ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হবিগঞ্জে তেলবাহী লরিতে অভিনব কায়দায় পাচারকালে প্রায় সোয়া ০১ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাইপণ্য জব্দ। Logo টেকনাফে নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে বিজিবি Logo গাইবান্ধায় ১৪৯০মিটার দীর্ঘ “মওলানা ভাসানী সেতু” উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা Logo সুনামগঞ্জে ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘অভিযোজন এক্সপো’ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, Logo ফায়ারফাইটার নিয়োগে ঢাকা ও সিলেট বিভাগের (পুরুষ) প্রার্থীদের মাঠ পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন Logo রংপুর জেলায় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিনের কার্যক্রম সম্পন্ন Logo মৌলভীবাজারে কনস্টেবল পদে নিয়োগ জুন – ২০২৫ এর কার্যক্রম শুরু Logo সারাদেশে জলাশয়গুলো চিহ্নিত করে দেশি মাছের প্রজাতি রক্ষা করতে হবে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Logo বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নিকট পেশ Logo হাতি সংরক্ষণে আবাসস্থল রক্ষা,করিডোর মুক্তকরণ ও সচেতনতা জরুরি: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এ চুক্তিতে যুক্ত হলো

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫, বাংলাদেশ ২০ জুন ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের ” ‘প্রোটেকশন অ্যান্ড ইউজ অফ ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্সেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লেকস (ইউএন ওয়াটার কনভেনশন’-এ যোগ দিয়েছে। এ মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এ চুক্তিতে যুক্ত হলো।

ডেল্টা রাষ্ট্র বাংলাদেশে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) নদী ব্যবস্থাসহ ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। পানি নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য এই নদীগুলোর যৌথ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা প্রবেশ এবং এখনো ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের অভাব যৌক্তিক ও টেকসই পানি শাসনের প্রয়োজনীয়তাকে আরও ঘনিভূত করেছে।

জাতিসংঘ পানি কনভেনশন আন্তঃসীমান্ত ভূ-উপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনায় একটি বিস্তৃত আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকেই এই কনভেনশনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত এবং ২০২৪ সালে স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত এর দশম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এই কনভেনশনে যোগ দিতে ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জাতিসংঘ পানি কনভেনশনে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পানির চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। এই কনভেনশন আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর পানি নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করবে।”

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন ও গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তিসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং নেপাল, চীন ও ভূটানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান।

জাতিসংঘ ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিশনের (UNECE) নির্বাহী সচিব তাতিয়ানা মলসিয়ান বাংলাদেশের যোগদানের প্রশংসা করে বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি। ক্রমবর্ধমান জলবায়ু চাপে আন্তঃসীমান্ত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।”

জাতিসংঘ পানি কনভেনশনের সেক্রেটারি সোনিয়া কোয়েপেল বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে অন্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকেও এই কনভেনশনে যোগদানের আহ্বান জানান। তিনি ২০২৬ সালের ২ থেকে ৪ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জাতিসংঘ পানি কনফারেন্স এর প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে তেলবাহী লরিতে অভিনব কায়দায় পাচারকালে প্রায় সোয়া ০১ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাইপণ্য জব্দ।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এ চুক্তিতে যুক্ত হলো

আপডেট সময় ০৬:০৯:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ২৪ জুন ২০২৫, বাংলাদেশ ২০ জুন ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের ” ‘প্রোটেকশন অ্যান্ড ইউজ অফ ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াটারকোর্সেস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল লেকস (ইউএন ওয়াটার কনভেনশন’-এ যোগ দিয়েছে। এ মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বে ৫৬তম দেশ হিসেবে এ চুক্তিতে যুক্ত হলো।

ডেল্টা রাষ্ট্র বাংলাদেশে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) নদী ব্যবস্থাসহ ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী রয়েছে। পানি নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য এই নদীগুলোর যৌথ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা প্রবেশ এবং এখনো ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের অভাব যৌক্তিক ও টেকসই পানি শাসনের প্রয়োজনীয়তাকে আরও ঘনিভূত করেছে।

জাতিসংঘ পানি কনভেনশন আন্তঃসীমান্ত ভূ-উপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদের ব্যবস্থাপনায় একটি বিস্তৃত আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকেই এই কনভেনশনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত এবং ২০২৪ সালে স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত এর দশম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সকল সদস্য রাষ্ট্রকে এই কনভেনশনে যোগ দিতে ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জাতিসংঘ পানি কনভেনশনে যুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও পানির চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। এই কনভেনশন আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর পানি নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করবে।”

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন ও গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তিসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং নেপাল, চীন ও ভূটানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান।

জাতিসংঘ ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিশনের (UNECE) নির্বাহী সচিব তাতিয়ানা মলসিয়ান বাংলাদেশের যোগদানের প্রশংসা করে বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি। ক্রমবর্ধমান জলবায়ু চাপে আন্তঃসীমান্ত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।”

জাতিসংঘ পানি কনভেনশনের সেক্রেটারি সোনিয়া কোয়েপেল বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে অন্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকেও এই কনভেনশনে যোগদানের আহ্বান জানান। তিনি ২০২৬ সালের ২ থেকে ৪ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় পরবর্তী জাতিসংঘ পানি কনফারেন্স এর প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।