ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২ Logo মেরিটাইম ইন্ড্রাস্টিকে নিরাপদ ও ডিজিটাল করতে বিএসসিএল ও স্টারনুলার মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর Logo শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা-বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন——- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo কালো ধোঁয়া ও নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মোবাইল কোর্ট অভিযানে জরিমানা ও সতর্কবার্তা Logo কোম্পানির মুনাফার জায়গা গোখাদ্য হতে পারে না-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে -পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তায় নিয়োজিত চিকিৎসাদলকে সংবর্ধনা Logo মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • ৬১৮ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,ডিজিটাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল ফোন অপারেটরসহ যেকোন বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে গ্রামীফোনের মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। আমরা সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ডিজিটাল বাংলদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সুলভ মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে জনাব পলক বলেন, দেশে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫হাজার টাকা এবং ইন্টার নেট ব্যবহারকারি ছিল ৪০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণের জন্য ইন্টারনেট সহজ লভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০টাকায় নির্ধারণ করেছেন। দেশে বর্তর্মানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে ৫ হাজার দুইশত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে পঞ্চগড়ের দয়াল বর্মণ, কুষ্টিয়ার ইউটিউব গ্রাম, ৭ লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করতে পারছে। সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরদের ইউনিফাই লাইসেন্স গাইড লাইন করায় এখন মোবাইল অপারেটররাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। ন্যুনতম ২০এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাই=এর।

‘আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা । জনাব পলক বলেন, জনগণের উন্নয়নে প্রচেষ্টা থাকলে অপারেটরদের হাত বেধে পানিতে ফেলে দেয়া হবে না। তাদের নৌকায় উঠিয়ে পাল তুলে দেবো।

অনুষ্ঠানে জিপিফাই এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, আবুল কাশেম মহিউদ্দি ও মইনুল মোমেন। তারা জানান, আনলিমিটেড তিনটি প্যাকেজ থাকছে জিপিফাই-এ। আনলিমিটেডে ১০টি ডিভাইসে সংযুক্ত করতে পরাবেন হোম ইউজাররা। থাকবে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলিং। এজন্য আনা হয়েছে দুইটি রাউটার। এর একটির দাম ৪ হাজার ও অন্যটি ৭ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ইন্টারনেট নারীদের জন্য আশীর্বাদ। ইন্টারনেটের শক্তি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছেন গ্রামের মানুষ। দেশের ৯৯ শতাংশ অঞ্চলেই রয়েছে আমাদের নেটওয়ার্ক। গ্রামীণফোনের রয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ ব্যবহারকারী। আমরা এখন এআই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি। এটা খরচ বাঁচাতে নয় সেবার মান উন্নয়নে করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩২

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে: জুনাইদ আহমেদ পলক

আপডেট সময় ০৪:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,ডিজিটাইজেশন হচ্ছে বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করতে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল ফোন অপারেটরসহ যেকোন বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় এক হোটেলে গ্রামীফোনের মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। আমরা সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ডিজিটাল বাংলদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সুলভ মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে জনাব পলক বলেন, দেশে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫হাজার টাকা এবং ইন্টার নেট ব্যবহারকারি ছিল ৪০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণের জন্য ইন্টারনেট সহজ লভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০টাকায় নির্ধারণ করেছেন। দেশে বর্তর্মানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে ৫ হাজার দুইশত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে পঞ্চগড়ের দয়াল বর্মণ, কুষ্টিয়ার ইউটিউব গ্রাম, ৭ লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করতে পারছে। সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরদের ইউনিফাই লাইসেন্স গাইড লাইন করায় এখন মোবাইল অপারেটররাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। ন্যুনতম ২০এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাই=এর।

‘আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা । জনাব পলক বলেন, জনগণের উন্নয়নে প্রচেষ্টা থাকলে অপারেটরদের হাত বেধে পানিতে ফেলে দেয়া হবে না। তাদের নৌকায় উঠিয়ে পাল তুলে দেবো।

অনুষ্ঠানে জিপিফাই এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, আবুল কাশেম মহিউদ্দি ও মইনুল মোমেন। তারা জানান, আনলিমিটেড তিনটি প্যাকেজ থাকছে জিপিফাই-এ। আনলিমিটেডে ১০টি ডিভাইসে সংযুক্ত করতে পরাবেন হোম ইউজাররা। থাকবে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলিং। এজন্য আনা হয়েছে দুইটি রাউটার। এর একটির দাম ৪ হাজার ও অন্যটি ৭ হাজার টাকা।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ইন্টারনেট নারীদের জন্য আশীর্বাদ। ইন্টারনেটের শক্তি কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছেন গ্রামের মানুষ। দেশের ৯৯ শতাংশ অঞ্চলেই রয়েছে আমাদের নেটওয়ার্ক। গ্রামীণফোনের রয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ ব্যবহারকারী। আমরা এখন এআই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছি। এটা খরচ বাঁচাতে নয় সেবার মান উন্নয়নে করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।