
বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাধা প্রদান, অর্থ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন— পীরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাবলু মিয়া (৫০), কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি (৫৭) ও মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিয়ার রহমান। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে আওয়ামী লীগের পাঁচগাছি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাবলু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পীরগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় এজাহারনামীয় আসামি। এদিকে, মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, একাধিক মামলার আসামি মিলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থ জোগানের পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি সাবেক এমপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি এইচ এন আশিকুর রহমান ও তার পুত্র রাশেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নৌকা প্রতীক পেয়ে বিনা ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার ভায়ারহাট বাজার থেকে টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ক্ষতিকর কার্য থেকে বিরত রাখার উদ্দেশ্যে আটকাদেশ রয়েছে। এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার আবু সাইম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত এবং মামলার আসামি। এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।