ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খানজাহান আলী (রঃ) মাজার জিয়ারত শেষে কবির নেওয়াজ কে ফুলেল শুভেচ্ছা Logo নওগাঁয় ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের ঈদ পুনর্মিলনী ও মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo বিবি গভর্নর যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগদান করেছেন Logo বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo প্রধান উপদেষ্টা এবং গর্ডন ব্রাউন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং রোহিঙ্গা শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেছেন Logo প্রধান উপদেষ্টা জরিপ জাহাজ এইচএমএস এন্টারপ্রাইজ সম্পর্কে অবহিত Logo সুনামগঞ্জে মরিচ ক্ষেতে মিলল সক্রিয় গ্রেনেড, সেনাবাহিনীর নিপুণ অভিযানে নিষ্ক্রিয় Logo বাউফলে স্বেচ্ছাসেবক দলের চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম; মামলা না নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে- প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস Logo দাতিয়াপাড়ায় জমজমাট ফুটবল ফাইনাল, ক্রীড়াপ্রেমে মুখর জনতা — বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়

সুনামগঞ্জে মরিচ ক্ষেতে মিলল সক্রিয় গ্রেনেড, সেনাবাহিনীর নিপুণ অভিযানে নিষ্ক্রিয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৫২৯ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কাইয়ুম বাদশাহ: মধ্যনগর, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকার একটি মরিচ ক্ষেত থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের সক্রিয় একটি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে জমির মালিক কৃষক সাব্বির আহমদ তাঁর মরিচক্ষেতে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানান। পরে এলাকাবাসী সেটি দেখে নিশ্চিত হন এটি গ্রেনেডের মতো কিছু এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেন।

খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে বিষয়টি জানায়। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় এটি একটি সক্রিয় K36 অথবা M36 মডেলের গ্রেনেড।

পরে তারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন,

“স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচক্ষেতে একটি গ্রেনেড পাওয়া গেছে মর্মে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হই এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সেনাবাহিনীকে জানাই। পরে শান্তিগঞ্জ সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে।”

শান্তিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, “উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি K36 অথবা M36 মডেলের সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি হয়তো মাটির নিচে চাপা ছিল, অথবা অন্য কোথাও থেকে কেউ এখানে এনেছে। পুলিশ আমাদের জানালে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সফলভাবে এটি নিষ্ক্রিয় করি।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও সেনাবাহিনীর দ্রুত ও সুপরিকল্পিত অভিযানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে স্থানীয়রা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খানজাহান আলী (রঃ) মাজার জিয়ারত শেষে কবির নেওয়াজ কে ফুলেল শুভেচ্ছা

সুনামগঞ্জে মরিচ ক্ষেতে মিলল সক্রিয় গ্রেনেড, সেনাবাহিনীর নিপুণ অভিযানে নিষ্ক্রিয়

আপডেট সময় ১১:২৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

মোঃ কাইয়ুম বাদশাহ: মধ্যনগর, সুনামগঞ্জ, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ পয়েন্ট এলাকার একটি মরিচ ক্ষেত থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের সক্রিয় একটি গ্রেনেড উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে জমির মালিক কৃষক সাব্বির আহমদ তাঁর মরিচক্ষেতে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি গ্রেনেড সদৃশ বস্তু দেখতে পান। বিষয়টি তিনি স্থানীয় লোকজনকে জানান। পরে এলাকাবাসী সেটি দেখে নিশ্চিত হন এটি গ্রেনেডের মতো কিছু এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেন।

খবর পেয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে শান্তিগঞ্জ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে বিষয়টি জানায়। শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গ্রেনেডটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় এটি একটি সক্রিয় K36 অথবা M36 মডেলের গ্রেনেড।

পরে তারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গিয়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন,

“স্থানীয় কৃষক সাব্বির আহমদের মরিচক্ষেতে একটি গ্রেনেড পাওয়া গেছে মর্মে খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত হই এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ সেনাবাহিনীকে জানাই। পরে শান্তিগঞ্জ সেনা ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে।”

শান্তিগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. কর্নেল আল হোসাইন বলেন, “উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি K36 অথবা M36 মডেলের সক্রিয় গ্রেনেড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই মডেলের গ্রেনেড ব্যবহৃত হতো। এটি হয়তো মাটির নিচে চাপা ছিল, অথবা অন্য কোথাও থেকে কেউ এখানে এনেছে। পুলিশ আমাদের জানালে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সফলভাবে এটি নিষ্ক্রিয় করি।”

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও সেনাবাহিনীর দ্রুত ও সুপরিকল্পিত অভিযানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে স্থানীয়রা।