ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা Logo বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন শাখায় কর্তৃক সাধারণ সভা Logo অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও Logo যে দেশ শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে পারেনা সে দেশকে আর আমরা সফল বলতে পারি না- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না’ Logo প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন Logo ভালুকায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ Logo দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার Logo পিরোজপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার 

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৯

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৪১ বার পড়া হয়েছে
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ২০ ইস্ট বেংগল)
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ১৯৭৮ সালে ২০ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে পানছড়ি এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ২০ ইস্ট বেঙ্গল থেকে একজন অফিসার, একজন জেসিও এবং ৩৯ জন অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য নিয়ে একটি টহল পাঠানো হয়। টহল দলটি লেফটেন্যান্ট মুস্তাফা হেলালের নেতৃত্বে তিনটি সেকশনে বিভক্ত ছিল, যেখানে নায়েক আফাজ উদ্দিন ছিলেন ৩ নম্বর সেকশনের সেকশন কমান্ডার।
ভোর ৪:৩০ ঘটিকায় দলটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছায় এবং দুটি দলে বিভক্ত হয়। নায়েক আফাজ উদ্দিন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রুর অবস্থানকৃত কুঁড়েঘরের কাছে এগিয়ে যান। শত্রু পালানোর চেষ্টা করলে তিনি তাদের প্রতিহত করেন এবং সাহসের সাথে একজন শত্রুকে ধরে ফেলেন। শত্রুরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেয়, যার স্পিন্টারে নায়েক আফাজ উদ্দিন আহত হন। তীব্র আঘাত সত্ত্বেও, তিনি তাঁর এসএমজি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া শত্রুদের উপর গুলি চালান এবং তাদের তাড়া করেন। তার ডান বুকের নীচে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তবুও তিনি অপারেশন চালিয়ে যান।
নায়েক আফাজ উদ্দিনকে দ্রুত পানছড়ি ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হলেও তিনি একইদিন ভোর ৬:৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সাহসিকতা, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের জন্য তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক “বীর বিক্রম” খেতাবে ভূষিত হন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্টা

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৯

আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ২০ ইস্ট বেংগল)
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ১৯৭৮ সালে ২০ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে পানছড়ি এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ২০ ইস্ট বেঙ্গল থেকে একজন অফিসার, একজন জেসিও এবং ৩৯ জন অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য নিয়ে একটি টহল পাঠানো হয়। টহল দলটি লেফটেন্যান্ট মুস্তাফা হেলালের নেতৃত্বে তিনটি সেকশনে বিভক্ত ছিল, যেখানে নায়েক আফাজ উদ্দিন ছিলেন ৩ নম্বর সেকশনের সেকশন কমান্ডার।
ভোর ৪:৩০ ঘটিকায় দলটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছায় এবং দুটি দলে বিভক্ত হয়। নায়েক আফাজ উদ্দিন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রুর অবস্থানকৃত কুঁড়েঘরের কাছে এগিয়ে যান। শত্রু পালানোর চেষ্টা করলে তিনি তাদের প্রতিহত করেন এবং সাহসের সাথে একজন শত্রুকে ধরে ফেলেন। শত্রুরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেয়, যার স্পিন্টারে নায়েক আফাজ উদ্দিন আহত হন। তীব্র আঘাত সত্ত্বেও, তিনি তাঁর এসএমজি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া শত্রুদের উপর গুলি চালান এবং তাদের তাড়া করেন। তার ডান বুকের নীচে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তবুও তিনি অপারেশন চালিয়ে যান।
নায়েক আফাজ উদ্দিনকে দ্রুত পানছড়ি ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হলেও তিনি একইদিন ভোর ৬:৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সাহসিকতা, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের জন্য তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক “বীর বিক্রম” খেতাবে ভূষিত হন।