ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি Logo ফরিদপুর-৩: বিএনপির প্রার্থী নায়াব ইউসুফ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে Logo কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক লাখ ইয়াবা, প্রাইভেটকার ও মোবাইল উদ্ধার Logo মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা, আটক-২ Logo ডাকসু ভিপির ঘোষণা: “নিজের ভবিষ্যৎ দেখিয়ে দিছে!” মশাল মিছিলের প্রস্তুতি Logo নারী দুর্বৃত্ত, আইন ও সভ্য সমাজের মানদণ্ড Logo খুলনায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ৩৫টি ককটেল ও সরঞ্জাম উদ্ধার Logo ঢাকা ডিবি ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের Logo রাজশাহীতে বিচারকের পুত্র তাওসিফের মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তে জানা গেল

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৯

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৮৮ বার পড়া হয়েছে
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ২০ ইস্ট বেংগল)
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ১৯৭৮ সালে ২০ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে পানছড়ি এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ২০ ইস্ট বেঙ্গল থেকে একজন অফিসার, একজন জেসিও এবং ৩৯ জন অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য নিয়ে একটি টহল পাঠানো হয়। টহল দলটি লেফটেন্যান্ট মুস্তাফা হেলালের নেতৃত্বে তিনটি সেকশনে বিভক্ত ছিল, যেখানে নায়েক আফাজ উদ্দিন ছিলেন ৩ নম্বর সেকশনের সেকশন কমান্ডার।
ভোর ৪:৩০ ঘটিকায় দলটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছায় এবং দুটি দলে বিভক্ত হয়। নায়েক আফাজ উদ্দিন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রুর অবস্থানকৃত কুঁড়েঘরের কাছে এগিয়ে যান। শত্রু পালানোর চেষ্টা করলে তিনি তাদের প্রতিহত করেন এবং সাহসের সাথে একজন শত্রুকে ধরে ফেলেন। শত্রুরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেয়, যার স্পিন্টারে নায়েক আফাজ উদ্দিন আহত হন। তীব্র আঘাত সত্ত্বেও, তিনি তাঁর এসএমজি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া শত্রুদের উপর গুলি চালান এবং তাদের তাড়া করেন। তার ডান বুকের নীচে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তবুও তিনি অপারেশন চালিয়ে যান।
নায়েক আফাজ উদ্দিনকে দ্রুত পানছড়ি ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হলেও তিনি একইদিন ভোর ৬:৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সাহসিকতা, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের জন্য তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক “বীর বিক্রম” খেতাবে ভূষিত হন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা-২৯

আপডেট সময় ০৫:৫৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ইস্ট বেঙ্গল (তৎকালীন ইউনিট ২০ ইস্ট বেংগল)
শহীদ নায়েক আফাজ উদ্দিন, বীর বিক্রম, ১৯৭৮ সালে ২০ ইস্ট বেঙ্গল এর সাথে পানছড়ি জোনে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ জুলাই ১৯৭৮ তারিখে পানছড়ি এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, ২০ ইস্ট বেঙ্গল থেকে একজন অফিসার, একজন জেসিও এবং ৩৯ জন অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য নিয়ে একটি টহল পাঠানো হয়। টহল দলটি লেফটেন্যান্ট মুস্তাফা হেলালের নেতৃত্বে তিনটি সেকশনে বিভক্ত ছিল, যেখানে নায়েক আফাজ উদ্দিন ছিলেন ৩ নম্বর সেকশনের সেকশন কমান্ডার।
ভোর ৪:৩০ ঘটিকায় দলটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছায় এবং দুটি দলে বিভক্ত হয়। নায়েক আফাজ উদ্দিন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রুর অবস্থানকৃত কুঁড়েঘরের কাছে এগিয়ে যান। শত্রু পালানোর চেষ্টা করলে তিনি তাদের প্রতিহত করেন এবং সাহসের সাথে একজন শত্রুকে ধরে ফেলেন। শত্রুরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেয়, যার স্পিন্টারে নায়েক আফাজ উদ্দিন আহত হন। তীব্র আঘাত সত্ত্বেও, তিনি তাঁর এসএমজি দিয়ে পালিয়ে যাওয়া শত্রুদের উপর গুলি চালান এবং তাদের তাড়া করেন। তার ডান বুকের নীচে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তবুও তিনি অপারেশন চালিয়ে যান।
নায়েক আফাজ উদ্দিনকে দ্রুত পানছড়ি ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হলেও তিনি একইদিন ভোর ৬:৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সাহসিকতা, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের জন্য তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক “বীর বিক্রম” খেতাবে ভূষিত হন।