ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জে তেলবাহী লরিতে অভিনব কায়দায় পাচারকালে প্রায় সোয়া ০১ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাইপণ্য জব্দ। Logo টেকনাফে নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বিজিবি Logo গাইবান্ধায় ১৪৯০মিটার দীর্ঘ “মওলানা ভাসানী সেতু” উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo সুনামগঞ্জে ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘অভিযোজন এক্সপো’ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, Logo ফায়ারফাইটার নিয়োগে ঢাকা ও সিলেট বিভাগের (পুরুষ) প্রার্থীদের মাঠ পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন Logo রংপুর জেলায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন Logo মৌলভীবাজারে কনস্টেবল পদে নিয়োগ জুন – ২০২৫ এর কার্যক্রম শুরু Logo সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নিকট পেশ Logo হাতি সংরক্ষণে আবাসস্থল রক্ষা,করিডোর মুক্তকরণ ও সচেতনতা জরুরি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের তথ্য অধিকার আইন জানা গুরুত্বপূর্ণ:সিনিয়র সচিব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে
আলী আহসান রবি: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ.এস.এম সালেহ আহমেদ বলেছেন; প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য তথ্য অধিকার আইন জানা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে, সেই সাথে জনগণের প্রতি তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এই আইনের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীগণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নিজ দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে। অপরদিকে তথ্য অধিকার আইন এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ দুটি ভিন্ন আইন যা সরকারি গোপনীয়তা এবং তথ্য প্রকাশের সাথে সম্পর্কিত। তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ নাগরিকদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করে,যেখানে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩, কিছু নির্দিষ্ট সরকারি তথ্য প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা মূলত জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা এবং গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্কিত অপরাধগুলির জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইন মুখস্ত করার কোনো বিষয় নয় চর্চায় বিষয় । আর চর্চার জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।

আজ (বুধবার) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ২০২৫-২৫ অর্থবছরে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে ‘তথ্য অধিকার আইন এবং The Official Secrets Act, 1923’ বিষয়ক ‘’প্রশিক্ষণে’’ সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন; তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর মাধ্যমে জনগণ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তথ্য জানার অধিকার লাভ করে। এটি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকরা সরকারের কাছ থেকে তথ্য জানতে চাইতে পারে,তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক নয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো- জনগণের ক্ষমতায়ন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,দুর্নীতি হ্রাস করা, গণতন্ত্রের উন্নতি করা।

উল্লেখ্য, তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ ২০ অক্টোবর ২০০৮জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশই ২৯মার্চ ২০০৯ সালে সংসদে পাস করে একই বছর ১জুলাই ২০০৯ সালে এটি কার্যকর হয়। আঠারোশ নিরানব্বই সাল থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত লর্ড কার্জন যখন ভারতবর্ষের ভাইসরয় ছিলেন তখন এই আইন প্রণয়ন করা হয়। বেশ কয়েক-দফা সংশোধিত হয়ে ১৯২৩ সালে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট জারি করা হয় এবং ওই বছরের এপ্রিল মাসের ২ তারিখ থেকে কার্যকর করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ ও বাংলাদেশ লজ (রিভিশন অ্যান্ড ডিকলারেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুসারে ‘The Official Secrets Act, 1923’ প্রচলিত আইন হিসেবে বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন অনুবিভাগ) মো: শরিফুল ইসলাম। দশম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের এই প্রশিক্ষনে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে তেলবাহী লরিতে অভিনব কায়দায় পাচারকালে প্রায় সোয়া ০১ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাইপণ্য জব্দ।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের তথ্য অধিকার আইন জানা গুরুত্বপূর্ণ:সিনিয়র সচিব

আপডেট সময় ১১:০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
আলী আহসান রবি: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ.এস.এম সালেহ আহমেদ বলেছেন; প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য তথ্য অধিকার আইন জানা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে, সেই সাথে জনগণের প্রতি তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এই আইনের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীগণ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নিজ দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে। অপরদিকে তথ্য অধিকার আইন এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ দুটি ভিন্ন আইন যা সরকারি গোপনীয়তা এবং তথ্য প্রকাশের সাথে সম্পর্কিত। তথ্য অধিকার আইন,২০০৯ নাগরিকদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করে,যেখানে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩, কিছু নির্দিষ্ট সরকারি তথ্য প্রকাশে বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা মূলত জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে।

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা এবং গুপ্তচরবৃত্তি সম্পর্কিত অপরাধগুলির জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইন মুখস্ত করার কোনো বিষয় নয় চর্চায় বিষয় । আর চর্চার জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন।

আজ (বুধবার) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ২০২৫-২৫ অর্থবছরে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুসারে ‘তথ্য অধিকার আইন এবং The Official Secrets Act, 1923’ বিষয়ক ‘’প্রশিক্ষণে’’ সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।

সিনিয়র সচিব বলেন; তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর মাধ্যমে জনগণ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা তথ্য জানার অধিকার লাভ করে। এটি তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকরা সরকারের কাছ থেকে তথ্য জানতে চাইতে পারে,তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক নয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো- জনগণের ক্ষমতায়ন, সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,দুর্নীতি হ্রাস করা, গণতন্ত্রের উন্নতি করা।

উল্লেখ্য, তথ্য অধিকার অধ্যাদেশ ২০ অক্টোবর ২০০৮জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশই ২৯মার্চ ২০০৯ সালে সংসদে পাস করে একই বছর ১জুলাই ২০০৯ সালে এটি কার্যকর হয়। আঠারোশ নিরানব্বই সাল থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত লর্ড কার্জন যখন ভারতবর্ষের ভাইসরয় ছিলেন তখন এই আইন প্রণয়ন করা হয়। বেশ কয়েক-দফা সংশোধিত হয়ে ১৯২৩ সালে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট জারি করা হয় এবং ওই বছরের এপ্রিল মাসের ২ তারিখ থেকে কার্যকর করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ ও বাংলাদেশ লজ (রিভিশন অ্যান্ড ডিকলারেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ অনুসারে ‘The Official Secrets Act, 1923’ প্রচলিত আইন হিসেবে বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত সচিব(প্রশাসন অনুবিভাগ) মো: শরিফুল ইসলাম। দশম গ্রেডের কর্মকর্তাগণের এই প্রশিক্ষনে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।