ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ) Logo দীর্ঘ ১৩বছর পরে আগুনে ভষ্মিভুত বাড়িতে ফিরেছেন জামায়াত নেতা মোশারাফ Logo খালে মিলল মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ Logo পটুয়াখালী জেলার চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পুরান বাজারে চারটি দোকানে আগুন Logo সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে ডব্লিউজিইআইডি ভাইস চেয়ারপার্সনের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo শিকলে বাঁধা অবুঝ বানরছানা, হবে বিক্রি!” — উপদেষ্টার নির্দেশে বন বিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো বানরছানা Logo ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংএ অভাবনীয় সাফল্য, সৃষ্টি হয়েছে নতুন রেকর্ড Logo বিজিবি’র অভিযানে মে-২০২৫ মাসে ১৩৩ কোটি ১১ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ Logo বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টুর প্রতি জাসদের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃতি ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

দীর্ঘ ১৩বছর পরে আগুনে ভষ্মিভুত বাড়িতে ফিরেছেন জামায়াত নেতা মোশারাফ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৫২৬ বার পড়া হয়েছে

কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ মোশারাফ হোসেন দীর্ঘ ১৩ বছর পরে ফিরেছেন সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে ভষ্মিভুত আপন নীড়ে। ভঙ্গুর ঘরবাড়ি সংস্কার করে আবারও স্বপ্ন দেখছেন সহধর্মিণীকে নিয়ে পূর্বের ন্যায় সুখে শান্তিতে বসবাস করার। তবে আজও শাস্তির আওতায় আসেনি সেই সকল দুর্বৃত্ত আর অগ্নি সন্ত্রাসীরা। যারা দোকান ভর্তি মালামাল আর সাজানো গোছানো বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ লুট করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সর্বশান্ত করেছিল তারা বীরদর্পে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে আজও। সরেজমিন ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধূসুদনপুর গ্রামের শেখ আরশাদ আলী মেঝ পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা শেখ মোশারাফ হোসেনের সাজানো গোছানো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো চৌমুহনী বাজারে।দোকানে মালামাল ছিলো প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার।

২০১৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর বিকেলে অত্র ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে আবু তালেব সরদার, হামজা সরদার, আসমত ডাক্তারের ছেলে শেখ আশেক ইকবাল পাপ্পি, শ্রীধরকাটি গ্রামের নেফু শেখের ছেলে শেখ সিদ্দিক, শেখ সাদেক ও শেখ রফিকুল, শ্রীরামপুর গ্রামের আরশাদ আলী গাজীর ছেলে মিজানুর ও শাহিনুর, পারুলগাছা গ্রামের রাশেদ ঢালীর ছেলে শাহ আলম ঢালী ও শাহাজান ঢালী, গনি মোড়লের ছেলে আফছার মোড়ল, নীলকন্ঠপুর গ্রামের বদরুদ্দীন সরদারের ছেলে খলিল সরদার, জলিল সরদার, নুরু সরদারের ছেলে সুমন সরদার, জয়পত্রকাটি গ্রামের মৃত শহর আলী সরদারের ছেলে নুরুল হক সরদার, চাঁচাই গ্রামের মোসলেম এর পালিত পুত্র জাকির হোসেন, মুকুন্দপুর গ্রামের লক্ষীপদ ঘোষের ছেলে শ্রীবাস ঘোষ, সুভাষ ঘোষ, বন্দকাঠি গ্রামের আনছার উদ্দীনের ছেলে মোনায়েম হোসেন, হোগলা গ্রামের ফিরফিরে ইউনুস, বাসার মোড়ল, খোকন মোল্লা, রউপ মোল্লা, এরশাদ আলী সানাসহ ৫০/৬০ জন এই তান্ডপ চালায়ে সর্বশান্ত করে। এখানেই খ্যান্ত হয়নি ঐসকল দুর্বৃত্ত আর এলাকার নামকরা মামলাবাজ, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। এতো ক্ষয়ক্ষতি করার পরেও এই মোশারাফ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, পুলিশবাদী সহ ডজন মামলা দেয় আবু তালেব ও সিদ্দিক গং।

গত জুলাই আন্দোলনে পতিত হাসিনা সরকারের পালানোর পরে দীর্ঘ তেরো বছর পর বাড়িতে ফিরে তিনি দেখছেন সেই সকল আগুন সন্ত্রাসী আর দুর্বৃত্তরা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাভাবিক ভাবে। নেই কোনো অনুসোচনা কিংবা কৃত অপকর্মের ভয়। ভুক্তভোগী শেখ মোশারাফ হোসেন জানান, স্বৈরাচার হাসিনা পালালেও আমারসহ চৌমুহনী বাজারে সতেরোটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিলো, এলাকার ১১টি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে উল্লাস করেছিলো আজও তারা সামনের মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কাদের আশ্রয়ে আর কোন সাহসে? নির্দোশ ও সরলমনা মানুষদের ধরে ধরে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিয়েছিল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও চাঁদাবাজী করে ২০১৩ পরবর্তীতে যারা আঙ্গুলফুলে কলাগাছ হয়েছে তারা আজও বেপরোয়া। তাদের ভয়ে এখনো রাত কাটাতে হচ্ছে সেই সময়ের ক্ষতিগ্রস্ত ও হামলা, মামলায় জর্জরিত বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের। আমি তাদের হীন কর্মকান্ডে জড়িতদের শাস্তি চাই।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমজেএ)

দীর্ঘ ১৩বছর পরে আগুনে ভষ্মিভুত বাড়িতে ফিরেছেন জামায়াত নেতা মোশারাফ

আপডেট সময় ০৭:৩৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ মোশারাফ হোসেন দীর্ঘ ১৩ বছর পরে ফিরেছেন সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে ভষ্মিভুত আপন নীড়ে। ভঙ্গুর ঘরবাড়ি সংস্কার করে আবারও স্বপ্ন দেখছেন সহধর্মিণীকে নিয়ে পূর্বের ন্যায় সুখে শান্তিতে বসবাস করার। তবে আজও শাস্তির আওতায় আসেনি সেই সকল দুর্বৃত্ত আর অগ্নি সন্ত্রাসীরা। যারা দোকান ভর্তি মালামাল আর সাজানো গোছানো বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ লুট করে আগুন ধরিয়ে দিয়ে সর্বশান্ত করেছিল তারা বীরদর্পে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে আজও। সরেজমিন ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দ মধূসুদনপুর গ্রামের শেখ আরশাদ আলী মেঝ পুত্র বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামায়াত নেতা শেখ মোশারাফ হোসেনের সাজানো গোছানো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো চৌমুহনী বাজারে।দোকানে মালামাল ছিলো প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার।

২০১৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর বিকেলে অত্র ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে আবু তালেব সরদার, হামজা সরদার, আসমত ডাক্তারের ছেলে শেখ আশেক ইকবাল পাপ্পি, শ্রীধরকাটি গ্রামের নেফু শেখের ছেলে শেখ সিদ্দিক, শেখ সাদেক ও শেখ রফিকুল, শ্রীরামপুর গ্রামের আরশাদ আলী গাজীর ছেলে মিজানুর ও শাহিনুর, পারুলগাছা গ্রামের রাশেদ ঢালীর ছেলে শাহ আলম ঢালী ও শাহাজান ঢালী, গনি মোড়লের ছেলে আফছার মোড়ল, নীলকন্ঠপুর গ্রামের বদরুদ্দীন সরদারের ছেলে খলিল সরদার, জলিল সরদার, নুরু সরদারের ছেলে সুমন সরদার, জয়পত্রকাটি গ্রামের মৃত শহর আলী সরদারের ছেলে নুরুল হক সরদার, চাঁচাই গ্রামের মোসলেম এর পালিত পুত্র জাকির হোসেন, মুকুন্দপুর গ্রামের লক্ষীপদ ঘোষের ছেলে শ্রীবাস ঘোষ, সুভাষ ঘোষ, বন্দকাঠি গ্রামের আনছার উদ্দীনের ছেলে মোনায়েম হোসেন, হোগলা গ্রামের ফিরফিরে ইউনুস, বাসার মোড়ল, খোকন মোল্লা, রউপ মোল্লা, এরশাদ আলী সানাসহ ৫০/৬০ জন এই তান্ডপ চালায়ে সর্বশান্ত করে। এখানেই খ্যান্ত হয়নি ঐসকল দুর্বৃত্ত আর এলাকার নামকরা মামলাবাজ, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। এতো ক্ষয়ক্ষতি করার পরেও এই মোশারাফ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা, পুলিশবাদী সহ ডজন মামলা দেয় আবু তালেব ও সিদ্দিক গং।

গত জুলাই আন্দোলনে পতিত হাসিনা সরকারের পালানোর পরে দীর্ঘ তেরো বছর পর বাড়িতে ফিরে তিনি দেখছেন সেই সকল আগুন সন্ত্রাসী আর দুর্বৃত্তরা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাভাবিক ভাবে। নেই কোনো অনুসোচনা কিংবা কৃত অপকর্মের ভয়। ভুক্তভোগী শেখ মোশারাফ হোসেন জানান, স্বৈরাচার হাসিনা পালালেও আমারসহ চৌমুহনী বাজারে সতেরোটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিলো, এলাকার ১১টি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে উল্লাস করেছিলো আজও তারা সামনের মাথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কাদের আশ্রয়ে আর কোন সাহসে? নির্দোশ ও সরলমনা মানুষদের ধরে ধরে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিয়েছিল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও চাঁদাবাজী করে ২০১৩ পরবর্তীতে যারা আঙ্গুলফুলে কলাগাছ হয়েছে তারা আজও বেপরোয়া। তাদের ভয়ে এখনো রাত কাটাতে হচ্ছে সেই সময়ের ক্ষতিগ্রস্ত ও হামলা, মামলায় জর্জরিত বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের। আমি তাদের হীন কর্মকান্ডে জড়িতদের শাস্তি চাই।