ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দূষণবিরোধী অভিযান: ৬ মাসে ১ হাজার ১৯১টি মোবাইল কোর্ট, ৬৯৯ টি ইটভাটা বন্ধ, প্রায় আড়াই লাখ কেজি পলিথিন জব্দ Logo শুল্ক আলোচনার সময় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সাথে বাণিজ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ Logo শাহজাহানপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৬৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং মানবিক সহায়তায় নতুন করে সহযোগিতার প্রত্যাশা চীন ও কানাডার: পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শিক্ষার্থীর আ ত্ম হ ত্যা Logo মধ্যনগর উপজেলার এসএসসি রেজাল্ট ২০২৫ বংশীকুন্ডা মমিন স্কুল শীর্ষে Logo নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন” Logo আমদানি নীতি আদেশ প্রতিপালন, অটোমেশন, মামলা হ্রাসকরণসহ বকেয়া আদায় কার্যক্রমে মনোযোগ দিতে বলেন Logo দেশে নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবার মান নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড কাজ করছে- বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবসে শিল্প উপদেষ্টা Logo বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: ঢাকা (২৫ জুন, ২০২৫ খ্রি.), স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, মাদক নির্মূলে সবার আগে এর পিছনে থাকা গডফাদারদের ধরতে হবে। তবেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মসূচি সাফল্য পাবে। শুধু মাদকের বাহকদের ধরে লাভ নাই।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে “মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫” উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দুইটি বড় শত্রু রয়েছে৷ এক নম্বর হচ্ছে দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক৷ মাদক এখন সমাজের সর্বত্র ও সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে ছেয়ে গেছে। মাদক থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। শুধুমাত্র মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে এটি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মাদক যেন বাহির থেকে দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। মাদক পাচারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ এখন অনেক বেশি৷ গরীবের পক্ষে এটা বহন করা অনেক কষ্টসাধ্য। তিনি এসময় কেউ যেন মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হতে না হয়- এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে- এ ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। গত একনেক সভায় ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি বিভাগীয় শহরে “সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ” প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে৷

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে উপদেষ্টা ঢাকা মেট্রো এরিয়াসহ ঢাকা বিভাগের ৩২ টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মাঝে ৫৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দূষণবিরোধী অভিযান: ৬ মাসে ১ হাজার ১৯১টি মোবাইল কোর্ট, ৬৯৯ টি ইটভাটা বন্ধ, প্রায় আড়াই লাখ কেজি পলিথিন জব্দ

মাদক নির্মূলে সবার আগে গডফাদারদের ধরতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৫২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

আলী আহসান রবি: ঢাকা (২৫ জুন, ২০২৫ খ্রি.), স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, মাদক নির্মূলে সবার আগে এর পিছনে থাকা গডফাদারদের ধরতে হবে। তবেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কর্মসূচি সাফল্য পাবে। শুধু মাদকের বাহকদের ধরে লাভ নাই।

উপদেষ্টা আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে “মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস, ২০২৫” উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩২টি বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমাদের দুইটি বড় শত্রু রয়েছে৷ এক নম্বর হচ্ছে দুর্নীতি এবং আরেকটি হলো মাদক৷ মাদক এখন সমাজের সর্বত্র ও সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে ছেয়ে গেছে। মাদক থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা। শুধুমাত্র মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে এটি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মাদক যেন বাহির থেকে দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। মাদক পাচারের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময়ের খরচ এখন অনেক বেশি৷ গরীবের পক্ষে এটা বহন করা অনেক কষ্টসাধ্য। তিনি এসময় কেউ যেন মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হতে না হয়- এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, মাদকসেবীদের সংখ্যা যেন ধীরে ধীরে পুরোপুরি কমে আসে- এ ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। গত একনেক সভায় ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাতটি বিভাগীয় শহরে “সাতটি বিভাগীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ” প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। তিনি বলেন, যেভাবেই হোক আমাদের সমাজ থেকে মাদককে উচ্ছেদ করতে হবে৷

ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হাসান মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে উপদেষ্টা ঢাকা মেট্রো এরিয়াসহ ঢাকা বিভাগের ৩২ টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মাঝে ৫৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন।