ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাতৃত্বকালীন বীমা প্রকল্পের রোডম্যাপ তৈরিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ডেমরা পুলিশ লাইনস স্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ডিএমপি কমিশনার Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানালেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান Logo পিরোজপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo জুলাই শহিদদের প্রকৃত সম্মান হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া Logo জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জুলাই মাসের আয়কর বিভাগের রাজস্ব আহরণ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo যতবার এদেশে অন্যায় হবে, অবিচার হবে ততবার জুলাইয়ের জন্ম হবে Logo তথ্য চাইতে গিয়ে সাংবাদিক আটক: ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনারের নির্দেশে গ্রেফতার, বিএমএসএফ-এর নিন্দা Logo ছাত্রদলের একতা মিছিল: বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে যুবকদের গর্জন Logo মোহাম্মদপুরে ছিনতাইকারী চক্র পানি রুবেল গ্যাংয়ের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি

খুলনায় গণহত্যা জাদুঘর পরিদর্শন করলেন গণপূর্তমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • ৬৫০ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত ‘১৯৭১ : গণহত্যা – নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ (গণহত্যা জাদুঘর) পরিদর্শন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

রবিবার (৭ জুলাই) তিনি এ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ( গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আক্তার এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম এনডিসি এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি পরিদর্শন শেষে তিনি পরিদর্শন বহিতে নিজের অনুভূতি লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর করেন।
প্রসঙ্গত: অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের উদ্যোগে ২০১৪ সালের ১৭ মে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যার নির্ভুল ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও অন্বেষণ এবং সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্ম তথা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত মিথস্ক্রিয়জনিত তৎপরতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক একটি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক জার্নাল প্রকাশ, সমগ্র দেশের গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবরের জেলা জরিপ পরিচালনা, গণহত্যা নির্ঘণ্ট তৈরি করা, জেলাভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন এবং জেলা ও আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন এ জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত কর্মকাণ্ডসমূহের মধ্যে অন্যতম। ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা গণহত্যা জাদুকর পরিচালিত হয়। এছাড়া জাদুঘরের ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। শিল্পী হাশেম খান, ডাক্তার শেখ বাহারুল আলম, অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কবি তারিক সুজাত এবং অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের এ জাদুকর প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং বলেন গণহত্যা জাদুঘর এদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে এবং দেশের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
পরে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরন ও উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি বাগেরহাট জেলার রামপালের ঝনঝনিয়ায় স্থাপিত আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত ক্যান্সার হাসপাতাল এবং রামপালের শ্রীফলতলায় স্থাপিত আমাদের গ্রাম ডিজিটাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ক্যান্সার হাসপাতাল কম্পাউন্ডে তিনি একটি জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাতৃত্বকালীন বীমা প্রকল্পের রোডম্যাপ তৈরিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

খুলনায় গণহত্যা জাদুঘর পরিদর্শন করলেন গণপূর্তমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট: খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত ‘১৯৭১ : গণহত্যা – নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ (গণহত্যা জাদুঘর) পরিদর্শন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

রবিবার (৭ জুলাই) তিনি এ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ( গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আক্তার এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএম মিরাজুল ইসলাম এনডিসি এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারি পরিদর্শন শেষে তিনি পরিদর্শন বহিতে নিজের অনুভূতি লিপিবদ্ধ করে স্বাক্ষর করেন।
প্রসঙ্গত: অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের উদ্যোগে ২০১৪ সালের ১৭ মে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যার নির্ভুল ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও অন্বেষণ এবং সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্ম তথা সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়মিত মিথস্ক্রিয়জনিত তৎপরতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক একটি গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক জার্নাল প্রকাশ, সমগ্র দেশের গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবরের জেলা জরিপ পরিচালনা, গণহত্যা নির্ঘণ্ট তৈরি করা, জেলাভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন এবং জেলা ও আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন এ জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত কর্মকাণ্ডসমূহের মধ্যে অন্যতম। ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা গণহত্যা জাদুকর পরিচালিত হয়। এছাড়া জাদুঘরের ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। শিল্পী হাশেম খান, ডাক্তার শেখ বাহারুল আলম, অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন, শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কবি তারিক সুজাত এবং অধ্যাপক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের এ জাদুকর প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং বলেন গণহত্যা জাদুঘর এদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে এবং দেশের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগাবে।
পরে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরন ও উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি বাগেরহাট জেলার রামপালের ঝনঝনিয়ায় স্থাপিত আমাদের গ্রাম ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত ক্যান্সার হাসপাতাল এবং রামপালের শ্রীফলতলায় স্থাপিত আমাদের গ্রাম ডিজিটাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ক্যান্সার হাসপাতাল কম্পাউন্ডে তিনি একটি জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।