
মোঃ খলিলুর রহমান,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার আট মাস পরে মারা যাওয়া আশিকুর রহমান হৃদয়ের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপি দলীয় সাবেক শহিদুল আলম তালুকদার। আজ শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে কবর জিয়ারত করেন তিনি। এ সময় নিহত হৃদয়ের পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে সাবেক এমপি বলেন, নিহত হৃদয় একজন বীর সন্তান। দেশবাসীর মুক্তির জন্য তাঁর এ আত্মত্যাগ ইতিহাসে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বার্থে সে জীবন দিয়েছে। মহান আল্লাহতালা তাকে শহীদদের মর্যাদা দান করুন। তিনি হৃদয়ের বাবা আনসার উদ্দিন হাওলাদারকে বলেন, আপনি হলেন দেশের একজন গর্বিত বাবা। আপনার ছেলে জীবন দিয়ে ফ্যসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আমি তাকে স্যালুট করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহজাহান হাওলাদার, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ জসিম উদ্দিন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রহমান সেলিম,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি শাকিব আহম্মেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া, বাউফল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ হাফিজ উদ্দিন, ও বাবুল উকিল, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম জৌতা গ্রামের রিকশাচালক আনসার উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে হৃদয় অভাবের সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করতে ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রবাড়ি এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সে সময় পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে ভারত চলে গেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এ সময় হৃদয়ের মাথার ভিতর থেকে দুটি গুলি বের করা হলেও মাথার ভিতরে থাকা আরো একটি গুলি বের করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রায়ই অসুস্থ্যতা বোধ করতেন হৃদয়। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনেরা। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে নিয়ে যেতে বললেও অর্থাভাবে তাকে সেখানে নিয়ে যেত পারেননি পরিবারের লোকজন। পরে শুক্রবার বিকেল ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থাই মারা যান হৃদয়। আজ শনিবার সকাল ৯ টায় জৈতা অলিপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।