
মো: খলিলুর রহমান, বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফলে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দাখিল করা হলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ বিএনপি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের। মামলা রুজুসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় উপজেলার কালাইয়া-বঘী সড়কের উত্তরকান্দা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসি এবং বিএনপি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতা-কর্মী।
মানববন্ধনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আতাহার সিকদার, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (বাদল মৃধা), কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত, জিয়া সৈনিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. রিয়াজ হোসেন বাদশা,যুবদল কর্মী মো. ইরান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,আওয়ামী সরকারের সময় প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করা সুযোগবাদি আব্দুল হালিম চৌধুরী ও তাঁর ভাতিজা ইলিয়াসের নেতৃত্বে গত রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকর্পূরকাঠী গ্রামের উত্তরকান্দা এলাকায় কালাইয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক সাইফুল আলম ওরফে রেজভি (৩০) ও জিয়া সৈনিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহŸায়ক আল আমিন ওরফে সবুজ (৩৫), যুবদলকর্মী মো. আরিফ (৪০), মো. ঈমাম হোসেন (২৫) নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাইফুল আলম ও আল আমিনকে পুলিশ উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই রাতেই বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেই ঘটনায় পরদিন সোমবার লিখিত এজাহার দাখিল করা হলেও পুলিশ মামলা নিয়ে গড়িমষি করছে। এ ঘটনায় আগামি ৪৮ ঘটনার মধ্যে মামলা রুজু করে আসামিদের গ্রেপ্তার না করলে থানা ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে বক্তারা হুশিয়ারি দেন।
হালিম চৌধুরী বাউফল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এ কে এম ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের অনুসারী।কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন পঞ্চায়েত বলেন, হালিম চৌধুরী ও তাঁর নেতা ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দিতে পারলে আর রাজনীতি করবেন না।
হালিম চৌধুরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বিএনপির কর্মী। সেই হিসেবে তিনি এলাকায় একটি ভাড়া ঘর (২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর) নিয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন। দুর্বৃত্তরা গতকাল রোববার রাতে সেই কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এবং দেশি অস্ত্র নিয়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখন এলাকাবাসী তাঁদের প্রতিরোধ করেছে। আর ঘটনার সময় তিনি পুলিশের সঙ্গে ছিলেন। তিনি কোনো হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করেছে। এ ঘটনায় আজকে শুক্রবার মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।