ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সীগঞ্জে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো Logo হারানো মোবাইল উদ্ধার করে মালিকের হাতে ফিরিয়ে দিল লালমনিরহাট জেলা পুলিশ Logo মুন্সীগঞ্জে নবপদোন্নত পুলিশ কর্মকর্তাদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরালেন পুলিশ সুপার Logo সাতক্ষীরায় ডা. শহিদুলকে মনোনয়ন না দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও সমাবেশ Logo ডিবি যশোর অভিযান: চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার, ২ চোর গ্রেফতার Logo সাতক্ষীরায় নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যোগদান, পুলিশ সুপারের ফুলেল শুভেচ্ছা Logo ভূমি সেবার মানোন্নয়নে জনগণই প্রথম অগ্রাধিকার Logo চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস আটক করলো ৩৯ মেট্রিক টন আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি Logo ঝটিকা মিছিল পরিকল্পনা ও অর্থায়নে ৩৪ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২০ জন গ্রেফতার

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৬

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৯৭ বার পড়া হয়েছে
শহীদ হাবিলদার মোঃ আব্দুল বারী, বীর প্রতীক (তৎকালীন ইউনিট ২ ই বেংগল)
নম্বর ৩৯৪৬৬৮৬ শহীদ হাবিলদার মোঃ আব্দুল বারী, বীর প্রতীক, পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ ইস্ট বেঙ্গল (জুনিয়র টাইগার্স) এর সাথে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন মানিকছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ অক্টোবর ১৯৮৯ তারিখে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার লামাছড়ি এলাকায় সশস্ত্র শান্তিবাহিনী সদস্যদের উপর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মোঃ সুলতান উদ্দিন ইকবাল এর নেতৃত্বে একটি দুঃসাহসিক অ্যামবুশ পরিচালনা করা হয়। হাবিলদার বারী অপারেশন দলের একটি উপদলে স্কাউট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অ্যামবুশ এলাকায় উপস্থিত হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রতিউত্তরে সেনাবাহিনীর টহল দল পাল্টা গুলি বর্ষন করে। গুলিবর্ষণ এর মাঝে সন্ত্রাসী দলের এক সদস্য দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করলে তৎক্ষণাৎ হাবিলদার বারী তাকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায়ও হাবিলদার বারী পলায়নের চেষ্টারত সন্ত্রাসী দলের সদস্যকে গুলি করে ধরাশায়ী করেন।
অপারেশন শেষে তাকে উদ্ধার করে জরুরী ভিত্তিতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরণকালে তিনি উপস্থিত ক্যাপ্টেন মোজাম্মেলকে বলেন “স্যার কি হবে আর কষ্ট করে, আপনি আমাকে কষ্ট করে নিয়ে যাবেন, শেষ পর্যন্ত কোন ফল হবে না। আমার পরিবার এবং ছেলে,মেয়েকে আপনাদের হাতে সপে গেলাম। ওদেরকে দেখবেন স্যার”। এরপর পরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অভিযানের প্রথম থেকে তাঁর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত তিনি কর্তব্যপরায়নতার যে স্বাক্ষর রেখেছেন তা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানিক ইতিহাসে গর্বের সাথে স্মরণীয়।
হাবিলদার বারী, তার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত হন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৬

আপডেট সময় ১১:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
শহীদ হাবিলদার মোঃ আব্দুল বারী, বীর প্রতীক (তৎকালীন ইউনিট ২ ই বেংগল)
নম্বর ৩৯৪৬৬৮৬ শহীদ হাবিলদার মোঃ আব্দুল বারী, বীর প্রতীক, পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ ইস্ট বেঙ্গল (জুনিয়র টাইগার্স) এর সাথে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন মানিকছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ অক্টোবর ১৯৮৯ তারিখে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার লামাছড়ি এলাকায় সশস্ত্র শান্তিবাহিনী সদস্যদের উপর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মোঃ সুলতান উদ্দিন ইকবাল এর নেতৃত্বে একটি দুঃসাহসিক অ্যামবুশ পরিচালনা করা হয়। হাবিলদার বারী অপারেশন দলের একটি উপদলে স্কাউট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। শান্তিবাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অ্যামবুশ এলাকায় উপস্থিত হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রতিউত্তরে সেনাবাহিনীর টহল দল পাল্টা গুলি বর্ষন করে। গুলিবর্ষণ এর মাঝে সন্ত্রাসী দলের এক সদস্য দৌড়ে পালাবার চেষ্টা করলে তৎক্ষণাৎ হাবিলদার বারী তাকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায়ও হাবিলদার বারী পলায়নের চেষ্টারত সন্ত্রাসী দলের সদস্যকে গুলি করে ধরাশায়ী করেন।
অপারেশন শেষে তাকে উদ্ধার করে জরুরী ভিত্তিতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে প্রেরণকালে তিনি উপস্থিত ক্যাপ্টেন মোজাম্মেলকে বলেন “স্যার কি হবে আর কষ্ট করে, আপনি আমাকে কষ্ট করে নিয়ে যাবেন, শেষ পর্যন্ত কোন ফল হবে না। আমার পরিবার এবং ছেলে,মেয়েকে আপনাদের হাতে সপে গেলাম। ওদেরকে দেখবেন স্যার”। এরপর পরপরই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অভিযানের প্রথম থেকে তাঁর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ পর্যন্ত তিনি কর্তব্যপরায়নতার যে স্বাক্ষর রেখেছেন তা পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানিক ইতিহাসে গর্বের সাথে স্মরণীয়।
হাবিলদার বারী, তার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত হন।