
নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ: পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথি (জন্মাষ্টমী) মহোৎসব ও শ্রীমতি রাধারাণীর আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে সুনামগঞ্জ শহরের পশ্চিম নতুনপাড়া শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ অনুরাগী জাগ্রত যুব সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটি, শ্রী অদ্বৈত ভূমি সুনামগঞ্জ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা গোবিন্দ কুমার পাল এবং মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন উপদেষ্টা সুমন সাহা।
শুক্রবার সকাল ১০টায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ধর্মীয় চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বাঁশি, পদ্মফুল, শঙ্খ, সুদর্শন চক্র, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীমতি রাধারাণীর প্রতিকৃতি অঙ্কন করা হয়। সন্ধ্যায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও গীতা পাঠ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, অধিবাস কীর্তন, মঙ্গলঘট স্থাপন এবং লীলা কীর্তন পরিবেশনার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিমাদ্রি রায় প্রান্ত, সাধারণ সম্পাদক কিরণ রায় বাপন, কোষাধ্যক্ষ বিজয় বণিক জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রণয় দেবনাথ, সদস্য শুভ দাস, হৃদয় দাস, গৌরব দত্ত, বিনয় রায়, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নিমা চন্দ, লিপি রায় ও সনি রায় প্রমুখ। নেতৃবৃন্দরা প্রচণ্ড গরমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত শীতল পানীয় ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করেন।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, সনাতন ধর্ম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম। এই ধর্মে কোনো অধর্ম, ব্যভিচার বা অসহিষ্ণুতা স্থান পায় না। সনাতন ধর্ম হলো পরম সহিষ্ণুতার ধর্ম, যেখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সম্মান করার শিক্ষা দেওয়া হয়। তারা আরও বলেন, দেশের সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপদে পালন করলে আত্মমর্যাদাশীল, স্বনির্ভর ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
এসবি: কাইয়ুম বাদশাহ।