একজন সাংবাদিকের কাজ সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।সাংবাদিকতা পেশার মূল লক্ষ্য হলো- মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা।সাধারণ মানুষের কথা বলা। মানুষের সমস্যা, সমাজের নানা অসঙ্গতি অনিয়ম অবিচার তুলে ধরা। রাজধানী ঢাকার মতো মফস্বলেও এ পেশায় আত্মনিয়োগ করে সাংবাদিকরা জনসেবা ও সমাজকল্যাণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কিছু পাওয়ার জন্য নয়, নিতান্ত ভালোবাসা ও জনসেবার মহৎ উদ্দেশ্য থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় আসেন একজন প্রকৃত সাংবাদিক। একজন ভালো সাংবাদিককে যেমন সাহসী হতে হয়- তেমনি সত্যনিষ্ঠ ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন এবং ন্যায়ের প্রশ্নে অবিচল থাকতে হয়। ঝুঁকি থাকলেও অনেকেই ভালোবাসার কারণে এ পেশাকে বেছে নেন এবং আজীবন সাংবাদিকতায় স্বতশ্চল থাকেন। যারা অকপট সততার সঙ্গে এ পেশায় সক্রিয় থাকেন তাদের এক ধরনের আত্মতৃপ্তি থাকে। ভালো কাজের জন্য আনন্দ থাকে। তাদের কাজ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনা।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব অপরিসীম। সংবাদ মাধ্যম এখন ডিজিটাল যুগে পৌঁছে গেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকতার বাঁক পরিবর্তন করেছে। সাংবাদিকতা গণমুখী হয়েছে। জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইন সাংবাদিকতা। দেশে এখন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের সংখ্যা অনেক। প্রায়ই নতুন নতুন সংবাদ মাধ্যম আত্মপ্রকাশ করছে। পাঠক এখন খুব সহজে অল্প সময়ের ভেতর জানতে পারে ঘটে যাওয়া যে কোনো ঘটনার খবর। অপেক্ষা করতে হয় না। আগে অপেক্ষা করতে হতো। আগের দিনের ঘটনা জানা যেত পরের দিনের পত্রিকায়। এখন সময় বদলে গেছে। পাল্টে গেছে সংবাদপত্রের দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারা। বৈচিত্র্য এসেছে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে। আধুনিক সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। একটি পত্রিকা কিংবা সংবাদ মাধ্যম এখন পাঠকদের চাহিদা মেটাতে পারে।কিন্তু আমরা যে সমাজে বাস করি এখানে সাংবাদিকতার ঝুঁকি অনেক।কারন এই সমাজে কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। অনেক সময় মামলা ও শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে হয়। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সাংবাদিকতা করতে হয়।আমি কবির নেওয়াজ রাজ মনে করি সাংবাদিকদের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সাংবাদিকতাকে অবলম্বন করে জন-মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ভূমিকা রাখা। সে কারণে গণমাধ্যমকে জনগণ ভরসার শেষ ঠিকানা মনে করেন। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিহাসে সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন সময় চালানো হয় জেল-জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার ও নিপীড়ন। সাংবাদিক হত্যার ঘটনাও নতুন নয়। আইনি জটিলতাও মুক্ত সাংবাদিকতায় বাধা সৃষ্টি করছে।এসব বন্ধ করতে হলে একত্রিত হতে হবে। সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভাজন দূর করতে হবে। তা না হলে সমস্যা থেকেই যাবে। কেবল সংঘবদ্ধভাবে এসব সমস্যার উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চাকে বাধাহীন করতে হলে এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও সব ধরনের সংকট নিরসনের জন্য সব সাংবাদিকের এক সারিতে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই পরিশুদ্ধ সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব।
লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস” রাষ্ট্রবিজ্ঞান,
সিসি” জার্নালিজম, এলএলবি।