
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তাঁর সরকারের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হলো নারীর ক্ষমতায়ন।
অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, “বাস্তবে আজ বহু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীদের অবদান অর্ধেকেরও বেশি।” তিনি জানান, এ মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ‘হাউসহোল্ড প্রোডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট’ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, নারীরা ৮৫ শতাংশেরও বেশি অবৈতনিক দেখাশোনা ও গৃহস্থালি কাজ করেন, যার আর্থিক মূল্য বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৬ শতাংশেরও বেশি।
তিনি আরও বলেন, “অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের মেয়েরা সর্বত্র সাফল্য অর্জন করছে: শ্রেণিকক্ষ থেকে বোর্ডরুমে, গবেষণাগার থেকে খেলার মাঠে।” সম্প্রতি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল একটি আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে এবং আন্তঃএশীয় প্রতিযোগিতার যোগ্যতা অর্জন করেছে, যা সারা দেশে লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, তার সরকার নারীর নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করতে অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বছর বেইজিং ঘোষণার ৩০তম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সরকার নারী ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করেছে।
‘বেইজিং+৩০ কর্মসূচি’ এর আওতায় আগামী পাঁচ বছরে চারটি জাতীয় অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন
নারীর অবৈতনিক যত্ন ও গৃহস্থালি কাজকে স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন
রাজনীতি ও জনজীবনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো
লিঙ্গ-সংবেদনশীল বাজেট প্রক্রিয়া জোরদার করা
অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্য অনুযায়ী, নারীর ক্ষমতায়ন শুধু সমাজের উন্নয়নের একটি সূচক নয়, এটি দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্যও অপরিহার্য