ঢাকা ০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বকশীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo কবিরাজের তথ্যে মামলার আসামি করে হয়রানি, প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo গুলশান থানা পুলিশ ৬৭ লক্ষাধিক টাকার বিদেশি মদসহ ৯ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে Logo রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৭ জন গ্রেফতার Logo যাদুকাটা নদীতে বিজিবি-প্রশাসনের অভিযানে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, স্বস্তিতে নদীতীরের মানুষ Logo বাগেরহাটে ধাওয়ায় খাদে পড়ে চোরচক্র, গণপিটুনিতে একজন নিহত তিনজন Logo সুনামগঞ্জে হেযবুত তওহীদের সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo ঢাকা–বরিশাল নৌরুটে ফিরছে শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস মাহসুদ’ Logo নভেম্বরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুল ডিজিটালাইজড করা হবে Logo মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে র‍্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার
২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ বালু উত্তোলন রোধ

সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে বিজিবি ও প্রশাসনের অভিযান: নদীর পাড় কাটা বন্ধ, গ্রামবাসী স্বস্তিতে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সম্মিলিত অভিযানের কারণে নদীর পাড় কাটা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামবাসীরা স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছেন।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবির সদস্যরা ২৪ ঘন্টা দিন-রাত টহল দিয়ে নদীর অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধ করছেন। পূর্বে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি খাস জমি বিক্রি করে বালুখেকোদের কাছে তুলে দেওয়ার কারণে নদী তীরবর্তী জমি ও গ্রামগুলোতে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখন প্রশাসন ও বিজিবির যৌথ উদ্যোগে নদীর সৌন্দর্য এবং পরিবেশ সুরক্ষিত হয়েছে।

বিজিবি সদস্যরা নদীতে ড্রেজার ও বোমা মেশিনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। বৈধ বালু ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ইজারাভূক্ত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন, বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রেখে, নদীর পাড় কাটা রোধ করা ও পর্যটন সম্প্রসারণ সম্ভব হবে।

২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, “অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে কেউ চেষ্টা করলে প্রশাসন ও জনসাধারণের সহযোগিতায় তা প্রতিহত করা হবে। পাশাপাশি, সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদক-চোরাচালান রোধে আমাদের মূল দায়িত্ব ব্যাহত হবে না।”

তিনি আরও বলেন, যাদুকাটা নদী, বারেকটিলা, শিমুলবাগান ও ৩৬০ আউলিয়ার পবিত্র স্থানসহ হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলোও সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। বিজিবি ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদীর পরিবেশ রক্ষা এবং নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।

জনপ্রিয় সংবাদ

বকশীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ বালু উত্তোলন রোধ

সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে বিজিবি ও প্রশাসনের অভিযান: নদীর পাড় কাটা বন্ধ, গ্রামবাসী স্বস্তিতে

আপডেট সময় ০১:৪৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে ২৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সম্মিলিত অভিযানের কারণে নদীর পাড় কাটা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামবাসীরা স্বস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলছেন।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবির সদস্যরা ২৪ ঘন্টা দিন-রাত টহল দিয়ে নদীর অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধ করছেন। পূর্বে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি খাস জমি বিক্রি করে বালুখেকোদের কাছে তুলে দেওয়ার কারণে নদী তীরবর্তী জমি ও গ্রামগুলোতে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখন প্রশাসন ও বিজিবির যৌথ উদ্যোগে নদীর সৌন্দর্য এবং পরিবেশ সুরক্ষিত হয়েছে।

বিজিবি সদস্যরা নদীতে ড্রেজার ও বোমা মেশিনের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। বৈধ বালু ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ইজারাভূক্ত এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করছেন। এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন, বর্তমান স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রেখে, নদীর পাড় কাটা রোধ করা ও পর্যটন সম্প্রসারণ সম্ভব হবে।

২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, “অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে কেউ চেষ্টা করলে প্রশাসন ও জনসাধারণের সহযোগিতায় তা প্রতিহত করা হবে। পাশাপাশি, সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদক-চোরাচালান রোধে আমাদের মূল দায়িত্ব ব্যাহত হবে না।”

তিনি আরও বলেন, যাদুকাটা নদী, বারেকটিলা, শিমুলবাগান ও ৩৬০ আউলিয়ার পবিত্র স্থানসহ হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলোও সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। বিজিবি ও প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদীর পরিবেশ রক্ষা এবং নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।