ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পরিবেশগত বিবেচনায় ১৭টি পাথর কোয়ারির ইজারা প্রদান স্থগিত করেছে সরকার। Logo অস্ত্র-গুলিসহ পল্লবীর চিহ্নিত দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি Logo মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় বাউফলের এক প্রকৌশলী নিহত Logo বাউফলে পেট্রোলের আগুনে ঝলসে গেল এক মাদ্রাসার শিক্ষকের শরীর Logo তেজগাঁওয়ে বোবা রফিককে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় মূল হত্যাকারী সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ Logo সুন্দর জীবন গড়তে হলে মাদক ছাড়তে হবে Logo ১৮ বছরের নিচে প্রতিটি শিশুকে স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে পাঠাতে হবে, আরবি শিক্ষার পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষাও দিতে হবে —–উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ Logo সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়; দুর্ধর্ষ চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার Logo স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা–৩১ Logo উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

বাউফলে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ৬ একর জমির পাকা ধান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে এক কৃষকের রোপন করা পাকা ধান কাটতে বাধা দেয়ায় ৬ একর জমির পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তোভোগী ওই কৃষকরা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপারী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহআলম রাড়ীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেবে ছয় একর জমির ধান মাটিতে মিশে গেছে। ধানের ছড়া ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছে। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে পাকা ধান। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ইদুরের গর্তে ধানের ছড়া। দেখার যেন কেউ নেই। পাশে দাড়িয়ে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন চাষি কবির ফকির ও বশির ফকির। প্রতিবেদককে দেখা মাত্রই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন তাঁরা। কবির ফকির বললেন, স্যার আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কত কষ্ট করে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত পরিশ্রম করে ক্ষেতে ধান রোপন করে ছিলাম। সেই কষ্টের ধান চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের করার কিছুই ছিল না। কেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে (১লা বৈশাখ থেকে ৩০শা চৌত্র মাস-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত জমির মালিক রেজাউল করিম (মন্টু) মিয়ার কাছ থেকে এক বছরের জন্য ৩০ একর জমি ক্রয় করি। ওই ক্রয় করা জমির ৬ একর জমির ধান কাটতে গেলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপরী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ আলম রাড়ী তাঁদের নিজেদের জমি দাবি করে লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ধান কেটে নিলে প্রান নাশের হুমকি দেন তাঁরা। তাই আমরা দুই ভাই ভয়ে ভীত হয়ে কারো কাছে কোন অভিযোগ দেইনি।
ধান কাটতে বাধা দেওয়র কথা অস্বীকার করে বিএনপি নেতা বেল্লাল ব্যাপরী বলেন, জমির মালিক রেজাউল করিম মন্টুর কাছ থেকে আমি তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ৩০ একর জমি একসনা ক্রয় করেছি। এর আগে একই জমি তিনি বশির ফকির ও কবির ফকিরের কাছে বিক্রি করেছিলো কিনা তা আমার জানা নেই।
জমি বিক্রেতা রেজাউল করিম (মন্টু) বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। স্থানীয় কৃষক বশির ও কবির ফকিরের কাছে আমি জমি বিক্রি করেছি। অন্য কারো কাছে জমি বিক্রি করি নাই। তবে বিএনপি নেতারা কেন তাদের পাকা ধান কাটতে বাধা দিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পরিবেশগত বিবেচনায় ১৭টি পাথর কোয়ারির ইজারা প্রদান স্থগিত করেছে সরকার।

বাউফলে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ৬ একর জমির পাকা ধান

আপডেট সময় ০৫:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে এক কৃষকের রোপন করা পাকা ধান কাটতে বাধা দেয়ায় ৬ একর জমির পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তোভোগী ওই কৃষকরা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপারী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহআলম রাড়ীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেবে ছয় একর জমির ধান মাটিতে মিশে গেছে। ধানের ছড়া ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছে। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে পাকা ধান। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ইদুরের গর্তে ধানের ছড়া। দেখার যেন কেউ নেই। পাশে দাড়িয়ে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন চাষি কবির ফকির ও বশির ফকির। প্রতিবেদককে দেখা মাত্রই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন তাঁরা। কবির ফকির বললেন, স্যার আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কত কষ্ট করে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত পরিশ্রম করে ক্ষেতে ধান রোপন করে ছিলাম। সেই কষ্টের ধান চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের করার কিছুই ছিল না। কেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে (১লা বৈশাখ থেকে ৩০শা চৌত্র মাস-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত জমির মালিক রেজাউল করিম (মন্টু) মিয়ার কাছ থেকে এক বছরের জন্য ৩০ একর জমি ক্রয় করি। ওই ক্রয় করা জমির ৬ একর জমির ধান কাটতে গেলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপরী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ আলম রাড়ী তাঁদের নিজেদের জমি দাবি করে লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ধান কেটে নিলে প্রান নাশের হুমকি দেন তাঁরা। তাই আমরা দুই ভাই ভয়ে ভীত হয়ে কারো কাছে কোন অভিযোগ দেইনি।
ধান কাটতে বাধা দেওয়র কথা অস্বীকার করে বিএনপি নেতা বেল্লাল ব্যাপরী বলেন, জমির মালিক রেজাউল করিম মন্টুর কাছ থেকে আমি তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ৩০ একর জমি একসনা ক্রয় করেছি। এর আগে একই জমি তিনি বশির ফকির ও কবির ফকিরের কাছে বিক্রি করেছিলো কিনা তা আমার জানা নেই।
জমি বিক্রেতা রেজাউল করিম (মন্টু) বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। স্থানীয় কৃষক বশির ও কবির ফকিরের কাছে আমি জমি বিক্রি করেছি। অন্য কারো কাছে জমি বিক্রি করি নাই। তবে বিএনপি নেতারা কেন তাদের পাকা ধান কাটতে বাধা দিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না।