ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী Logo সৎও মিষ্টভাষী উপসচিব আবুল হাসান Logo বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে Logo তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo রাজনীতিবিদ শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানার কিছু কথা Logo কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা Logo সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo ময়মনসিংহে ‘ফ্যাক্টস ফর লাইফ’ কর্মশালা

বাউফলে গোপনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী ) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও.মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে গোপনে ও বিধিবর্হিভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে রেজিষ্টার (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত ২রা জুন মাও. মো. শাহাবুদ্দিন আল মামুন নামে ওই মাদ্রাসার এক অভিভাবক সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে ওই অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিধি মোতাবেক নতুন কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত নির্বাচনী তফসিল, ভোটার তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানোর কথা থাকলেও তা না করে সব কিছু গোপন করে ও বিধিবর্হিভূতভাবে নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেন মাদরাসার সুপার মাও. মোশারেফ হোসেন। যার অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিচালাকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই মাদ্রাসার স্থায়ী দাতা সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন,‘আমি স্থায়ী দাতা সদস্য ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি। নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে সুপার আমাকে কিছুই জানায়নি। তিনি গোপনে একটি পকেট কমিটি গঠন করেছেন। বিধি অনুযায়ী কোন ব্যক্তি দুইটির অধিক বেসরকারি মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। তার পরেও বিধি ভেঙে তাকে সভাপতি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ.কে.এম জহিরুল হক দুইটি মাদ্রাসার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মাদ্রাসা দুইটি হলো-বাউফল উপজেলার ধানদী কামিল মাদরাসা ও নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ভূইঘর দারুচ্ছুন্নাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। এমন অবৈধ কমিটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আমিসহ একাধিক সদস্য পৃথকভাবে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিষ্ট্রারের কাছে আবেদন করেছি, যাতে ওই অবৈধ কমিটি অনুমোদন না দেয়া হয়।
মো. আ. রউফ নামে এক অভিভাবক বলেন,‘ আমার মেয়ে ওই মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সুপার মোশারেফ আমাকে সভাপতি এ.কে.এম জহিরুল হক সাহেবের বরাত দিয়ে মাদারাসায় খবর দিয়ে নেন। তখন তিনি ২/৩টা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর কেনো নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি (সুপার) বলেন,‘ সভাপতি আপনাকে সবকিছু বলবে।’ পরে জানতে পারলাম গোপনে পকেট কমিটি গঠন করার জন্য আমাকে অভিভাবক সদস্য করা হয়েছে। আমি অবৈধ কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পেতে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছি।
অভিযোগকারী মাও.শাহাবুদ্দিন বলেন, ২০১৪-১৫ সালের অনির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা চলমান থাকার পরেও গোপনে করা পকেট কমিটি দিয়েই মাদারাসা পরিচালনা করে আসছেন সুপার। মাদ্রাসায় জবাবদিহিতা না থাকায় সুপার তার মনগড়াভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন।
সুলাতানাবদ ইসলামিয়া মাদ্রাসার সুপার মো. মোসারেফ হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, আজ (সোমবার, ১৯ই আগষ্ট) তদন্তের জন্য মাদ্রাসায় যাব। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী

বাউফলে গোপনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী ) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও.মোশারেফ হোসেনের বিরুদ্ধে গোপনে ও বিধিবর্হিভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে রেজিষ্টার (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত ২রা জুন মাও. মো. শাহাবুদ্দিন আল মামুন নামে ওই মাদ্রাসার এক অভিভাবক সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে ওই অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিধি মোতাবেক নতুন কমিটি গঠনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত নির্বাচনী তফসিল, ভোটার তালিকা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের জানানোর কথা থাকলেও তা না করে সব কিছু গোপন করে ও বিধিবর্হিভূতভাবে নিজের পছন্দের লোকজন নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেন মাদরাসার সুপার মাও. মোশারেফ হোসেন। যার অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিচালাকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই মাদ্রাসার স্থায়ী দাতা সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন,‘আমি স্থায়ী দাতা সদস্য ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি। নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে সুপার আমাকে কিছুই জানায়নি। তিনি গোপনে একটি পকেট কমিটি গঠন করেছেন। বিধি অনুযায়ী কোন ব্যক্তি দুইটির অধিক বেসরকারি মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। তার পরেও বিধি ভেঙে তাকে সভাপতি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ.কে.এম জহিরুল হক দুইটি মাদ্রাসার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মাদ্রাসা দুইটি হলো-বাউফল উপজেলার ধানদী কামিল মাদরাসা ও নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ভূইঘর দারুচ্ছুন্নাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। এমন অবৈধ কমিটি অনুমোদনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। আমিসহ একাধিক সদস্য পৃথকভাবে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিষ্ট্রারের কাছে আবেদন করেছি, যাতে ওই অবৈধ কমিটি অনুমোদন না দেয়া হয়।
মো. আ. রউফ নামে এক অভিভাবক বলেন,‘ আমার মেয়ে ওই মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সুপার মোশারেফ আমাকে সভাপতি এ.কে.এম জহিরুল হক সাহেবের বরাত দিয়ে মাদারাসায় খবর দিয়ে নেন। তখন তিনি ২/৩টা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেন। স্বাক্ষর কেনো নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি (সুপার) বলেন,‘ সভাপতি আপনাকে সবকিছু বলবে।’ পরে জানতে পারলাম গোপনে পকেট কমিটি গঠন করার জন্য আমাকে অভিভাবক সদস্য করা হয়েছে। আমি অবৈধ কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পেতে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছি।
অভিযোগকারী মাও.শাহাবুদ্দিন বলেন, ২০১৪-১৫ সালের অনির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা চলমান থাকার পরেও গোপনে করা পকেট কমিটি দিয়েই মাদারাসা পরিচালনা করে আসছেন সুপার। মাদ্রাসায় জবাবদিহিতা না থাকায় সুপার তার মনগড়াভাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন।
সুলাতানাবদ ইসলামিয়া মাদ্রাসার সুপার মো. মোসারেফ হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পরে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, আজ (সোমবার, ১৯ই আগষ্ট) তদন্তের জন্য মাদ্রাসায় যাব। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।