ঢাকা ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাঙ্গামাটিতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের আকস্মিক থানা ও ট্রাফিক অফিস পরিদর্শন Logo নবাগত পুলিশ সুপার, পাবনা মহোদয়ের সাথিয়া থানা আকস্মিক পরিদর্শন। Logo নরসিংদীতে পুলিশের অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মাসুদ মিয়া গ্রেফতার Logo গুলিবিদ্ধ হালিমা’র অবস্থা আশঙ্কাজনক, মামলা হয়নি।  Logo পিরোজপুরে পুলিশ সুপারের হাতে নবপদোন্নত কর্মকর্তার র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিধান Logo মানবিকতার আলোয় উজ্জ্বল বেলতলী: নতুন ঘর পেয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছেন বিমলা হাজং। Logo সিসা দূষণ নির্মূলে জাতীয় কৌশলপত্র চূড়ান্ত করছে সরকার। Logo বাংলাদেশে কারো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈঠকে খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা Logo বাউফলে পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা
কপ-৩০ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পরিবেশের পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য, নারী ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণের ওপর জোর উপদেষ্টার

জলবায়ু সম্মেলনে সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত অংশগ্রহণের আহ্বান ফরিদা আখতারের

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:১৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতিসংঘের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন (কনফারেন্স অব পার্টিজ—কপ)-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শুধু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ না রেখে মহিলা ও শিশু, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা—সহ সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।

আজ সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (COP-30) অংশীজনের অংশগ্রহণ” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা প্রায়শই শুধু পরিবেশের ক্ষতির দিকেই সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতও এই পরিবর্তনের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন। কার্বন নিঃসরণে ধনী দেশগুলোর দায় রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ, অথচ ভুক্তভোগীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর।

উপদেষ্টা বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকূলও বিপদে পড়ে। কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, যা খাদ্যনিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ধনী দেশগুলো কার্বন নি:সরণ কমানোর দেওয়া কথা রাখেনি। তারা নেট জিরো-এর কথা বলছে। তারা নেট জিরো নাম আনছে অথচ  জিরোর আগে কীভাবে হয় নেট হয়? ধনী রাষ্ট্রগুলো কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে অথবা যেমন আছে সেভাবে রেখে গাছ লাগিয়ে বা টেকনোলজি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দেশীয়ভাবে বা অঞ্চলভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমাম উদ্দীন কবীর। “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (COP-30)”–এর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।

কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গামাটিতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের আকস্মিক থানা ও ট্রাফিক অফিস পরিদর্শন

কপ-৩০ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে পরিবেশের পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য, নারী ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণের ওপর জোর উপদেষ্টার

জলবায়ু সম্মেলনে সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত অংশগ্রহণের আহ্বান ফরিদা আখতারের

আপডেট সময় ১২:১৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

আলী আহসান রবি : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জাতিসংঘের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন (কনফারেন্স অব পার্টিজ—কপ)-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব শুধু পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ না রেখে মহিলা ও শিশু, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা—সহ সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।

আজ সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (COP-30) অংশীজনের অংশগ্রহণ” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা প্রায়শই শুধু পরিবেশের ক্ষতির দিকেই সীমাবদ্ধ থাকে। অথচ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতও এই পরিবর্তনের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন। কার্বন নিঃসরণে ধনী দেশগুলোর দায় রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ, অথচ ভুক্তভোগীর তালিকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর।

উপদেষ্টা বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকূলও বিপদে পড়ে। কৃষিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে, যা খাদ্যনিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ধনী দেশগুলো কার্বন নি:সরণ কমানোর দেওয়া কথা রাখেনি। তারা নেট জিরো-এর কথা বলছে। তারা নেট জিরো নাম আনছে অথচ  জিরোর আগে কীভাবে হয় নেট হয়? ধনী রাষ্ট্রগুলো কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে অথবা যেমন আছে সেভাবে রেখে গাছ লাগিয়ে বা টেকনোলজি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দেশীয়ভাবে বা অঞ্চলভিত্তিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে যেতে হবে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমাম উদ্দীন কবীর। “বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (COP-30)”–এর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।

কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং ক্লাইমেট অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।