ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি Logo ফরিদপুর-৩: বিএনপির প্রার্থী নায়াব ইউসুফ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠে Logo কোতোয়ালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক লাখ ইয়াবা, প্রাইভেটকার ও মোবাইল উদ্ধার Logo মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা, আটক-২ Logo ডাকসু ভিপির ঘোষণা: “নিজের ভবিষ্যৎ দেখিয়ে দিছে!” মশাল মিছিলের প্রস্তুতি Logo নারী দুর্বৃত্ত, আইন ও সভ্য সমাজের মানদণ্ড Logo খুলনায় ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার Logo মোহাম্মদপুরে পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ৩৫টি ককটেল ও সরঞ্জাম উদ্ধার Logo ঢাকা ডিবি ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের Logo রাজশাহীতে বিচারকের পুত্র তাওসিফের মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তে জানা গেল

নানা সমস্যায় জর্জরিত শেকৃবির বিজয়-২৪ হলের শিক্ষার্থীরা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • ৫৯৩ বার পড়া হয়েছে

শেকৃবি প্রতিনিধি, মোঃ রানা ইসলাম: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “বিজয় ২৪” হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে খাবার পানির চরম সঙ্কটে রয়েছেন। এবিষয়ে একাধিকবার হল প্রশাসনে অভিযোগ জানালেও নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা। এছাড়াও গ্যাস সঙ্কট, লিফট সমস্যা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ থাকলেও আমলে নিচ্ছেন না প্রশাসন।সরেজমিন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজয়-২৪ হলের উভয় ব্লকের (এ-ব্লক ও বি-ব্লক) প্রায় ৭০০ আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। রমজানের শুরু থেকেই খাবার পানি নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। সেহেরি ও ইফতারের সময় হলেই হুটহাট খাবার পানির সংকট দেখা দেয় ফলে পানির সংকটে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।এছাড়া,গ্যাস সমস্যা নিয়ে ডাইনিং ও ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, হলটিতে ডাইনিং ও ক্যান্টিনের গাসের লাইন একই। যার ফলে তারা প্রয়োজন সময়ে সল্পমাত্রায় গ্যাস পাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঠিকমাত্রায় খাবার পরিবেশন করে দিতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”বিজয় ২৪ হল” এর এ-ব্লকের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, রমজানের প্রথম দিক থেকেই আমরা পানির সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। ইফতার ও সেহরিতে আমরা পানি পাচ্ছি না। এমন কি কোনো কোনো দিন রাত ১২ টা পর্যন্ত আমরা পানি থাকছে না।হলের নবম ও দশম তালার শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় প্রতিনিয়তই হলে সেহেরি ও ইফতারিতে পানি থাকে না। ফলে রমজানের শুরু থেকেই ক্যান্টিন থেকে পানি এনে তারপর ইফতার বা সেহরি করছি যা চরম ভোগান্তিকরতারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পানি সংকট ও লিফট এর সমস্যার বিষয়ে হল প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছি। তবে এবিষয়ে হল প্রশাসনের কার্যকরী স্থায়ী কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিতে দেখি নি।শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আগের তুলনায় হল এখন অপরিষ্কার। আগে সাত দিন পর পর পরিষ্কার করলেও, এখন ১৪ দিনেও একবার পরিষ্কার করা হয় না। যার ফলে হলের ওয়াশরুম গুলো এখন অনেক অপরিষ্কার ও ব্যবহার করা অনেক অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।লিফটের সমস্যার বিষয়ে “বিজয় ২৪ হল “এর লিফট অপারেটর বলেন, লিফট সমস্যার বিষয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি ও সমস্যার কথা বলেছি, লিফট এর একটি সুইচ এর সমস্যা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুইচটি দিলে ব্যবস্থা নিতে পারব।লিফটের বিষয়ে বিজয় -২৪ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো জাহিদুর রহমান বলেন, লিফটের একটা সুইচ নষ্ট হয়েছে এবং এটা বাইরে কিনতে পাওয়া যায়না। বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের মাধ্যমে কোম্পানিকে জানিয়েছি তারা রবিবার বা সোমবারের মধ্যে সাপ্লায় দিবে।পানি সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সময় বেশি চাপ পড়ে ফলে ট্যাংকের পানি দ্রত শেষ হয়ে যায় । আবার পানি ফিল্টার হয়ে আসতে সময় লাগে ফলে তখন আর পানি পাওয়া যায়না।পরিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিমাসে একবার করে মাস্টার ক্লিন করার চেষ্টা করি। রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারে বেশি আবর্জনা তৈরি হচ্ছে যার ফলে ফ্লোরে দেওয়া ডাস্টবিন ভরে বাইরে ময়লা চলে আসে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

উল্লাপাড়া আসনে এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম নিলেন দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী প্রীতি

নানা সমস্যায় জর্জরিত শেকৃবির বিজয়-২৪ হলের শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় ০৫:৪২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

শেকৃবি প্রতিনিধি, মোঃ রানা ইসলাম: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “বিজয় ২৪” হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে খাবার পানির চরম সঙ্কটে রয়েছেন। এবিষয়ে একাধিকবার হল প্রশাসনে অভিযোগ জানালেও নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা। এছাড়াও গ্যাস সঙ্কট, লিফট সমস্যা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ থাকলেও আমলে নিচ্ছেন না প্রশাসন।সরেজমিন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিজয়-২৪ হলের উভয় ব্লকের (এ-ব্লক ও বি-ব্লক) প্রায় ৭০০ আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। রমজানের শুরু থেকেই খাবার পানি নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। সেহেরি ও ইফতারের সময় হলেই হুটহাট খাবার পানির সংকট দেখা দেয় ফলে পানির সংকটে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।এছাড়া,গ্যাস সমস্যা নিয়ে ডাইনিং ও ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, হলটিতে ডাইনিং ও ক্যান্টিনের গাসের লাইন একই। যার ফলে তারা প্রয়োজন সময়ে সল্পমাত্রায় গ্যাস পাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীদের সঠিকমাত্রায় খাবার পরিবেশন করে দিতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”বিজয় ২৪ হল” এর এ-ব্লকের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, রমজানের প্রথম দিক থেকেই আমরা পানির সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছি। ইফতার ও সেহরিতে আমরা পানি পাচ্ছি না। এমন কি কোনো কোনো দিন রাত ১২ টা পর্যন্ত আমরা পানি থাকছে না।হলের নবম ও দশম তালার শিক্ষার্থীরা জানান, প্রায় প্রতিনিয়তই হলে সেহেরি ও ইফতারিতে পানি থাকে না। ফলে রমজানের শুরু থেকেই ক্যান্টিন থেকে পানি এনে তারপর ইফতার বা সেহরি করছি যা চরম ভোগান্তিকরতারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পানি সংকট ও লিফট এর সমস্যার বিষয়ে হল প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েছি। তবে এবিষয়ে হল প্রশাসনের কার্যকরী স্থায়ী কোনো প্রকার পদক্ষেপ নিতে দেখি নি।শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আগের তুলনায় হল এখন অপরিষ্কার। আগে সাত দিন পর পর পরিষ্কার করলেও, এখন ১৪ দিনেও একবার পরিষ্কার করা হয় না। যার ফলে হলের ওয়াশরুম গুলো এখন অনেক অপরিষ্কার ও ব্যবহার করা অনেক অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।লিফটের সমস্যার বিষয়ে “বিজয় ২৪ হল “এর লিফট অপারেটর বলেন, লিফট সমস্যার বিষয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি ও সমস্যার কথা বলেছি, লিফট এর একটি সুইচ এর সমস্যা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুইচটি দিলে ব্যবস্থা নিতে পারব।লিফটের বিষয়ে বিজয় -২৪ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো জাহিদুর রহমান বলেন, লিফটের একটা সুইচ নষ্ট হয়েছে এবং এটা বাইরে কিনতে পাওয়া যায়না। বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের মাধ্যমে কোম্পানিকে জানিয়েছি তারা রবিবার বা সোমবারের মধ্যে সাপ্লায় দিবে।পানি সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সময় বেশি চাপ পড়ে ফলে ট্যাংকের পানি দ্রত শেষ হয়ে যায় । আবার পানি ফিল্টার হয়ে আসতে সময় লাগে ফলে তখন আর পানি পাওয়া যায়না।পরিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিমাসে একবার করে মাস্টার ক্লিন করার চেষ্টা করি। রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারে বেশি আবর্জনা তৈরি হচ্ছে যার ফলে ফ্লোরে দেওয়া ডাস্টবিন ভরে বাইরে ময়লা চলে আসে।