ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আনন্দবাস সীমান্তে ৫১ হাজার ডলারসহ এক ব্যাক্তি আটক Logo মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ সিএনজি চালক আটক। Logo আন্তর্জাতিক ডেস্ক হাইতিতে গ্যাং দমন ও কর আদায়ে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা প্রেরণ Logo গত ২৪ ঘন্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরও ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ Logo অন্যায্য শ্রম অনুশীলন ও ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্যের প্রতিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo কর্ণফুলী টানেল সাইট অফিসে “উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা” সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo সিএমপি’র পাঁচলাইশ থানা পুলিশের অভিযানে সাজা পরোয়ানাভুক্ত ০১ (এক) আসামী গ্রেফতার Logo জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোনো সুযোগ নেই: ধর্ম উপদেষ্টা Logo পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা শিশুর মৃত্যু Logo ছাতকে শ্রী শ্রী মহাপ্রভু আখড়া মন্দিরে ১দিনব্যাপী মঙ্গল শোভা যাত্রা, কুইজ ও চিত্রাংঙ্কন

রাণীনগরে বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে ইউপি চেয়ারম্যানের ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৫৬২ বার পড়া হয়েছে
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মকলেছুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে ডিগ্রি পাশের ভুয়া সনদ দিয়ে ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার সনদটি যাচাইয়ে ভুয়া বলে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- বিদ্যালয়ের এ্যাডহক (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি পদের লোভে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মকলেছুর রহমান বাবু। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাশের (বিএসএস) প্রোগ্রামের ভুয়া সনদ তৈরি করে দাখিল করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মকলেছুর রহমান বাবুর ভুয়া সনদ কান্ড নিয়ে সর্বমহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মখলেছুর রহমান বাবু উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
জানা গেছে, উপজেলার ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ম্যানেজিং) কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নিদের্শনা দেওয়া হয়। এরপর প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের বিষয়টি অবহিত করলে তারা আলোচনা সাপেক্ষে সভাপতি পদে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেন। যথাযথ নিয়মে বিদ্যালয়টির কমিটি গঠনের জন্য তিনজন সভাপতি প্রার্থীর কাছ থেকে ডিগ্রি (স্নাতক) পাশের সনদসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র সংগ্রহ করে সভাপতি পদে তিনজনের নাম জানুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডে পাঠান প্রতিষ্ঠান প্রধান। নাম পাঠানো তিনজন সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু একজন প্রার্থী। তিনি ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাশের (বিএসএস) প্রোগ্রামের সনদ জমা দেন। এরপর অন্য প্রার্থীর মধ্যে বাবুর ডিগ্রি পাসের সনদ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। একপর্যায়ে অপর দুই সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী তার সনদের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তার জমাকৃত সনদটি যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ে প্রেরণ করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবুর দাখিলকৃত সনদটি ভুয়া।
ডিগ্রি পাশের সনদ সম্পর্কে জানতে চাইলে মকলেছুর রহমান বাবু বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে কোন সনদ জমা দিইনি। তিনি কোথায় সনদ পেয়েছেন তা আমি জানিনা। এই বিষয়ে তিনিই বলতে পারবেন। আর আমার সনদ ঠিক আছে।
উপজেলার ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, আমার কাছে চেয়ারম্যান তার প্রতিনিধির মাধ্যমে উন্মুক্তের ডিগ্রি পাশের সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন। তিনজন সভাপতি প্রার্থীর নাম ও কাগজপত্র সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি। তার সনদ সঠিক না ভুয়া তা আমি জানিনা।
জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তার সনদটি যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তার সনদটি জাল বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আনন্দবাস সীমান্তে ৫১ হাজার ডলারসহ এক ব্যাক্তি আটক

রাণীনগরে বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে ইউপি চেয়ারম্যানের ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল

আপডেট সময় ০৪:০০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মকলেছুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে ডিগ্রি পাশের ভুয়া সনদ দিয়ে ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার সনদটি যাচাইয়ে ভুয়া বলে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- বিদ্যালয়ের এ্যাডহক (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি পদের লোভে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মকলেছুর রহমান বাবু। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাশের (বিএসএস) প্রোগ্রামের ভুয়া সনদ তৈরি করে দাখিল করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মকলেছুর রহমান বাবুর ভুয়া সনদ কান্ড নিয়ে সর্বমহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মখলেছুর রহমান বাবু উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
জানা গেছে, উপজেলার ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ম্যানেজিং) কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে নিদের্শনা দেওয়া হয়। এরপর প্রতিষ্ঠান প্রধান বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের বিষয়টি অবহিত করলে তারা আলোচনা সাপেক্ষে সভাপতি পদে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেন। যথাযথ নিয়মে বিদ্যালয়টির কমিটি গঠনের জন্য তিনজন সভাপতি প্রার্থীর কাছ থেকে ডিগ্রি (স্নাতক) পাশের সনদসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র সংগ্রহ করে সভাপতি পদে তিনজনের নাম জানুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডে পাঠান প্রতিষ্ঠান প্রধান। নাম পাঠানো তিনজন সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবু একজন প্রার্থী। তিনি ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পাশের (বিএসএস) প্রোগ্রামের সনদ জমা দেন। এরপর অন্য প্রার্থীর মধ্যে বাবুর ডিগ্রি পাসের সনদ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। একপর্যায়ে অপর দুই সভাপতি প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী তার সনদের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তার জমাকৃত সনদটি যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ে প্রেরণ করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান বাবুর দাখিলকৃত সনদটি ভুয়া।
ডিগ্রি পাশের সনদ সম্পর্কে জানতে চাইলে মকলেছুর রহমান বাবু বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে কোন সনদ জমা দিইনি। তিনি কোথায় সনদ পেয়েছেন তা আমি জানিনা। এই বিষয়ে তিনিই বলতে পারবেন। আর আমার সনদ ঠিক আছে।
উপজেলার ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, আমার কাছে চেয়ারম্যান তার প্রতিনিধির মাধ্যমে উন্মুক্তের ডিগ্রি পাশের সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছিলেন। তিনজন সভাপতি প্রার্থীর নাম ও কাগজপত্র সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি। তার সনদ সঠিক না ভুয়া তা আমি জানিনা।
জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তার সনদটি যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে তার সনদটি জাল বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।