ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমার মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর—–উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় ১,৩০,৫০০ সৌদি রিয়াল ও তিনটি মোটরসাইকেলসহ আরও ছয়জনকে গ্রেফতার Logo ভারতীয় ‘শিলং তীর’ অনলাইন জুয়ায় জড়িত দুইজন আটক, মোবাইলসহ আলামত জব্দ Logo ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী পরিচয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ফোন করে হুমকি দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার Logo ফুটবলের উন্নয়নে বাংলাদেশ-তুরস্কের পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস Logo ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন: পাগলা মসজিদে দান করা যাবে অনলাইনে Logo গোলাম মাওলা রনিকে এক হাত নিলেন প্রেস সচিব Logo কালিগঞ্জে কেন্দ্রিয় ঘোষিত ছাত্রদলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন Logo কালিগঞ্জ পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭৫ পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক Logo পাবনায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩

সমস্ত ধর্মের মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ, কোন নাগরিক যেন আর মনে না করেন যে, তিনি বঞ্চিত। তাঁরা সমাজের মূল ধারার বাইরে আছে। আর এটাই বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ সবার ও বহুমাত্রিক দেশ। সমস্ত ধর্মের মানুষ, সমস্ত ভাষাগত ও নৃগোষ্ঠী মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের ৩৬ দিন, যেভাবে সমস্ত ধর্মের তরুণ- যুবকেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটার কিছদূর বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। তা পালনের চেষ্টা করছি। এক্ষত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আজ (১০ জানুয়ারি,শুক্রবার) ঢাকায় উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্ত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চল  আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেসব কাজ বাকী আছে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যে কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি এবং যে কাজগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে এটা অন্যতম।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, শ্রীলংকার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারসহ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, প্রাচীনকালে বহুবছর ধরে আমাদের জনপদ বৌদ্ধদের শাসনাধীনে ছিল। নেপালের লুম্বিনীতে বাংলাদেশর অর্থায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় একটি বৌদ্ধ বিহার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে পরস্পরের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি বৌদ্ধ মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও চুল্লি স্থাপনে ধর্ম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেড় মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাশ্মশানের জন্য যায়গা দিতে হবে। আমরা দিয়েছি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গার দখল বুজিয়ে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারেরঅধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, অন্তর্বতী সরকার প্রথম বারের মতো বৌদ্ধদেরকে মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম শেষকৃত্য (শবদাহ) করার জন্য রাজউক ঢাকার উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ (তেইশ) কাঠার প্লট বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তৃণমূলের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে আমার মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর—–উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

সমস্ত ধর্মের মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে- উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান

আপডেট সময় ০৫:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ, কোন নাগরিক যেন আর মনে না করেন যে, তিনি বঞ্চিত। তাঁরা সমাজের মূল ধারার বাইরে আছে। আর এটাই বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বাংলাদেশ সবার ও বহুমাত্রিক দেশ। সমস্ত ধর্মের মানুষ, সমস্ত ভাষাগত ও নৃগোষ্ঠী মানুষ যেন একত্রিত হয়ে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, জুলাইয়ের ৩৬ দিন, যেভাবে সমস্ত ধর্মের তরুণ- যুবকেরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে তাঁরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটার কিছদূর বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। তা পালনের চেষ্টা করছি। এক্ষত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আজ (১০ জানুয়ারি,শুক্রবার) ঢাকায় উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্ত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চল  আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেসব কাজ বাকী আছে, দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যে কাজগুলো করার চেষ্টা করেছি এবং যে কাজগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছি, তার মধ্যে এটা অন্যতম।

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন, শ্রীলংকার হাইকমিশনার মি. ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকারসহ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ।

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, প্রাচীনকালে বহুবছর ধরে আমাদের জনপদ বৌদ্ধদের শাসনাধীনে ছিল। নেপালের লুম্বিনীতে বাংলাদেশর অর্থায়নে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় একটি বৌদ্ধ বিহার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে পরস্পরের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি বৌদ্ধ মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও চুল্লি স্থাপনে ধর্ম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় দেড় মাস আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মহাশ্মশানের জন্য যায়গা দিতে হবে। আমরা দিয়েছি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে জায়গার দখল বুজিয়ে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারেরঅধ্যক্ষ মুদিতাপাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, অন্তর্বতী সরকার প্রথম বারের মতো বৌদ্ধদেরকে মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। নির্দিষ্টস্থানে ঢাকাবাসী বৌদ্ধদের অন্তিম শেষকৃত্য (শবদাহ) করার জন্য রাজউক ঢাকার উত্তরায় ১৬ নম্বর সেক্টরে ২৩ (তেইশ) কাঠার প্লট বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে।