ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী Logo সৎও মিষ্টভাষী উপসচিব আবুল হাসান Logo বিজিবি’কে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo ১০ বছরের জন্য এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে Logo তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo রাজনীতিবিদ শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানার কিছু কথা Logo কালিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলা Logo সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ Logo বিগত সরকারের কথিত উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ করে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা Logo ময়মনসিংহে ‘ফ্যাক্টস ফর লাইফ’ কর্মশালা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

 

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এবং একই সঙ্গে সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রত্যেক শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের স্বজনদের প্রতি, যাঁরা দীর্ঘ বছর ধরে বয়ে চলেছে আপনজনকে হারানোর বেদনা ও কষ্ট।পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের রাজাকারদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের। এসব হত্যার কারণটি স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতার কারণেই এতটা ব্যাপক ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই বাহিনীগুলোর সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উঠিয়ে এনেছেন; তুলে দিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে একটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন।আমি কবির নেওয়াজ রাজ একজন ক্ষুদ্র কলাম লেখক হিসেবে দাবি করছি,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে যারা বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে আছে অথবা পলাতক আছে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলংকমুক্ত করা হোক।বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা জাতির যে কোন বিপর্যয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন।ইতিহাসের এই বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের কুলাঙ্গারদের প্রতি ঘৃণা জানায় কোটি কোটি দেশপ্রেমিক বাঙালি।চৌদ্দই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা শোকাবহ দিন। ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে উৎকীর্ণ বেদনা বিধুর কালবেলা।।

লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস(রাষ্ট্রবিজ্ঞান),সিসি(জার্নালিজম),এলএলবি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কিছু কিছু পুলিশ এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে: নবী উল্লাহ নবী

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এবং একই সঙ্গে সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রত্যেক শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের স্বজনদের প্রতি, যাঁরা দীর্ঘ বছর ধরে বয়ে চলেছে আপনজনকে হারানোর বেদনা ও কষ্ট।পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের রাজাকারদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের। এসব হত্যার কারণটি স্পষ্ট, পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙ্গু করে দিতে।পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতার কারণেই এতটা ব্যাপক ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এই বাহিনীগুলোর সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উঠিয়ে এনেছেন; তুলে দিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে একটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন।আমি কবির নেওয়াজ রাজ একজন ক্ষুদ্র কলাম লেখক হিসেবে দাবি করছি,জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে যারা বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে আছে অথবা পলাতক আছে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলংকমুক্ত করা হোক।বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা জাতির যে কোন বিপর্যয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন।ইতিহাসের এই বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের কুলাঙ্গারদের প্রতি ঘৃণা জানায় কোটি কোটি দেশপ্রেমিক বাঙালি।চৌদ্দই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের মেধাবী ও শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা শোকাবহ দিন। ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে উৎকীর্ণ বেদনা বিধুর কালবেলা।।

লেখকঃ কবির নেওয়াজ রাজ
এমএসএস(রাষ্ট্রবিজ্ঞান),সিসি(জার্নালিজম),এলএলবি।