ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধর্মপাশায় স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি Logo ঢাকাস্থ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সমিতি গঠন সম্পন্ন Logo কালিগঞ্জের ধুলিয়াপুর হাইস্কুলের ছাত্রী অহনা দাশের প্রয়াণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo মধ্যনগরে মাটিয়ারবন্দ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় এন্ড্রয়েড ফোন জব্দ, সংখ্যায় গরমিল Logo অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে মোবাইল কোর্ট অভিযান Logo পিরোজপুরে নানা আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত Logo পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ, জুন-২০২৫ এর ৩য় দিন সম্পন্ন ভোলা জেলা পুলিশের Logo মেধাবৃত্তির ক্রেস্ট, সম্মানী ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল Logo কুড়িগ্রামের ৪ কেজি গাঁজা ও ১টি অটোরিক্সা জব্দসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগ,জুন – ২০২৫ তৃতীয় দিন সম্পন্ন

আজ বিশ্ব চিঠি দিবস

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৬৫৪ বার পড়া হয়েছে

১লা সেপ্টেম্বর আজ বিশ্ব চিঠি দিবস।একসময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লেখার মাধ্যমেরও পরিবর্তন হয়েছে। বহু আগে ইংরেজ কথাকার সমারসেট মম যা বলেছিলেন, বর্তমানের বাস্তবতায় সেটাই সত্যি। চিঠি লেখা আসলেই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প। ‘ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, এই গানের বোল বাঁধতে গিয়ে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কি কোনো দিন ভেবেছিলেন যে মানুষ একসময় শুধুই আকাশের ঠিকানায় অর্থাৎ অন্তর্জালে (ই-মেইলে) চিঠি লিখবে!

একসময়ে দূরে থাকা আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যমই ছিল চিঠি। শুধু দূরে নয়, অন্তরের খুব কাছের কাউকে মুখে না বলতে পারা কথাগুলোও সযত্নে সাজিয়ে নেওয়া হতো চিঠিতে। এক একটি চিঠিতে কত যে গল্প, কত যে ইতিহাস থাকত! আর থাকত ভরপুর আবেগ।চিঠি! এ বিষয়টির সঙ্গে যেন জড়িয়ে আছে নানা স্মৃতি, নানা আবেগ। একসময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। মোবাইল ফোন ও ই-মেইলের যুগ আসার আগে চিঠির কদর ছিল সর্বত্র। চিঠি লেখার আবেগ বর্তমানের ম্যাসেঞ্জারের টেক্সট কিংবা মেইলে পাওয়া যায় না। আগে একেকটি চিঠি যেন হয়ে উঠত একেকজনের জীবনে প্রাণের সঞ্চার। আজকাল দাপ্তরিক কাজ ছাড়া চিঠির ব্যবহার নেই বললেই চলে। খুব কম মানুষই এখন তার প্রিয় মানুষকে নিয়ে চিঠি লিখেন। চিঠি শুধু প্রেম নয়, সব ধরনের যোগাযোগেরই মাধ্যম ছিল। কোনো এক বেকারের চাকরির খবর, বিদেশে থাকা ছেলের মায়ের কাছে চিঠি কিংবা দেশ হতে বিদেশে ছেলের জন্য মায়ের লেখা চিঠি। কোনো এক মৃত্যুর চিঠি আবার পরিবারে বয়ে আনত স্থবিরতা। শুধু দূরে কিংবা অদেখা মানুষকেই মানুষ চিঠি লিখত না, যার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয় কিংবা প্রতিদিন দেখা করা প্রেমিক প্রেমিকাও একে অপরকে চিঠি লিখত। কারণ, চিঠিতে যত সুন্দর ভাষায় মনের অনুভূতি গুছিয়ে প্রকাশ করা যায়, মুখে ততটা বলা হয়ে ওঠে না।

কয়েক‘শ বছর ধরে যোগাযোগ শুধুমাত্র কয়েকটি উপায়ের মাধ্যমে হয়েছে। আপনি হয় বসে বসে কারও সাথে কথোপকথন করেছেন কিংবা একটি চিঠির মাধ্যমে আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি লিখেছিলেন, যা তাদের কাছে ডাকযোগে /কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন।বিশ্ব চিঠি লেখা দিবসটি আপনার হাতে লেখা শব্দের বিস্ময় মনে রাখার সুযোগ করে দিবে। তাই যোগাযোগের প্রাচীন রূপকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে চিঠি লিখুন। দিবসটি আপনাকে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ করার সুযোগ করে দিবে। যাদের সঙ্গে আপনি হয়তো বেশ কিছুদিন ধরে কোনো ধরনের যোগাযোগ কিংবা কথা বলেননি। দিবসটি যেভাবে উদযাপন করবেনঃ আজকের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে কাগজ–কলম বের করে লিখতে শুরু করেন। কাকে লিখতে হবে, তা বাছাই করা প্রায়শই সবচেয়ে কঠিন কাজ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনার যে কোনো বয়সের একজন পুরনো বন্ধু, প্রিয় মানুষ বা পরিবারের যেকোনো সদস্য নির্বাচন করা উচিত।

একটি লিখিত ব্যক্তিগত চিঠি পাওয়া তরুণদের জন্য অভিনব হতে পারে। এটি এমন কিছু যা আর কখনো করা হয়না এবং এটি লেখার মাধ্যমে আপনি তাদের সঙ্গে অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন। আজকের দিনে একটি সুন্দর কাগজে কলম দ্বারা সবচেয়ে প্রিয় একজনকেই না হয় চিঠি লেখা যাক মন খুলে। যে চিঠিতে একটি আন্তরিক সম্বোধন থাকবে, চিঠির পরতে পরতে আবেগ থাকবে, না বলা কথা থাকবে, আর শেষে নিজের নাম স্বাক্ষর করার আগে লেখা থাকবে ‘ইতি তোমার’ / ‘আপনার স্নেহধন্য কবির নেওয়াজ।পুরোনো কোনো এক বন্ধু/ বান্ধবী , যে আপনার ছেলেবেলা জুড়ে আছে, এখন হয়তো যার সাথে বেশি যোগাযোগ নেই, তাকেও চিঠি লিখতে পারেন।

লেখক : কবির নেওয়াজ রাজ

এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,

সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মপাশায় স্থানীয় সাংবাদিক সাইফুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি

আজ বিশ্ব চিঠি দিবস

আপডেট সময় ০৫:৩৮:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১লা সেপ্টেম্বর আজ বিশ্ব চিঠি দিবস।একসময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিঠি লেখার মাধ্যমেরও পরিবর্তন হয়েছে। বহু আগে ইংরেজ কথাকার সমারসেট মম যা বলেছিলেন, বর্তমানের বাস্তবতায় সেটাই সত্যি। চিঠি লেখা আসলেই এক হারিয়ে যাওয়া শিল্প। ‘ভালো আছি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, এই গানের বোল বাঁধতে গিয়ে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ কি কোনো দিন ভেবেছিলেন যে মানুষ একসময় শুধুই আকাশের ঠিকানায় অর্থাৎ অন্তর্জালে (ই-মেইলে) চিঠি লিখবে!

একসময়ে দূরে থাকা আপনজনের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যমই ছিল চিঠি। শুধু দূরে নয়, অন্তরের খুব কাছের কাউকে মুখে না বলতে পারা কথাগুলোও সযত্নে সাজিয়ে নেওয়া হতো চিঠিতে। এক একটি চিঠিতে কত যে গল্প, কত যে ইতিহাস থাকত! আর থাকত ভরপুর আবেগ।চিঠি! এ বিষয়টির সঙ্গে যেন জড়িয়ে আছে নানা স্মৃতি, নানা আবেগ। একসময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল চিঠি। মোবাইল ফোন ও ই-মেইলের যুগ আসার আগে চিঠির কদর ছিল সর্বত্র। চিঠি লেখার আবেগ বর্তমানের ম্যাসেঞ্জারের টেক্সট কিংবা মেইলে পাওয়া যায় না। আগে একেকটি চিঠি যেন হয়ে উঠত একেকজনের জীবনে প্রাণের সঞ্চার। আজকাল দাপ্তরিক কাজ ছাড়া চিঠির ব্যবহার নেই বললেই চলে। খুব কম মানুষই এখন তার প্রিয় মানুষকে নিয়ে চিঠি লিখেন। চিঠি শুধু প্রেম নয়, সব ধরনের যোগাযোগেরই মাধ্যম ছিল। কোনো এক বেকারের চাকরির খবর, বিদেশে থাকা ছেলের মায়ের কাছে চিঠি কিংবা দেশ হতে বিদেশে ছেলের জন্য মায়ের লেখা চিঠি। কোনো এক মৃত্যুর চিঠি আবার পরিবারে বয়ে আনত স্থবিরতা। শুধু দূরে কিংবা অদেখা মানুষকেই মানুষ চিঠি লিখত না, যার সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয় কিংবা প্রতিদিন দেখা করা প্রেমিক প্রেমিকাও একে অপরকে চিঠি লিখত। কারণ, চিঠিতে যত সুন্দর ভাষায় মনের অনুভূতি গুছিয়ে প্রকাশ করা যায়, মুখে ততটা বলা হয়ে ওঠে না।

কয়েক‘শ বছর ধরে যোগাযোগ শুধুমাত্র কয়েকটি উপায়ের মাধ্যমে হয়েছে। আপনি হয় বসে বসে কারও সাথে কথোপকথন করেছেন কিংবা একটি চিঠির মাধ্যমে আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি লিখেছিলেন, যা তাদের কাছে ডাকযোগে /কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিয়েছেন।বিশ্ব চিঠি লেখা দিবসটি আপনার হাতে লেখা শব্দের বিস্ময় মনে রাখার সুযোগ করে দিবে। তাই যোগাযোগের প্রাচীন রূপকে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে চিঠি লিখুন। দিবসটি আপনাকে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ করার সুযোগ করে দিবে। যাদের সঙ্গে আপনি হয়তো বেশ কিছুদিন ধরে কোনো ধরনের যোগাযোগ কিংবা কথা বলেননি। দিবসটি যেভাবে উদযাপন করবেনঃ আজকের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে কাগজ–কলম বের করে লিখতে শুরু করেন। কাকে লিখতে হবে, তা বাছাই করা প্রায়শই সবচেয়ে কঠিন কাজ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনার যে কোনো বয়সের একজন পুরনো বন্ধু, প্রিয় মানুষ বা পরিবারের যেকোনো সদস্য নির্বাচন করা উচিত।

একটি লিখিত ব্যক্তিগত চিঠি পাওয়া তরুণদের জন্য অভিনব হতে পারে। এটি এমন কিছু যা আর কখনো করা হয়না এবং এটি লেখার মাধ্যমে আপনি তাদের সঙ্গে অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন। আজকের দিনে একটি সুন্দর কাগজে কলম দ্বারা সবচেয়ে প্রিয় একজনকেই না হয় চিঠি লেখা যাক মন খুলে। যে চিঠিতে একটি আন্তরিক সম্বোধন থাকবে, চিঠির পরতে পরতে আবেগ থাকবে, না বলা কথা থাকবে, আর শেষে নিজের নাম স্বাক্ষর করার আগে লেখা থাকবে ‘ইতি তোমার’ / ‘আপনার স্নেহধন্য কবির নেওয়াজ।পুরোনো কোনো এক বন্ধু/ বান্ধবী , যে আপনার ছেলেবেলা জুড়ে আছে, এখন হয়তো যার সাথে বেশি যোগাযোগ নেই, তাকেও চিঠি লিখতে পারেন।

লেখক : কবির নেওয়াজ রাজ

এমএসএস”রাষ্ট্রবিজ্ঞান,

সিসি”জার্নালিজম,এলএলবি।