
ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার শরিষ্যাম গ্রামের রানা মিয়া বহুদিন ধরেই এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এলাকায় মাদকের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের চোখের সামনেই সে প্রকাশ্যে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
সম্প্রতি রানা মিয়ার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী রিপোর্ট তৈরির সময় স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম প্রাণনাশের হুমকির শিকার হয়েছেন।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম জানান, শরিষ্যাম গ্রামের রানা মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তিনি সরেজমিনে তার বাড়িতে যান। এ সময় রানা নিজেই মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে এবং মাদক পাচার ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত কয়েকজন এজেন্টের নামও প্রকাশ করে। সাংবাদিক গোপন ক্যামেরায় বিষয়গুলো ধারণ করেন।
পরে সেই ভিডিওর সূত্র ধরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রথম সকাল ২৪ ডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রানা মিয়া। এরপর তিনি সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন— “আমি তুকে গুলি করে মেরে ফেলবো, তুকে মেরে আমি জেলে যাবো। জেল খাটার আমার অভ্যাস আছে।” শুধু তাই নয়, ফোনালাপে তিনি সরকার ও প্রশাসনকে নিয়েও অশালীন মন্তব্য করেন। এর প্রমাণস্বরূপ কল রেকর্ড সাংবাদিকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, রানা মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করে আসছে। রাত হলেই রানার বাড়িতে মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন এলাকার যুবকরা ভিড় জমায়। তার কারণে এলাকার অসংখ্য তরুণ নষ্ট হয়ে পড়ছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি আরও জানান, রানা মিয়ার বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা অভিযোগ থাকলেও সে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়।
এ ঘটনায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম ধর্মপাশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহল এবং সচেতন নাগরিক সমাজ তীব্র নিন্দা জানিয়ে রানা মিয়াকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।