ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাউফলে ১৯ মাস বয়সের এক শিশুর রহস্য জনক মৃত্যু Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা Logo বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন শাখায় কর্তৃক সাধারণ সভা Logo অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও Logo যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা সে দেশকে আর আমরা সফল বলতে পারি না- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না’ Logo প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন Logo ভালুকায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ Logo দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:১১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবান, ১৮ এপ্রিল ২০২৫: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যা করার দরকার তা আমরা করব। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক কিছুই করা যায় না। সময়ের মধ্যে যতটুকুই পারি আমরা উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আমরা দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চাই। আজ বিকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেছেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বান্দরবানের মানুষ বরাবরই খুব ভালো। তারা কালারফুল। বারোটি কমিউনিটি একত্রিত হয়ে বান্দরবানের মিলেমিশে থাকছে। বিদেশীরাও তা জেনে গেল। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ইঞ্জিনিয়ারিং বেইজড কাজ করে থাকে। আমি এ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। আমি চাই, এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট। এখানকার লাইভলিহুড ইমপ্রুভ করা এবং ভারসাম্য পরিবেশ গড়ে তোলা খুবই জরুরি। এসময় তিনি আরো বলেন, দেশী বিদেশী পর্যটক বান্দরবানে আসুক এইটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠির এমন সংমিশ্রন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক আর্থিক উন্নয়নের জন্য এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজমান। বিদেশিরা এসে তা দেখে যাচ্ছে। নববর্ষকে ঘিরে “সাংগ্রাই ” এর মৈত্রী পানি বর্ষণে ৫ দিনব্যাপী মেতে উঠেছিল বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়। মৈত্রী পানি বর্ষণ এই উৎসবকে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই বলে থাকে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই মারমা’রা সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে মৈত্রী পানি বর্ষণ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।

এই উৎসবে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালিয়ান, আ্যম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস আ্যম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ অংশ নেন। সেই সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই , পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মামাসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাউফলে ১৯ মাস বয়সের এক শিশুর রহস্য জনক মৃত্যু

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৬:১১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বান্দরবান, ১৮ এপ্রিল ২০২৫: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যা করার দরকার তা আমরা করব। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক কিছুই করা যায় না। সময়ের মধ্যে যতটুকুই পারি আমরা উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আমরা দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চাই। আজ বিকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেছেন। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বান্দরবানের মানুষ বরাবরই খুব ভালো। তারা কালারফুল। বারোটি কমিউনিটি একত্রিত হয়ে বান্দরবানের মিলেমিশে থাকছে। বিদেশীরাও তা জেনে গেল। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ইঞ্জিনিয়ারিং বেইজড কাজ করে থাকে। আমি এ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। আমি চাই, এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট। এখানকার লাইভলিহুড ইমপ্রুভ করা এবং ভারসাম্য পরিবেশ গড়ে তোলা খুবই জরুরি। এসময় তিনি আরো বলেন, দেশী বিদেশী পর্যটক বান্দরবানে আসুক এইটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠির এমন সংমিশ্রন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক আর্থিক উন্নয়নের জন্য এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজমান। বিদেশিরা এসে তা দেখে যাচ্ছে। নববর্ষকে ঘিরে “সাংগ্রাই ” এর মৈত্রী পানি বর্ষণে ৫ দিনব্যাপী মেতে উঠেছিল বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়। মৈত্রী পানি বর্ষণ এই উৎসবকে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই বলে থাকে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই মারমা’রা সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে মৈত্রী পানি বর্ষণ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।

এই উৎসবে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালিয়ান, আ্যম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস আ্যম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ অংশ নেন। সেই সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই , পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মামাসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।