি:
ঢাকা, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি.
রাজধানীর আদাবরের শ্যামলী হাউজিং এলাকায় পুলিশ সদস্য আল-আমিনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় কুখ্যাত ‘কবজি কাটা’ গ্রুপের দুইভাই ১। মো. জনি (২৪) ও ২। মো. রনি (২৭)-সহ নয় জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যান্যরা হলো- ৩। মো. ওসমান (২০) ৪। মো. নাজির (২০) ৫। মো. রাজু (২৭) ৬। মো. শাকিল (১৯) ৭। মো. আবুল কামাল আজাদ (১৯) ৮। মো. রেজু খান আলম (২২) এবং ৯। মো. আল-আমিন (১৮)।
গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাত আনুমানিক ৮.২৫ ঘটিকায় আদাবর শ্যামলী হাউজিং এলাকায় একটি অপহরণের ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অপহরণকারীরা পুলিশ ও সংবাদদাতাদের ওপর অতর্কিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্য আল-আমিনের হাতের কবজি ও বাম হাতে গুরুতর কাটার জখম হয়। এছাড়া, অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও বিভিন্ন মাত্রায় আহত হন। হামলাকারীরা পুলিশের টহল গাড়ি ভাঙচুর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার পরেই ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের একাধিক আভিযানিক দল এই গ্যাং সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ০৩.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ ও সাভার এলাকা থেকে ‘কবজি কাটা গ্রুপের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে দুটি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃতরা রাজধানীর মোহাম্মদপুর-আদাবর এলাকার ভয়ঙ্কর “কবজি কাটা” গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গ্রুপের প্রধান কবজি কাটা আনোয়ার জেলে থাকায় জনি ও রনি এলাকায় গ্রুপটি পরিচালনা করছিল। তারা পুলিশের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারি, মাদক সেবন, ইভটিজিং, অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও জবর দখলের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।