মোঃ খলিলুর রহমান(বাউফল, পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৬০) নামে এক ভ’ক্তোভোগী। বাউফল পৌরসভার ৮ নস্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। আজ সোমবার দুপুর ১ টায় বাউফল পৌরসভার হাসপাতাল সড়কে আল মদিনা আবাশিক হোটেলের একটি কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নাজিরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওসমান মৃধার মৃত্যুর পরে পটুয়াখালী আদালত কর্তৃক তাঁর নাবালক দুই ছেলে মো. রফিক ও শফিক এবং কন্যা সামচুন্নাহারের অভিবাবকশীপ আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ওসমানের স্ত্রী জমিলা খাতুন দাতা হয়ে একই বাড়ীর মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুর রহিমের কাছে ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহিম দাতা হয়ে ওই জমি থেকে মোঃ এমদাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছে ৮.৫০ শতাংশ ও মোঃ বেলায়েত হোসেন নামে অপর একজনের কাছে ৩.৫০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। এরপর মোঃ বেলায়েতের কাছ থেকেও আবার ওই ৩.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এমদাদ হোসেন। পরবর্তীতে মোঃ এমদাদ হোসেন ও তাঁর ভাই মো. মিজানুর রহমান এবং মা ভানু বিবি ও মামী সাফিয়া খাতুনের কাছ থেকে ১৯৯০ সালের ২৮ অক্টোবর বাউফল পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌজা- ৮৬, খতিয়ান-৭৩৬, দোগ নং- ৫৩৪৪,৫৩৮৫,৫৩৮৬ থেকে মোট ২৩.৫০ শতাংশ জমি আমি( জাহাঙ্গীর হোসেন) ক্রয় করি । যাহা দীর্ঘ ৩৪ বছর পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছি। গত ৮ আগষ্ট দুপুর ২ টার দিকে অভিভাবকশীপ প্রাপ্ত হয়ে জমিলা খাতুনের বিক্রি করা ওই জমিতে তাঁর ছেলে মোঃ রফিক ও মোঃ শফিক এবং মেয়ে মোসাঃ শামচুন্নাহারের নেতৃত্বে স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের ছেলে মোঃ মজিবর মোল্লা এবং জব্বার মাতুব্বরের ছেলে মোঃ সহিদুল ইসলামসহ ১৫/২০ জনের একটি দল আমার বসতঘরের সামনে দখলীয় ওই জমিতে হঠাৎ করে জোরপূর্বক একটি টিনের ছাপড়া ঘর তুলে দখল করেন। এ বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।