ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাবিতে ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি; মোটরসাইকেল উদ্ধার Logo অসচ্ছল, অসুস্থ ও অসমর্থ ক্রীড়াসেবীদের মাঝে ক্রীড়াভাতা বিতরণ উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান Logo রাজধানীর যাত্রবাড়ী ও শাহবাগে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ সদস্য গ্রেফতার Logo ভূমিকম্প মোকাবিলায় বিশেষায়িত টিম গঠন ও প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু Logo প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নেয়ার অনুরোধ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপের রূপরেখা দেন Logo ইউনেস্কোর মেক্সিকান প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস প্যাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন Logo বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর এর বৈঠক 

বাউফলে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ৬ একর জমির পাকা ধান

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে এক কৃষকের রোপন করা পাকা ধান কাটতে বাধা দেয়ায় ৬ একর জমির পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তোভোগী ওই কৃষকরা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপারী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহআলম রাড়ীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেবে ছয় একর জমির ধান মাটিতে মিশে গেছে। ধানের ছড়া ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছে। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে পাকা ধান। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ইদুরের গর্তে ধানের ছড়া। দেখার যেন কেউ নেই। পাশে দাড়িয়ে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন চাষি কবির ফকির ও বশির ফকির। প্রতিবেদককে দেখা মাত্রই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন তাঁরা। কবির ফকির বললেন, স্যার আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কত কষ্ট করে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত পরিশ্রম করে ক্ষেতে ধান রোপন করে ছিলাম। সেই কষ্টের ধান চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের করার কিছুই ছিল না। কেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে (১লা বৈশাখ থেকে ৩০শা চৌত্র মাস-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত জমির মালিক রেজাউল করিম (মন্টু) মিয়ার কাছ থেকে এক বছরের জন্য ৩০ একর জমি ক্রয় করি। ওই ক্রয় করা জমির ৬ একর জমির ধান কাটতে গেলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপরী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ আলম রাড়ী তাঁদের নিজেদের জমি দাবি করে লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ধান কেটে নিলে প্রান নাশের হুমকি দেন তাঁরা। তাই আমরা দুই ভাই ভয়ে ভীত হয়ে কারো কাছে কোন অভিযোগ দেইনি।
ধান কাটতে বাধা দেওয়র কথা অস্বীকার করে বিএনপি নেতা বেল্লাল ব্যাপরী বলেন, জমির মালিক রেজাউল করিম মন্টুর কাছ থেকে আমি তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ৩০ একর জমি একসনা ক্রয় করেছি। এর আগে একই জমি তিনি বশির ফকির ও কবির ফকিরের কাছে বিক্রি করেছিলো কিনা তা আমার জানা নেই।
জমি বিক্রেতা রেজাউল করিম (মন্টু) বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। স্থানীয় কৃষক বশির ও কবির ফকিরের কাছে আমি জমি বিক্রি করেছি। অন্য কারো কাছে জমি বিক্রি করি নাই। তবে বিএনপি নেতারা কেন তাদের পাকা ধান কাটতে বাধা দিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাবিতে ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি; মোটরসাইকেল উদ্ধার

বাউফলে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের ৬ একর জমির পাকা ধান

আপডেট সময় ০৫:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

মো: খলিলুর রহমান, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে এক কৃষকের রোপন করা পাকা ধান কাটতে বাধা দেয়ায় ৬ একর জমির পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তোভোগী ওই কৃষকরা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপারী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহআলম রাড়ীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর রায়সাহেবে ছয় একর জমির ধান মাটিতে মিশে গেছে। ধানের ছড়া ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছে। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে পাকা ধান। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে ইদুরের গর্তে ধানের ছড়া। দেখার যেন কেউ নেই। পাশে দাড়িয়ে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন চাষি কবির ফকির ও বশির ফকির। প্রতিবেদককে দেখা মাত্রই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন তাঁরা। কবির ফকির বললেন, স্যার আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কত কষ্ট করে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত পরিশ্রম করে ক্ষেতে ধান রোপন করে ছিলাম। সেই কষ্টের ধান চোখের সামনে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের করার কিছুই ছিল না। কেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে (১লা বৈশাখ থেকে ৩০শা চৌত্র মাস-১৪৩১ বঙ্গাব্দ) পর্যন্ত জমির মালিক রেজাউল করিম (মন্টু) মিয়ার কাছ থেকে এক বছরের জন্য ৩০ একর জমি ক্রয় করি। ওই ক্রয় করা জমির ৬ একর জমির ধান কাটতে গেলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ বেল্লাল ব্যাপরী ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শাহ আলম রাড়ী তাঁদের নিজেদের জমি দাবি করে লোকজন নিয়ে বাধা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ধান কেটে নিলে প্রান নাশের হুমকি দেন তাঁরা। তাই আমরা দুই ভাই ভয়ে ভীত হয়ে কারো কাছে কোন অভিযোগ দেইনি।
ধান কাটতে বাধা দেওয়র কথা অস্বীকার করে বিএনপি নেতা বেল্লাল ব্যাপরী বলেন, জমির মালিক রেজাউল করিম মন্টুর কাছ থেকে আমি তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে ৩০ একর জমি একসনা ক্রয় করেছি। এর আগে একই জমি তিনি বশির ফকির ও কবির ফকিরের কাছে বিক্রি করেছিলো কিনা তা আমার জানা নেই।
জমি বিক্রেতা রেজাউল করিম (মন্টু) বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। স্থানীয় কৃষক বশির ও কবির ফকিরের কাছে আমি জমি বিক্রি করেছি। অন্য কারো কাছে জমি বিক্রি করি নাই। তবে বিএনপি নেতারা কেন তাদের পাকা ধান কাটতে বাধা দিয়েছেন তা আমি বলতে পারব না।