ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা Logo তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি Logo গোপালগঞ্জের সহিংসতা সম্পর্কে পুলিশ রিপোর্ট Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ময়মনসিংহের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন Logo শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে জাতীয় বৃক্ষমেলায় ‘গাছ চেনা প্রতিযোগিতা ২০২৫ Logo গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতির উপরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য : জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান

ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬২২ বার পড়া হয়েছে

ইউসুফ আলী খান, আশুলিয়া : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় গত ৫ই আগস্ট আল-সাবুর (১৫) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আ.লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোন জামাই রুবলে আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেল সহ ৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোছাঃ রাহেনা জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহত আল-সাবুর (১৫) নওগাঁ  জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের  ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আস-সাবুরের সাথে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তার মা।  সেদিন রাতে সে বাসায়ও ফেরেনি। পরেরদিন বাইপাইল গিয়ে আস-সাবুরের ক্ষত-বিক্ষত পোড়া মরদেহ দেখতে পায় তার পরিবার। পরে তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পূর্ণ করে তার পরিবার।   এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবার জানতে পারেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি করেছে। তখন আস-সাবুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামীদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী  মারপিট ও গুলি বর্ষন করে আগুনে পড়িয়ে দেয়। এত আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়ার গাজীরচটের শাকিল মুন্সী, আবুল হোসেন ভূইয়া, সাইফুল ইসলাম রানা ও মাসুম মুন্সী, ভাদাইলের সাদেক ভূঁইয়া  ও আশরাফ, জিরাবো এলাকার সাইফুল ইসলাম বেপারী হিকু ও রাজু দেওয়ান, ঘোষবাগের মজিবর রহমান ওরফে চুরা মজিবর, ইয়ারপুরের মোশাররফ হোসেন মুসা ও হাসান কবির।   এছাড়াও জামগড়ার কাব্য ভুঁইয়া, আলম ভুঁইয়া, ফারুক ভূঁইয়া, বশির  ভুঁইয়া, মিলন মীর, সানি ভুঁইয়া, ইদ্রিস আলী, তালহাত ভূঁইয়া, সফর শেখ, ও উজ্জল ভুঁইয়া, গোরাটের আরিফ মাদবর ও ফরিদ মন্ডল, টংগাবাড়ীর শাহাদত মুন্সী, হেলার মাদবর, ইমতিয়াজ দেওয়ান, সাইদুর রহমান সম্রাট, ইয়াছিন আরাফাত পাপ্পু ও আশরাফ উদ্দিন মাদবর, চাঁনগাও এর ইয়াকুব মাদবর, চিত্রশাইলের খলিল প্রধান, নরসিংহপুরের শেখ শাহ জালাল শাওনসহ অজ্ঞাত নামা আরও অনেকে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আসামিদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা

ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

ইউসুফ আলী খান, আশুলিয়া : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় গত ৫ই আগস্ট আল-সাবুর (১৫) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আ.লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোন জামাই রুবলে আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেল সহ ৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোছাঃ রাহেনা জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহত আল-সাবুর (১৫) নওগাঁ  জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের  ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আস-সাবুরের সাথে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তার মা।  সেদিন রাতে সে বাসায়ও ফেরেনি। পরেরদিন বাইপাইল গিয়ে আস-সাবুরের ক্ষত-বিক্ষত পোড়া মরদেহ দেখতে পায় তার পরিবার। পরে তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পূর্ণ করে তার পরিবার।   এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবার জানতে পারেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি করেছে। তখন আস-সাবুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামীদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী  মারপিট ও গুলি বর্ষন করে আগুনে পড়িয়ে দেয়। এত আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়ার গাজীরচটের শাকিল মুন্সী, আবুল হোসেন ভূইয়া, সাইফুল ইসলাম রানা ও মাসুম মুন্সী, ভাদাইলের সাদেক ভূঁইয়া  ও আশরাফ, জিরাবো এলাকার সাইফুল ইসলাম বেপারী হিকু ও রাজু দেওয়ান, ঘোষবাগের মজিবর রহমান ওরফে চুরা মজিবর, ইয়ারপুরের মোশাররফ হোসেন মুসা ও হাসান কবির।   এছাড়াও জামগড়ার কাব্য ভুঁইয়া, আলম ভুঁইয়া, ফারুক ভূঁইয়া, বশির  ভুঁইয়া, মিলন মীর, সানি ভুঁইয়া, ইদ্রিস আলী, তালহাত ভূঁইয়া, সফর শেখ, ও উজ্জল ভুঁইয়া, গোরাটের আরিফ মাদবর ও ফরিদ মন্ডল, টংগাবাড়ীর শাহাদত মুন্সী, হেলার মাদবর, ইমতিয়াজ দেওয়ান, সাইদুর রহমান সম্রাট, ইয়াছিন আরাফাত পাপ্পু ও আশরাফ উদ্দিন মাদবর, চাঁনগাও এর ইয়াকুব মাদবর, চিত্রশাইলের খলিল প্রধান, নরসিংহপুরের শেখ শাহ জালাল শাওনসহ অজ্ঞাত নামা আরও অনেকে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আসামিদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।