ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জানা গেল এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে Logo বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ Logo কাদিহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদায় অনুষ্ঠান অবসরে গেলেন প্রিয় গণিত শিক্ষক মোঃ হবিবর রহমান Logo এলাকার নেতা হিসেবে নয় সন্তান হিসেবে কাজ করবো – প্রিয়াংকা   Logo জনগণের ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই: বিএনপি নেতা মাসুদ Logo শেরপুরে ‘বাহাছাস’ এর কমিটি গঠন Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে বিশ্বম্ভরপুরে ব্যারিস্টার নুরুলের নেতৃত্বে গণজাগরণ, চারটি ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ Logo কালিগঞ্জের বিষ্ণুপরে প্রায়শ ঘটছে চুরি ও ডাকাতিঃ আতঙ্কিত জনগনের নির্ঘুম রাত Logo শেরপুরে ফের বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার Logo কালিগঞ্জের নলতায় ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরীবের জন্য অনিরাপদ খাদ্য আর মধ্যবিত্তদের জন্য নিরাপদ খাদ্য- এধরণের বৈষম্য দূর করতে হবে। এটা কিছুতেই হতে দেয়া যাবেনা। সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৭ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে (7th International Scientific Conference on Food Safety and Health) উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন,খাদ্য আলোচনা প্রায়শই শুধু কৃষিকে কেন্দ্র করে করা হয়, কিন্তু খাদ্য উৎপাদন শুধু কৃষি থেকে আসে না। মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একসাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কৃষির সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় না।

উপদেষ্টা বলেন,খাদ্য উৎপাদন এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে কারণ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপুর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, সচেতন মানুষ বেশি টাকা দিয়ে হলেও রাসায়নিক পদার্থমুক্ত-এন্টিবায়োটিকমুক্ত মাছ-মাংস পেতে চায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা খেটে খাওয়া মানুষ খাদ্য নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে তারা সচেতন নয়। তাই তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, কৃষিতে কীটনাশক এমনকি আগাছানাশক ব্যবহারের ফলে শুধু কৃষিতে ক্ষতি হচ্ছে না গবাদিপশু পালনে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক পুকুর, নদী ও নালায় মিশে মাছের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এমনকি কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ ধরার জন্য, যা নিরাপদ খাদ্যের জন্য বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আধুনিক কৃষির মাধ্যমে সবজি সীমাবদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু একসময় অনেক ঋতুভিত্তিক বা সিজনাল সবজি ছিলো তা এখন পাওয়া যাচ্ছে না। এই সবজি উৎপাদন করতে হাইব্রিডাইজেশন করা হচ্ছে আর এর ফলে কীটনাশক ব্যবহার করতে বাধ্য । এভাবে খাদ্যের যে আধুনিক ধারণা তৈরি হচ্ছে যা সমস্যায় জর্জরিত। সারা বছর যদি একই প্রকার সবজি বা ফসলের ওপর বেশি নির্বরশীল হযে পড়লে তা মনোকালচারে পরিণত হবে। খাদ্যকে যেভাবে মেনুপুলেট করা হচ্ছে তার পরিবর্তন হওয়া দরকার।

বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আলিমুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কতৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শোয়েব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর প্রেসিডেন্ট শামসুল আরেফিন খালেদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিরডাপের মহাপরিচালক ড. পি.চন্দ্র শেখারা। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সচিবালয়, ঢাকা।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জানা গেল এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে

সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৫:১০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

আলী আহসান রবি: ঢাকা, ২৭ বৈশাখ (১০মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গরীবের জন্য অনিরাপদ খাদ্য আর মধ্যবিত্তদের জন্য নিরাপদ খাদ্য- এধরণের বৈষম্য দূর করতে হবে। এটা কিছুতেই হতে দেয়া যাবেনা। সকল মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৭ম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে (7th International Scientific Conference on Food Safety and Health) উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন,খাদ্য আলোচনা প্রায়শই শুধু কৃষিকে কেন্দ্র করে করা হয়, কিন্তু খাদ্য উৎপাদন শুধু কৃষি থেকে আসে না। মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদও খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য নিরাপত্তা এবং খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একসাথে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কৃষির সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয় না।

উপদেষ্টা বলেন,খাদ্য উৎপাদন এবং জনস্বাস্থ্যের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে কারণ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপুর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, সচেতন মানুষ বেশি টাকা দিয়ে হলেও রাসায়নিক পদার্থমুক্ত-এন্টিবায়োটিকমুক্ত মাছ-মাংস পেতে চায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা খেটে খাওয়া মানুষ খাদ্য নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে তারা সচেতন নয়। তাই তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, কৃষিতে কীটনাশক এমনকি আগাছানাশক ব্যবহারের ফলে শুধু কৃষিতে ক্ষতি হচ্ছে না গবাদিপশু পালনে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক পুকুর, নদী ও নালায় মিশে মাছের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এমনকি কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ ধরার জন্য, যা নিরাপদ খাদ্যের জন্য বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আধুনিক কৃষির মাধ্যমে সবজি সীমাবদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু একসময় অনেক ঋতুভিত্তিক বা সিজনাল সবজি ছিলো তা এখন পাওয়া যাচ্ছে না। এই সবজি উৎপাদন করতে হাইব্রিডাইজেশন করা হচ্ছে আর এর ফলে কীটনাশক ব্যবহার করতে বাধ্য । এভাবে খাদ্যের যে আধুনিক ধারণা তৈরি হচ্ছে যা সমস্যায় জর্জরিত। সারা বছর যদি একই প্রকার সবজি বা ফসলের ওপর বেশি নির্বরশীল হযে পড়লে তা মনোকালচারে পরিণত হবে। খাদ্যকে যেভাবে মেনুপুলেট করা হচ্ছে তার পরিবর্তন হওয়া দরকার।

বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আলিমুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কতৃপক্ষের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শোয়েব। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর প্রেসিডেন্ট শামসুল আরেফিন খালেদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিরডাপের মহাপরিচালক ড. পি.চন্দ্র শেখারা। এসময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সচিবালয়, ঢাকা।