ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo ঈদযাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে- মোঃ এহছানুল হক Logo বিশেষ অভিযানে ছিনতাইকারী, মাদক কারবারিসহ ৭১ জনকে গ্রেফতার Logo তিন পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার Logo নওগাঁয় ১১৯ কেজি গাঁজাসহ ৬ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি Logo এনসিপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর Logo ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে নওগাঁয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo গণহত্যার বছর না ঘুরতেই আ. লীগকে ফেরানোর খায়েশ বিপজ্জনক: আসিফ মাহমুদ

ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৫৯৬ বার পড়া হয়েছে

ইউসুফ আলী খান, আশুলিয়া : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় গত ৫ই আগস্ট আল-সাবুর (১৫) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আ.লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোন জামাই রুবলে আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেল সহ ৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোছাঃ রাহেনা জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহত আল-সাবুর (১৫) নওগাঁ  জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের  ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আস-সাবুরের সাথে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তার মা।  সেদিন রাতে সে বাসায়ও ফেরেনি। পরেরদিন বাইপাইল গিয়ে আস-সাবুরের ক্ষত-বিক্ষত পোড়া মরদেহ দেখতে পায় তার পরিবার। পরে তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পূর্ণ করে তার পরিবার।   এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবার জানতে পারেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি করেছে। তখন আস-সাবুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামীদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী  মারপিট ও গুলি বর্ষন করে আগুনে পড়িয়ে দেয়। এত আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়ার গাজীরচটের শাকিল মুন্সী, আবুল হোসেন ভূইয়া, সাইফুল ইসলাম রানা ও মাসুম মুন্সী, ভাদাইলের সাদেক ভূঁইয়া  ও আশরাফ, জিরাবো এলাকার সাইফুল ইসলাম বেপারী হিকু ও রাজু দেওয়ান, ঘোষবাগের মজিবর রহমান ওরফে চুরা মজিবর, ইয়ারপুরের মোশাররফ হোসেন মুসা ও হাসান কবির।   এছাড়াও জামগড়ার কাব্য ভুঁইয়া, আলম ভুঁইয়া, ফারুক ভূঁইয়া, বশির  ভুঁইয়া, মিলন মীর, সানি ভুঁইয়া, ইদ্রিস আলী, তালহাত ভূঁইয়া, সফর শেখ, ও উজ্জল ভুঁইয়া, গোরাটের আরিফ মাদবর ও ফরিদ মন্ডল, টংগাবাড়ীর শাহাদত মুন্সী, হেলার মাদবর, ইমতিয়াজ দেওয়ান, সাইদুর রহমান সম্রাট, ইয়াছিন আরাফাত পাপ্পু ও আশরাফ উদ্দিন মাদবর, চাঁনগাও এর ইয়াকুব মাদবর, চিত্রশাইলের খলিল প্রধান, নরসিংহপুরের শেখ শাহ জালাল শাওনসহ অজ্ঞাত নামা আরও অনেকে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আসামিদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

ঢাকা ১৯ আসনের সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে হত্যা মামলা

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

ইউসুফ আলী খান, আশুলিয়া : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় গত ৫ই আগস্ট আল-সাবুর (১৫) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আ.লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোন জামাই রুবলে আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেল সহ ৪০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর মা মোছাঃ রাহেনা জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহত আল-সাবুর (১৫) নওগাঁ  জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের  ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার জামগড়া শিমুলতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আস-সাবুরের সাথে তার মায়ের যোগাযোগ হয়। কিন্তু তারপর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেনি তার মা।  সেদিন রাতে সে বাসায়ও ফেরেনি। পরেরদিন বাইপাইল গিয়ে আস-সাবুরের ক্ষত-বিক্ষত পোড়া মরদেহ দেখতে পায় তার পরিবার। পরে তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পূর্ণ করে তার পরিবার।   এজাহারে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে নিহতের পরিবার জানতে পারেন, গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীসহ যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে ও গুলি করেছে। তখন আস-সাবুর দৌড়ে পালানোর সময় আসামীদের হাতে ধরা পড়ে গেলে তারা লাঠি দিয়ে এলোপাথারী  মারপিট ও গুলি বর্ষন করে আগুনে পড়িয়ে দেয়। এত আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়ার গাজীরচটের শাকিল মুন্সী, আবুল হোসেন ভূইয়া, সাইফুল ইসলাম রানা ও মাসুম মুন্সী, ভাদাইলের সাদেক ভূঁইয়া  ও আশরাফ, জিরাবো এলাকার সাইফুল ইসলাম বেপারী হিকু ও রাজু দেওয়ান, ঘোষবাগের মজিবর রহমান ওরফে চুরা মজিবর, ইয়ারপুরের মোশাররফ হোসেন মুসা ও হাসান কবির।   এছাড়াও জামগড়ার কাব্য ভুঁইয়া, আলম ভুঁইয়া, ফারুক ভূঁইয়া, বশির  ভুঁইয়া, মিলন মীর, সানি ভুঁইয়া, ইদ্রিস আলী, তালহাত ভূঁইয়া, সফর শেখ, ও উজ্জল ভুঁইয়া, গোরাটের আরিফ মাদবর ও ফরিদ মন্ডল, টংগাবাড়ীর শাহাদত মুন্সী, হেলার মাদবর, ইমতিয়াজ দেওয়ান, সাইদুর রহমান সম্রাট, ইয়াছিন আরাফাত পাপ্পু ও আশরাফ উদ্দিন মাদবর, চাঁনগাও এর ইয়াকুব মাদবর, চিত্রশাইলের খলিল প্রধান, নরসিংহপুরের শেখ শাহ জালাল শাওনসহ অজ্ঞাত নামা আরও অনেকে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। আসামিদের  গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।