ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা Logo তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য স্মার্ট নীতি ও সহায়ক পরিবেশ সময়ের দাবি Logo গোপালগঞ্জের সহিংসতা সম্পর্কে পুলিশ রিপোর্ট Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দিন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ময়মনসিংহের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন Logo শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ ও পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তুলতে জাতীয় বৃক্ষমেলায় ‘গাছ চেনা প্রতিযোগিতা ২০২৫ Logo গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদন Logo মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারপূর্বক প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo গোপালগঞ্জের পরিস্থিতির উপরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য : জনসাধারণকে ধৈর্য ও সহযোগিতার আহ্বান

বান্দাহ যখন সত্যিকারার্থে অনুতপ্ত হয় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন- ছারছীনার পীর ছাহেব

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৬৩ বার পড়া হয়েছে

আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। তিনি বান্দাকে ক্ষমা করতে বড়ই ভালোবাসেন। ক্ষমা করার জন্য নানা অজুহাত খোঁজেন। মনে রাখতে হবে ক্ষণিকের এ দুনিয়ার জীবন মানুষের জন্য পরীক্ষাক্ষেত্র। শয়তান ও নফসে আম্মারা বা কুপ্রবৃত্তি মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করার জন্য অনবরত চেষ্টা করতে থাকে। একজন সুস্থ বিবেকের অধিকারী মানুষ মূলত খারাপ হতে চায় না। এরপরও প্রবৃত্তির তাড়নায় ও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ খারাপ কাজ করে ফেলে। গুনাহগার যখনই যথাযথভাবে লজ্জিত হয়, গুনাহ ছেড়ে দেয়, খাঁটি তওবা করে এবং বান্দা যদি সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয় এবং ক্ষমা চায় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এককথায় মহান আল্লাহ তাঁর অফুরন্ত রহমত দ্বারা গুনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। গতকাল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন মেষপড়াস্থ পাশাকোট দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ময়দানে বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে যামান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহ.) এর স্মরণে দুইদিনব্যাপী ঈছালে ছাওয়াব ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার বাদ জুময়া আখেরী মুনাজাতের পূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন। মাহফিলে প্রথম দিন জিকিরের তা’লীম ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ মুফতি শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ এবং স্থানীয় বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম। দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন- ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দীন ছালেহী, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বীনিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমূখ। পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে ও বিশেষ করে এলাকার মুর্দেগাণদের জন্য আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মধ্যনগরে বিশাল জনসভা

বান্দাহ যখন সত্যিকারার্থে অনুতপ্ত হয় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন- ছারছীনার পীর ছাহেব

আপডেট সময় ০৯:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.) বলেছেন- আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। তিনি বান্দাকে ক্ষমা করতে বড়ই ভালোবাসেন। ক্ষমা করার জন্য নানা অজুহাত খোঁজেন। মনে রাখতে হবে ক্ষণিকের এ দুনিয়ার জীবন মানুষের জন্য পরীক্ষাক্ষেত্র। শয়তান ও নফসে আম্মারা বা কুপ্রবৃত্তি মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করার জন্য অনবরত চেষ্টা করতে থাকে। একজন সুস্থ বিবেকের অধিকারী মানুষ মূলত খারাপ হতে চায় না। এরপরও প্রবৃত্তির তাড়নায় ও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানুষ খারাপ কাজ করে ফেলে। গুনাহগার যখনই যথাযথভাবে লজ্জিত হয়, গুনাহ ছেড়ে দেয়, খাঁটি তওবা করে এবং বান্দা যদি সত্যিকারভাবে অনুতপ্ত হয় এবং ক্ষমা চায় তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এককথায় মহান আল্লাহ তাঁর অফুরন্ত রহমত দ্বারা গুনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। গতকাল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাধীন মেষপড়াস্থ পাশাকোট দ্বীনিয়া মাদ্রাসা ময়দানে বাহরে শরীয়ত, মুজাদ্দিদে যামান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (রহ.) এর স্মরণে দুইদিনব্যাপী ঈছালে ছাওয়াব ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার বাদ জুময়া আখেরী মুনাজাতের পূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন। মাহফিলে প্রথম দিন জিকিরের তা’লীম ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ মুফতি শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ এবং স্থানীয় বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম। দ্বিতীয় দিন আলোচনা করেন- ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দীন ছালেহী, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বীনিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমূখ। পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে ও বিশেষ করে এলাকার মুর্দেগাণদের জন্য আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন।