ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী Logo সৎও মিষ্টভাষী উপসচিব আবুল হাসান Logo বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে Logo তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo রাজনীতিবিদ শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানার কিছু কথা Logo কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা Logo সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo ময়মনসিংহে ‘ফ্যাক্টস ফর লাইফ’ কর্মশালা

বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই-পার্বত্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ২০২৪: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে সৌহার্দ্র্য ও সম্প্রীতির সংযোগ বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমরা এক হয়ে কাজ করবো। গতকাল রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেছেন, আমরা আমাদের আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা সকল ভালো কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ধর্মীয় বিধান মতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। কোনো ভালো কাজের এপ্রিশিয়েশন করা, ভগবান বা দেবতাকে রাজি খুশি করার জন্য যে উৎসর্গ ও পুজো করা হয়, তার একটি অংশ হলো গারোদের এই ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব। সকালে দেবতার উদ্দেশে ফসল উৎসর্গের মাধ্যমে ওয়ানগালা উৎসব শুরু হয়। এসময় শস্যদেবতা বা মিশি সালজং-এর পুজো করেন পুরোহিত জনসন ম্রিং। গারো সম্প্রদায় শরতের শেষে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফসল কাটার সময় নবান্ন উৎসব ওয়ানগালা উদযাপন করে থাকে। এবারের এ উৎসবের আরাধনা হলো সকল ব্যধি কাটিয়ে যেন আগামি বছর অধিক ফসল উৎপাদন হয় এবং সকলের মঙ্গল ও শান্তি বহমান থাকে। অনুষ্ঠানে গারো শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ‘জুম নৃত্য’, স্ল্যাস-এন্ড-বার্ন ডান্স পরিবেশন করে। ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষে বনানী কলেজ মাঠে ওয়ানগালা উদযাপন কমিটি গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত খাবার, হস্তশিল্প এবং পোশাক ও রকমারি তৈজসপত্র বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্টল স্থাপন করে। গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাগর রিছিল-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সহধর্মিনী মিজ নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, নকমা (হেডম্যান) জনন্ত চিসিম, ঢাকা মেট্রোপলিটান ক্রিস্টিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান অগাস্টিন পিউরিফিকেশন, টেট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নকমা অন্ত ঘাগরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক-এর আদিবাসী জামিল রহমান, ইগনেশিয়াস হেমন্ত কুরাইয়্যা, ইম্ম্যানুয়াল বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী

বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই-পার্বত্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ২০২৪: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে সৌহার্দ্র্য ও সম্প্রীতির সংযোগ বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমরা এক হয়ে কাজ করবো। গতকাল রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেছেন, আমরা আমাদের আচার-আচরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করে যেতে চাই। তিনি বলেন, আমরা সকল ভালো কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ধর্মীয় বিধান মতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি। কোনো ভালো কাজের এপ্রিশিয়েশন করা, ভগবান বা দেবতাকে রাজি খুশি করার জন্য যে উৎসর্গ ও পুজো করা হয়, তার একটি অংশ হলো গারোদের এই ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব। সকালে দেবতার উদ্দেশে ফসল উৎসর্গের মাধ্যমে ওয়ানগালা উৎসব শুরু হয়। এসময় শস্যদেবতা বা মিশি সালজং-এর পুজো করেন পুরোহিত জনসন ম্রিং। গারো সম্প্রদায় শরতের শেষে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফসল কাটার সময় নবান্ন উৎসব ওয়ানগালা উদযাপন করে থাকে। এবারের এ উৎসবের আরাধনা হলো সকল ব্যধি কাটিয়ে যেন আগামি বছর অধিক ফসল উৎপাদন হয় এবং সকলের মঙ্গল ও শান্তি বহমান থাকে। অনুষ্ঠানে গারো শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ‘জুম নৃত্য’, স্ল্যাস-এন্ড-বার্ন ডান্স পরিবেশন করে। ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষে বনানী কলেজ মাঠে ওয়ানগালা উদযাপন কমিটি গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত খাবার, হস্তশিল্প এবং পোশাক ও রকমারি তৈজসপত্র বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন স্টল স্থাপন করে। গারো ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাগর রিছিল-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সহধর্মিনী মিজ নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, নকমা (হেডম্যান) জনন্ত চিসিম, ঢাকা মেট্রোপলিটান ক্রিস্টিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান অগাস্টিন পিউরিফিকেশন, টেট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নকমা অন্ত ঘাগরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক-এর আদিবাসী জামিল রহমান, ইগনেশিয়াস হেমন্ত কুরাইয়্যা, ইম্ম্যানুয়াল বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।