ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আনন্দবাস সীমান্তে ৫১ হাজার ডলারসহ এক ব্যাক্তি আটক Logo মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ সিএনজি চালক আটক। Logo আন্তর্জাতিক ডেস্ক হাইতিতে গ্যাং দমন ও কর আদায়ে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা প্রেরণ Logo গত ২৪ ঘন্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরও ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ Logo অন্যায্য শ্রম অনুশীলন ও ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্যের প্রতিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কর্ণফুলী টানেল সাইট অফিসে “উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা” সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo সিএমপি’র পাঁচলাইশ থানা পুলিশের অভিযানে সাজা পরোয়ানাভুক্ত ০১ (এক) আসামী গ্রেফতার Logo জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোনো সুযোগ নেই: ধর্ম উপদেষ্টা Logo পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা শিশুর মৃত্যু Logo ছাতকে শ্রী শ্রী মহাপ্রভু আখড়া মন্দিরে ১দিনব্যাপী মঙ্গল শোভা যাত্রা, কুইজ ও চিত্রাংঙ্কন

শ্রম আদালতের মামলার জট নিরসনে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে — শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৩২ বার পড়া হয়েছে
আলী আহসান রবি: শ্রম আদালতের বিচারকদের অংশগ্রহণে “Labour Justice Source: A Training for Judges” শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, শ্রম আদালতে যে মামলার জট রয়েছে তা দ্রুত আন্তরিকতার সহিত নিষ্পত্তি করতে হবে। শ্রম আদালতগুলিতে জনবল ঘাটতি পূরনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার আইএলও (ILO)-এর উদ্যোগে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শ্রম আদালতের বিভিন্ন বিচারকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণে শ্রম সচিব এ কথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, শ্রমিক-মালিক বিরোধ ও সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলার শ্রম আদালতের বিচারকদের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির তাগিদ দেন। প্রয়োজনে তাদের সকল লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।

শ্রম সচিব আরও বলেন, শ্রম আদালতে মামলা জট কমাতে আরও শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মামলার সংখ্যা কমাতে বিচারকদের উদ্দ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন C155, C187 এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে C190 অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। অনুস্বাক্ষরের পর কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে আইনি কাঠামো দান করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রম আইন ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উপস্থিতরা বলেন। তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে, এ ধরনের প্রশিক্ষণ শ্রম খাতের উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রশিক্ষণে আইএলও-এর প্রতিনিধি, শ্রম আদালতের বিচারকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আনন্দবাস সীমান্তে ৫১ হাজার ডলারসহ এক ব্যাক্তি আটক

শ্রম আদালতের মামলার জট নিরসনে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে — শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান

আপডেট সময় ০৪:১৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
আলী আহসান রবি: শ্রম আদালতের বিচারকদের অংশগ্রহণে “Labour Justice Source: A Training for Judges” শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, শ্রম আদালতে যে মামলার জট রয়েছে তা দ্রুত আন্তরিকতার সহিত নিষ্পত্তি করতে হবে। শ্রম আদালতগুলিতে জনবল ঘাটতি পূরনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার আইএলও (ILO)-এর উদ্যোগে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত শ্রম আদালতের বিভিন্ন বিচারকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণে শ্রম সচিব এ কথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, শ্রমিক-মালিক বিরোধ ও সংশ্লিষ্ট মামলাসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলার শ্রম আদালতের বিচারকদের দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির তাগিদ দেন। প্রয়োজনে তাদের সকল লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে।

শ্রম সচিব আরও বলেন, শ্রম আদালতে মামলা জট কমাতে আরও শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মামলার সংখ্যা কমাতে বিচারকদের উদ্দ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন C155, C187 এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে C190 অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। অনুস্বাক্ষরের পর কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে আইনি কাঠামো দান করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রম আইন ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উপস্থিতরা বলেন। তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করেন যে, এ ধরনের প্রশিক্ষণ শ্রম খাতের উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রশিক্ষণে আইএলও-এর প্রতিনিধি, শ্রম আদালতের বিচারকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।