ঢাকা ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চাঁদাবাজদের ব্যাপারে তদবির করতে আসলেই এরেস্ট Logo আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক করলেন পদত্যাগ Logo ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বন্যাদুর্গত অসহায় ও পানিবন্দি ২০০ জন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বিজিবি Logo সততা ও নিষ্ঠার সাথে থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বদা স্বচেষ্ট —ওসি হাফিজুর রহমান Logo চেকপোস্ট বাজারে ভাইরাল হালিম বিক্রি করে দিনে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয়! Logo ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা- উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo ফেসবুকে তোলপাড়, রাজধানীতে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা, আটক -২ Logo দলের নরপিশাচকে সামলান জনাব তারেক রহমান: সারজিস Logo এক জুলাইয়ে আইজিপি আরেক জুলাইয়ে রাজসাক্ষী Logo ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য

আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক করলেন পদত্যাগ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • ৫২৮ বার পড়া হয়েছে

Oplus_131072

স্টাফ রিপোর্টার: লিসানুল আলম পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। বিএনপির দুঃসময়ে পাশে থাকা, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় বাবার কারাবাস এবং নিজ বাড়ি ছাড়া অবস্থান, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ পরবর্তী আন্দোলনসহ সাম্প্রতিক জুলাই আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তবে পাঁচ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নানা ঘটনায় তিনি হতাশ। হয়েছে তার বিশ্বাসভঙ্গের অভিজ্ঞতাও। শুধু বিএনপিকে নয়, লিসান তার বিশ্বাসভঙ্গের জন্য দায়ী করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি, এই পার্টির নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ ও জামায়াতকেও। লিসান বলেন, “দেশটাকে নতুনভাবে বিনির্মাণের পরিবর্তে সবাই যার যার মতো করে নিজের স্বার্থে ও ভোগের রাজনীতিতে নেমেছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি—কেউই এ দায় থেকে মুক্ত নয়।” এসব কারণে তিনি আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, আমার একটাই স্বপ্ন ছিল—নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ এবং একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা।” কিন্তু ৫ আগস্টের গণআন্দোলনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা তাকে হতাশ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের চেতনা ভুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি ও আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে লিপ্ত হয়েছে। নিজ উপজেলা হাতিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি দাবি করেন, সেখানে ৫ আগস্টের পর ভয়াবহ চাঁদাবাজি এবং ক্ষমতাসীনদের পুনর্বাসনের ঘটনা ঘটেছে, যার পেছনে বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের হাত রয়েছে। তিনি এনসিপির হান্নান মাসুদের নাম উল্লেখ করে বলেন, “এই তরুণ নেতা চাইলে রাজনীতির পটভূমিই বদলে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনিও চাঁদাবাজি ও সুবিধাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।” তবে তিনি এও স্বীকার করেন যে, সকল রাজনৈতিক দলেই কিছু সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষের দেখা তিনি পেয়েছেন এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তার ভাষায়, “আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এদেশে গঠনতান্ত্রিক রাজনীতির স্বপ্ন দেখেছি, প্রকৃত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।” রাজনীতিতে কখনো সচেতনভাবে কারও ক্ষতি করেননি বলেও দাবি করেন তিনি। যদি কখনো কোনো ভুল করে থাকেন, সে জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। শেষে তিনি বলেন, “যেদিন প্রকৃত স্বচ্ছ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ডাক আসবে, সেদিন আমি আপনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকবো মিছিলের অগ্রভাগে—প্রথম বুলেটের শিকার হতে প্রস্তুত। এদেশের মাটির ঊর্ধ্বে আমার কাছে কিছুই মূল্যবান নয়। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজদের ব্যাপারে তদবির করতে আসলেই এরেস্ট

আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক করলেন পদত্যাগ

আপডেট সময় ০৯:১৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার: লিসানুল আলম পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। বিএনপির দুঃসময়ে পাশে থাকা, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় বাবার কারাবাস এবং নিজ বাড়ি ছাড়া অবস্থান, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ পরবর্তী আন্দোলনসহ সাম্প্রতিক জুলাই আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তবে পাঁচ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নানা ঘটনায় তিনি হতাশ। হয়েছে তার বিশ্বাসভঙ্গের অভিজ্ঞতাও। শুধু বিএনপিকে নয়, লিসান তার বিশ্বাসভঙ্গের জন্য দায়ী করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি, এই পার্টির নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ ও জামায়াতকেও। লিসান বলেন, “দেশটাকে নতুনভাবে বিনির্মাণের পরিবর্তে সবাই যার যার মতো করে নিজের স্বার্থে ও ভোগের রাজনীতিতে নেমেছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি—কেউই এ দায় থেকে মুক্ত নয়।” এসব কারণে তিনি আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, আমার একটাই স্বপ্ন ছিল—নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণ এবং একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা।” কিন্তু ৫ আগস্টের গণআন্দোলনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা তাকে হতাশ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের চেতনা ভুলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চাঁদাবাজি ও আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে লিপ্ত হয়েছে। নিজ উপজেলা হাতিয়ার উদাহরণ টেনে তিনি দাবি করেন, সেখানে ৫ আগস্টের পর ভয়াবহ চাঁদাবাজি এবং ক্ষমতাসীনদের পুনর্বাসনের ঘটনা ঘটেছে, যার পেছনে বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের হাত রয়েছে। তিনি এনসিপির হান্নান মাসুদের নাম উল্লেখ করে বলেন, “এই তরুণ নেতা চাইলে রাজনীতির পটভূমিই বদলে দিতে পারতেন। কিন্তু তিনিও চাঁদাবাজি ও সুবিধাবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।” তবে তিনি এও স্বীকার করেন যে, সকল রাজনৈতিক দলেই কিছু সৎ ও নিষ্ঠাবান মানুষের দেখা তিনি পেয়েছেন এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তার ভাষায়, “আমরা যারা দীর্ঘদিন ধরে এদেশে গঠনতান্ত্রিক রাজনীতির স্বপ্ন দেখেছি, প্রকৃত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।” রাজনীতিতে কখনো সচেতনভাবে কারও ক্ষতি করেননি বলেও দাবি করেন তিনি। যদি কখনো কোনো ভুল করে থাকেন, সে জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। শেষে তিনি বলেন, “যেদিন প্রকৃত স্বচ্ছ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ডাক আসবে, সেদিন আমি আপনাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকবো মিছিলের অগ্রভাগে—প্রথম বুলেটের শিকার হতে প্রস্তুত। এদেশের মাটির ঊর্ধ্বে আমার কাছে কিছুই মূল্যবান নয়। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।