ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ Logo প্রান্তিক মানুষের মাঝে অপতথ্যের বিস্তার রোধে বেতারের বিশেষ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে:—-তথ্য ও সম্প্রচার সচিব Logo কাপাসিয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা, মালিকের তিন মাসের কারাদণ্ড Logo এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শ্রমমন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সভা Logo ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা Logo তারেক রহমানের দেশে আসতে কোন বাধা নাই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মায়ানমার সীমান্তে অপহৃত বাংলাদেশী নাগরিক দুলালকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনলো বিজিবি Logo যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্য বিষয়ক সচিবের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ Logo লায়েছ ভূঁইয়া কলেজে জামায়াতের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে, সাথে সাথে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে….. মাসুদ সাঈদী 

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুর প্রতিনিধি: ৫ই আগস্ট একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল সেই প্রত্যয়ের ব্যত্যয় কেন আজহারুল ইসলাম এর ব্যাপারে হল । কেন আজকেও তাকে মুক্তি দেওয়া হলো না । তার মুক্তির দাবিতে কেন আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে।  কেন্দ্র ঘোষিত জামায়াতের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে  পিরোজপুর শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এক কথা বলে মাসুদ সাঈদী।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী শাসন আমলে ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে মৌলবাদ, সন্ত্রাস তদন্ত কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বে। সেই কমিশনের সদস্য ছিল বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ  রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। টুপ্পুর ষড়যন্ত্রে আজকে এটিএম আজাহারের মুক্তি হচ্ছে না । এটিএম আজহারের মুক্তির পাশাপাশি অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করছি । এটিএম আজহারুলকে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির রায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য বলেছিল তারা নাকি দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একজন তিন কিলোমিটার দূর থেকে আর একজন সাক্ষী, ৬ কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে এটিএম আজহারুল ইসলাম পাক সেনাদের সাথে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছে । এরকমের গাঁজাখুরি সাক্ষীর মাধ্যমে যে বিচার পরিচালিত হয় ওই বিচারের কপালে আমরা ঝাড়ু মারি। আমরা শুধু এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করছি না। এই পঁচা সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছে বিচার করেছে ওই সমস্ত কুলাঙ্গার বিচারপতিদের ফাঁসি দাবি করছে। আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরবানী করে আমাদের ধৈর্যের চুতি ঘটাবেন না । আমরা কিন্তু ফোস করতে জানি। ৫ই আগস্ট আমরা দেখেছি কিভাবে ফোস করতে হয়।
এ সময় মাসুদ সাইদী বলেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে জামাতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে । আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা পাইনি। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা চাই না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব । আমরা আমাদের মার্কা আদায় করে নেব ইনশাআল্লাহ।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষেণ শেষে সাঈদী ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা জামাতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি মো: জহিরুল হক, সহ সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ,  শিবিরের জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে, সাথে সাথে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে….. মাসুদ সাঈদী 

আপডেট সময় ০৫:৩৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পিরোজপুর প্রতিনিধি: ৫ই আগস্ট একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল সেই প্রত্যয়ের ব্যত্যয় কেন আজহারুল ইসলাম এর ব্যাপারে হল । কেন আজকেও তাকে মুক্তি দেওয়া হলো না । তার মুক্তির দাবিতে কেন আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে।  কেন্দ্র ঘোষিত জামায়াতের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে  পিরোজপুর শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এক কথা বলে মাসুদ সাঈদী।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী শাসন আমলে ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে মৌলবাদ, সন্ত্রাস তদন্ত কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বে। সেই কমিশনের সদস্য ছিল বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ  রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। টুপ্পুর ষড়যন্ত্রে আজকে এটিএম আজাহারের মুক্তি হচ্ছে না । এটিএম আজহারের মুক্তির পাশাপাশি অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করছি । এটিএম আজহারুলকে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির রায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য বলেছিল তারা নাকি দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একজন তিন কিলোমিটার দূর থেকে আর একজন সাক্ষী, ৬ কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে এটিএম আজহারুল ইসলাম পাক সেনাদের সাথে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছে । এরকমের গাঁজাখুরি সাক্ষীর মাধ্যমে যে বিচার পরিচালিত হয় ওই বিচারের কপালে আমরা ঝাড়ু মারি। আমরা শুধু এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করছি না। এই পঁচা সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছে বিচার করেছে ওই সমস্ত কুলাঙ্গার বিচারপতিদের ফাঁসি দাবি করছে। আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরবানী করে আমাদের ধৈর্যের চুতি ঘটাবেন না । আমরা কিন্তু ফোস করতে জানি। ৫ই আগস্ট আমরা দেখেছি কিভাবে ফোস করতে হয়।
এ সময় মাসুদ সাইদী বলেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে জামাতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে । আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা পাইনি। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা চাই না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব । আমরা আমাদের মার্কা আদায় করে নেব ইনশাআল্লাহ।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষেণ শেষে সাঈদী ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা জামাতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি মো: জহিরুল হক, সহ সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ,  শিবিরের জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।