
ডেস্ক রিপোর্ট: ডাঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, একটি পরিবারে যেমন পরিবার প্রধানের অনেক দায়িত্ব থাকে, তেমনি সমাজে বসবাসরত মানুষদের প্রতিও অনেক দায়িত্ব কর্তব্য আছে। এ দায়িত্ব পালন করার নাম মানবসেবা। মানবসেবা বলতে মানুষের সেবা করা, খোঁজখবর নেয়া, সাহায্য-সহযোগিতা করাকে বুঝায়। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল মানুষকে সমান যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়ে সৃষ্টি করেননি। এ কারণে মানুষ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। তাই সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী একে অন্যের উপকার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন,কোরআন হাদিস থেকে আমরা দেখতে পাই, আল্লাহর রহমত, বরকত ও সাওয়াব লাভের সবচেয়ে সহজ পথ হল আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ করে মানুষের প্রতি সহযোগিতা, কল্যাণ ও উপকারের হাত বাড়িয়ে দেয়া। আল্লাহকে ভালবাসতে হলে অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালবাসতে হবে। জীবন জীবনের জন্য, মানুষ মানুষের জন্য” – এই শ্লোগানকে সামনে রেখে স্বাস্থ্য ও সেবায় মানুষদের সাহায্য করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন পেশার মানুষ ও সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
অসহায় মানুষগুলোর কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করেছে। রাসূলে পাক (সঃ ) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ তারা যারা মানুষের কল্যাণে নিজেকে বেশি নিবেদিত রাখে। আল্লাহর নবী আরো বলেন, বিধবা ও অসহায় কে সাহায্য কারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য। আমি ডাঃ মাহমুদুল হাসান মনে করি, একজন মুসলমান হিসেবে মানব কল্যাণ মূলক কাজে জড়িত থাকা, মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা ঈমানী দায়িত্ব। আত্মীয়-স্বজন, অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরকে তাদের হক দাও। কিছুতেই অপব্যয় করো না। অন্য আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা ভাল কাজ করো, যাতে তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করতে পারো। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে মানব সেবামূলক কাজে বেশি বেশি অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেন এটাই কামনা করি, আমিন।