ঢাকা ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জ থানা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে আজিজুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই Logo “একটি অশান্ত বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ” Logo সমাজে নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি নিবেদিত প্রাণ—- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo গোলাপনগরে শিশুকে চাপা, চালক আটক Logo বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস Logo কালিগঞ্জে শহীদ জিয়ার শাহাদৎ বার্ষিকী পালনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে Logo নিপ্পন ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন Logo বোরো মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ সন্তোষজনক ময়মনসিংহ বিভাগে – খাদ্য উপদেষ্টা Logo টেকসই নগর পরিকল্পনায় তরুণদের ভাবনা-২০২৫” প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না,আমি চাই ন্যায়বিচার ।। প্রিসিলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক: ব্যারিস্টার সুমন ভাই রাজনীতিতে জড়িয়েছেন—এই সিদ্ধান্তটি আমি ব্যক্তিগতভাবে ঠিক মনে করিনি। যদিও উনার সাথে আমার সম্পর্ক সবসময়ই ভাল ছিল, কিছু বিষয় নিয়ে আমি কখনোই উনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারিনি। সুমন ভাই নিজেই একটি ব্র্যান্ড ছিলেন—ফুটবল নিয়ে, সামাজিক সেবামূলক কাজ নিয়ে, এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোয়। তিনি তার নিজস্ব ভঙ্গিতে জনমনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। আজ উনার সঙ্গে আমার এক ছোট্ট স্মৃতি শেয়ার করতে চাই। আমি তখন নিউ ইয়র্ক সিটিতে থাকি, তবে বাসাটা শহর থেকে বেশ দূরে। আমি তখন নাইন গ্রেডে পড়ি। একদিন ইন্টারভিউ নেব বলে সুমন ভাইকে আমন্ত্রণ জানাই। অবাক করার মতোভাবে তিনি সেই রাতে, কোনো দ্বিধা না করে, আমার বাসায় চলে আসেন। তখনো আমার স্টুডিও গোছানো ছিল না, সবকিছু অনেক এলোমেলো। কিন্তু তিনি অত্যন্ত ভদ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে পুরো ইন্টারভিউটি শেষ করেন—একটুও বিরক্তি প্রকাশ না করে। তারপর জানতে পারি, তাঁর আরও অনেক কাজ বাকি, ব্যস্ত সময়সূচি। বাসায় রান্না করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সময়ের অভাবে কিছুই খাননি—শুধু একটু জুস পান করে বেরিয়ে পড়তে চাইলেন। ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হলো। খুব জোর বৃষ্টি।

তিনি বেরোতে চান, কিন্তু ছাতা নেই। আমি আমার প্রিয় ছাতাটি এগিয়ে দিই। তিনি তা হাতে নিয়ে বলেন, “এই ছাতা ফেরত দেব কিভাবে?” আমি বলি, “ফেরত দিতে হবে না।” ছাতাটি ছিল দারুণ, আমি পছন্দ করে ব্যবহার করতাম। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন, ছাতাটি হাতে ঘোরান… তারপর হঠাৎ করেই ছাতা না নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দৌঁড়ে গাড়ির দিকে চলে যান—শুধু এই ভয়ে যে, ছাতাটি ফেরত দিতে পারবেন না। ভিজে গেছেন, চোখে পানি লেগেছে—বৃষ্টির, না হয়ত অন্য কিছু, জানি না। এই মানুষটিকে আমি সৎ বলছি না, নিরপরাধও বলছি না। আমি জানি না তিনি দুর্নীতি করেছেন কি না, কত টাকা আয় করেছেন, বা কোথায় রেখেছেন। কিন্তু এটা জানি, তাঁর চেয়ে অনেক বড় বড় অপরাধীরা এই দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে গেছেন—VIP সিকিউরিটির ছায়ায়, এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পার হয়ে প্লেনে চড়েছেন। তাঁদের ছেড়ে দিয়ে, তাকেই কেন আটক রাখা হলো? আমি সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না। আমি চাই ন্যায়বিচার। যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হোক। শাস্তি হোক, যথাযথ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু একইসাথে প্রশ্ন রাখি— উনার চেয়ে বড় অপরাধীরা মুক্ত, আর তিনি আটক—এটা কোন যুক্তিতে? আমার একটাই কথা: ন্যায়বিচার হোক—সবাইর জন্য। চেহারা, পরিচয় বা অবস্থান দেখে যেন বিচার না হয়। আমি আবারও বলছি, আমি উনার মুক্তি চাই না। আমি চাই, ন্যায়বিচার। একজন নাগরিক হিসেবে, এটাই আমার চাওয়া। উনি একজন বাবা , একজন স্বামী , একজন পুত্র , উনার মা নিউইয়র্কে , বয়স্ক , অসুস্থ্য । ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে পাগল প্রায় , খেয়ে না খেয়ে , না ঘুমিয়ে কাটছে প্রতিটা মুহূর্ত । আমি আবারও বলছি , আমি সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না। আমি চাই ন্যায়বিচার। যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হোক। শাস্তি হোক, যথাযথ প্রক্রিয়ায়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিগঞ্জ থানা বিএনপিকে শক্তিশালী করতে আজিজুর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই

সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না,আমি চাই ন্যায়বিচার ।। প্রিসিলা

আপডেট সময় ০৬:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নিউজ ডেস্ক: ব্যারিস্টার সুমন ভাই রাজনীতিতে জড়িয়েছেন—এই সিদ্ধান্তটি আমি ব্যক্তিগতভাবে ঠিক মনে করিনি। যদিও উনার সাথে আমার সম্পর্ক সবসময়ই ভাল ছিল, কিছু বিষয় নিয়ে আমি কখনোই উনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারিনি। সুমন ভাই নিজেই একটি ব্র্যান্ড ছিলেন—ফুটবল নিয়ে, সামাজিক সেবামূলক কাজ নিয়ে, এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোয়। তিনি তার নিজস্ব ভঙ্গিতে জনমনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। আজ উনার সঙ্গে আমার এক ছোট্ট স্মৃতি শেয়ার করতে চাই। আমি তখন নিউ ইয়র্ক সিটিতে থাকি, তবে বাসাটা শহর থেকে বেশ দূরে। আমি তখন নাইন গ্রেডে পড়ি। একদিন ইন্টারভিউ নেব বলে সুমন ভাইকে আমন্ত্রণ জানাই। অবাক করার মতোভাবে তিনি সেই রাতে, কোনো দ্বিধা না করে, আমার বাসায় চলে আসেন। তখনো আমার স্টুডিও গোছানো ছিল না, সবকিছু অনেক এলোমেলো। কিন্তু তিনি অত্যন্ত ভদ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে পুরো ইন্টারভিউটি শেষ করেন—একটুও বিরক্তি প্রকাশ না করে। তারপর জানতে পারি, তাঁর আরও অনেক কাজ বাকি, ব্যস্ত সময়সূচি। বাসায় রান্না করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সময়ের অভাবে কিছুই খাননি—শুধু একটু জুস পান করে বেরিয়ে পড়তে চাইলেন। ঠিক তখনই বৃষ্টি শুরু হলো। খুব জোর বৃষ্টি।

তিনি বেরোতে চান, কিন্তু ছাতা নেই। আমি আমার প্রিয় ছাতাটি এগিয়ে দিই। তিনি তা হাতে নিয়ে বলেন, “এই ছাতা ফেরত দেব কিভাবে?” আমি বলি, “ফেরত দিতে হবে না।” ছাতাটি ছিল দারুণ, আমি পছন্দ করে ব্যবহার করতাম। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন, ছাতাটি হাতে ঘোরান… তারপর হঠাৎ করেই ছাতা না নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে দৌঁড়ে গাড়ির দিকে চলে যান—শুধু এই ভয়ে যে, ছাতাটি ফেরত দিতে পারবেন না। ভিজে গেছেন, চোখে পানি লেগেছে—বৃষ্টির, না হয়ত অন্য কিছু, জানি না। এই মানুষটিকে আমি সৎ বলছি না, নিরপরাধও বলছি না। আমি জানি না তিনি দুর্নীতি করেছেন কি না, কত টাকা আয় করেছেন, বা কোথায় রেখেছেন। কিন্তু এটা জানি, তাঁর চেয়ে অনেক বড় বড় অপরাধীরা এই দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে গেছেন—VIP সিকিউরিটির ছায়ায়, এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পার হয়ে প্লেনে চড়েছেন। তাঁদের ছেড়ে দিয়ে, তাকেই কেন আটক রাখা হলো? আমি সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না। আমি চাই ন্যায়বিচার। যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হোক। শাস্তি হোক, যথাযথ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু একইসাথে প্রশ্ন রাখি— উনার চেয়ে বড় অপরাধীরা মুক্ত, আর তিনি আটক—এটা কোন যুক্তিতে? আমার একটাই কথা: ন্যায়বিচার হোক—সবাইর জন্য। চেহারা, পরিচয় বা অবস্থান দেখে যেন বিচার না হয়। আমি আবারও বলছি, আমি উনার মুক্তি চাই না। আমি চাই, ন্যায়বিচার। একজন নাগরিক হিসেবে, এটাই আমার চাওয়া। উনি একজন বাবা , একজন স্বামী , একজন পুত্র , উনার মা নিউইয়র্কে , বয়স্ক , অসুস্থ্য । ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে পাগল প্রায় , খেয়ে না খেয়ে , না ঘুমিয়ে কাটছে প্রতিটা মুহূর্ত । আমি আবারও বলছি , আমি সুমন ভাইয়ের মুক্তি চাই না। আমি চাই ন্যায়বিচার। যদি অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার উপযুক্ত বিচার হোক। শাস্তি হোক, যথাযথ প্রক্রিয়ায়।